লক্ষ্য অর্জনে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের কাজ চলবে
বেসরকারীকরণ নীতিমালায় এ কর্মসূচির যে পাঁচটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তা অর্জনে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই কার্যক্রম চালু রাখতে বলেছেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান মির্জা আবদুল জলিল গতকাল সোমবার সকালে কমিশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেওয়ার জন্য কমিশনে আসিনি। এসেছি শিল্প বাঁচাতে।’ তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষে লাভজনকভাবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব হয়নি। লোকসানের মাত্রাও এত বেশি যে তার দায় বহন করা সম্ভব নয়। তাই শিল্প বাঁচাতে বেসরকারীকরণ কর্মসূচি চালু রাখতে হবে।
লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী: ২০০০ সালের বেসরকারীকরণ আইনের আলোকে ২০০৭ সালে প্রণীত নীতিমালায় বেসরকারীকরণের পাঁচটি লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক কল্যাণসাধন; দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে আকর্ষণ ও পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন; বেসরকারীকরণের মাধ্যমে রাজস্ব প্রাপ্তি; লোকসানি প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পদ অবমুক্ত করে অন্যান্য সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও তা সংরক্ষণ।
এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কতটা সফল হয়েছে জানতে চাইলে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি অব্যাহতভাবে চলমান একটি প্রক্রিয়া। তবে বেসরকারীকরণ কার্যক্রম যথাযথভাবে চললে সাফল্যের হার বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি হতো।’
৪৪টি লাভজনক: সংবাদ সম্মেলনে ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বেসরকারীকরণ করা মোট ৭৫টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটি জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী ৭৫টির মধ্যে ৪৪টি শিল্প লাভজনকভাবে চলছে। চালুর প্রক্রিয়ায় আছে ১৬টি। বাকি ১৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
ওই ৭৫টির মধ্যে ৫৫টি প্রতিষ্ঠান সরাসরি বিক্রির মাধ্যমে এবং বাকি ২০টি শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে বেসরকারীকরণ করা হয়। এ থেকে সরকারি কোষাগারে মোট অর্থ এসেছে ৭০৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৯৩ সালের আগে আরও ৪৯২টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা হয়। সেগুলোর বর্তমান অবস্থা জানার জন্য নতুন সমীক্ষা চালাবে কমিশন।
দেশে বেসরকারীকরণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য এটিই প্রথম সমীক্ষা। যদিও বেসরকারীকরণ আইনের ১০ ধারার ১(ট) উপধারা অনুযায়ী এ ধরনের সমীক্ষা চালিয়ে সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোর সামগ্রিক অবস্থা সরকারকে নিয়মিতভাবে জানানোর কথা, কিন্তু এর আগে কখনোই তা করা হয়নি।
কর্মসংস্থান: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারীকরণ করার আগে এই ৭৫টি শিল্পে কর্মরত মোট জনবল ছিল ৩১ হাজার। এখন তা ৯০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এদের মধ্যে বেসরকারীকরণ করার আগের কর্মক্ষম ও দক্ষ জনবল রয়েছে। গ্রামীণ পর্যায়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে—যেমন মাদারীপুর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড—বেশ কিছু নারীরও কর্মসংস্থান হয়েছে।
ওই ৭৫টি শিল্পের মধ্যে বেসরকারীকরণ করার আগে প্রায় ৪৫টি দুই থেকে পাঁচ বছর ধরে বন্ধ ছিল। হস্তান্তরের পর এগুলো চালু করতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগেছে।
বিক্রয়মূল্য: প্রতিবেদন অনুযায়ী ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫টির ক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্য প্রযোজ্য ছিল। এর মধ্যে ৬২টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করেছে। একটি প্রতিষ্ঠানের মূল্য পরিশোধ মামলার কারণে স্থগিত ছিল। এখন আবার তা চালু করেছে। বাকি দুটি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক কিস্তি পরিশোধের পর আর বিক্রয়মূল্য দিচ্ছে না।
বাকি ১০টির মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান সেনা ও নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো বিক্রয়মূল্য প্রযোজ্য ছিল না। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্য আটটি প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয়ই সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ক্ষেত্রেও বিক্রয়মূল্য প্রযোজ্য ছিল না। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ‘স্টক অ্যান্ড স্টোরস’-এর মূল্য তাদের পরিশোধ করার কথা। তবে অর্ধেক প্রতিষ্ঠান তা পরিশোধ করেনি। কমিশন এখন তা আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
