আইএসআই তালেবানকে সহায়তা করছে
‘পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স (আইএসআই) আফগান যুদ্ধে তালেবানকে সহযোগিতা করছে। ফাঁস হয়ে যাওয়া মার্কিন সামরিক বাহিনীর নথিতে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।