উৎপাদনশীলতা: চালু প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই শিল্পের আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও সুষমকরণ (বিএমআরই) সম্পন্ন করেছে। ফলে বিনিয়োগ ও উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। এদের পণ্যের গুণগত মান উন্নত হয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে (মার্কেট লিডার) উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে শারমিন টেক্সটাইল, হাফিজ টেক্সটাইল, বাংলাদেশ সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, বার্জার পেইন্ট, চিটাগাং সিমেন্ট অ্যান্ড ক্লিংকার ইন্ডাস্ট্রিজ, রেকিট অ্যান্ড বেনকিজার, জিনাত টেক্সটাইল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহার এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। এর মধ্যে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের জমি নিষ্কণ্টক করে হস্তান্তরেও বিলম্ব হয়েছে। চালুর প্রক্রিয়াধীন ও বন্ধ প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনোটি ভালো ব্যবসা পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
চাপে আছে কমিশন: লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করলেও বেশ চাপের মধ্যে আছে কমিশন। সুনির্দিষ্ট আইন, নীতি ও প্রবিধানমালার অধীন বেসরকারীকরণ কার্যক্রম চললেও বিষয়টি নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে বলা হছে, আর কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ করা হবে না। বন্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু করা হবে। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বেসরকারীকরণের জন্য কমিশনের কাছে হস্তান্তরিত কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ফেরত চাইছে চালু করার জন্য। ১০ জুলাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লেখা চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, কমিশন গুটিয়ে ফেলা হলে কমিশনের বর্তমান কাজ কী করে সম্পাদন করা যাবে।
বর্তমানে যে ২৩টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণের জন্য কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সেগুলো আদৌ বেসরকারীকরণ করা হবে কি না তাও নিশ্চিত নয়।
কমিশনের চেয়ারম্যান মির্জা আবদুল জলিল গতকাল সোমবার সকালে কমিশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেওয়ার জন্য কমিশনে আসিনি। এসেছি শিল্প বাঁচাতে।’ তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষে লাভজনকভাবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব হয়নি। লোকসানের মাত্রাও এত বেশি যে তার দায় বহন করা সম্ভব নয়। তাই শিল্প বাঁচাতে বেসরকারীকরণ কর্মসূচি চালু রাখতে হবে।
লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী: ২০০০ সালের বেসরকারীকরণ আইনের আলোকে ২০০৭ সালে প্রণীত নীতিমালায় বেসরকারীকরণের পাঁচটি লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক কল্যাণসাধন; দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে আকর্ষণ ও পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন; বেসরকারীকরণের মাধ্যমে রাজস্ব প্রাপ্তি; লোকসানি প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পদ অবমুক্ত করে অন্যান্য সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও তা সংরক্ষণ।
এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কতটা সফল হয়েছে জানতে চাইলে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি অব্যাহতভাবে চলমান একটি প্রক্রিয়া। তবে বেসরকারীকরণ কার্যক্রম যথাযথভাবে চললে সাফল্যের হার বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি হতো।’
৪৪টি লাভজনক: সংবাদ সম্মেলনে ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বেসরকারীকরণ করা মোট ৭৫টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটি জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী ৭৫টির মধ্যে ৪৪টি শিল্প লাভজনকভাবে চলছে। চালুর প্রক্রিয়ায় আছে ১৬টি। বাকি ১৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
ওই ৭৫টির মধ্যে ৫৫টি প্রতিষ্ঠান সরাসরি বিক্রির মাধ্যমে এবং বাকি ২০টি শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে বেসরকারীকরণ করা হয়। এ থেকে সরকারি কোষাগারে মোট অর্থ এসেছে ৭০৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৯৩ সালের আগে আরও ৪৯২টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা হয়। সেগুলোর বর্তমান অবস্থা জানার জন্য নতুন সমীক্ষা চালাবে কমিশন।
দেশে বেসরকারীকরণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য এটিই প্রথম সমীক্ষা। যদিও বেসরকারীকরণ আইনের ১০ ধারার ১(ট) উপধারা অনুযায়ী এ ধরনের সমীক্ষা চালিয়ে সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোর সামগ্রিক অবস্থা সরকারকে নিয়মিতভাবে জানানোর কথা, কিন্তু এর আগে কখনোই তা করা হয়নি।
কর্মসংস্থান: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারীকরণ করার আগে এই ৭৫টি শিল্পে কর্মরত মোট জনবল ছিল ৩১ হাজার। এখন তা ৯০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এদের মধ্যে বেসরকারীকরণ করার আগের কর্মক্ষম ও দক্ষ জনবল রয়েছে। গ্রামীণ পর্যায়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে—যেমন মাদারীপুর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড—বেশ কিছু নারীরও কর্মসংস্থান হয়েছে।
ওই ৭৫টি শিল্পের মধ্যে বেসরকারীকরণ করার আগে প্রায় ৪৫টি দুই থেকে পাঁচ বছর ধরে বন্ধ ছিল। হস্তান্তরের পর এগুলো চালু করতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগেছে।
বিক্রয়মূল্য: প্রতিবেদন অনুযায়ী ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫টির ক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্য প্রযোজ্য ছিল। এর মধ্যে ৬২টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করেছে। একটি প্রতিষ্ঠানের মূল্য পরিশোধ মামলার কারণে স্থগিত ছিল। এখন আবার তা চালু করেছে। বাকি দুটি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক কিস্তি পরিশোধের পর আর বিক্রয়মূল্য দিচ্ছে না।
বাকি ১০টির মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান সেনা ও নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো বিক্রয়মূল্য প্রযোজ্য ছিল না। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্য আটটি প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয়ই সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ক্ষেত্রেও বিক্রয়মূল্য প্রযোজ্য ছিল না। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ‘স্টক অ্যান্ড স্টোরস’-এর মূল্য তাদের পরিশোধ করার কথা। তবে অর্ধেক প্রতিষ্ঠান তা পরিশোধ করেনি। কমিশন এখন তা আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
উৎপাদনশীলতা: চালু প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই শিল্পের আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও সুষমকরণ (বিএমআরই) সম্পন্ন করেছে। ফলে বিনিয়োগ ও উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। এদের পণ্যের গুণগত মান উন্নত হয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে (মার্কেট লিডার) উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে শারমিন টেক্সটাইল, হাফিজ টেক্সটাইল, বাংলাদেশ সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, বার্জার পেইন্ট, চিটাগাং সিমেন্ট অ্যান্ড ক্লিংকার ইন্ডাস্ট্রিজ, রেকিট অ্যান্ড বেনকিজার, জিনাত টেক্সটাইল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহার এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। এর মধ্যে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের জমি নিষ্কণ্টক করে হস্তান্তরেও বিলম্ব হয়েছে। চালুর প্রক্রিয়াধীন ও বন্ধ প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনোটি ভালো ব্যবসা পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
চাপে আছে কমিশন: লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করলেও বেশ চাপের মধ্যে আছে কমিশন। সুনির্দিষ্ট আইন, নীতি ও প্রবিধানমালার অধীন বেসরকারীকরণ কার্যক্রম চললেও বিষয়টি নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে বলা হছে, আর কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ করা হবে না। বন্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু করা হবে। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বেসরকারীকরণের জন্য কমিশনের কাছে হস্তান্তরিত কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ফেরত চাইছে চালু করার জন্য। ১০ জুলাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লেখা চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, কমিশন গুটিয়ে ফেলা হলে কমিশনের বর্তমান কাজ কী করে সম্পাদন করা যাবে।
বর্তমানে যে ২৩টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণের জন্য কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সেগুলো আদৌ বেসরকারীকরণ করা হবে কি না তাও নিশ্চিত নয়।
No comments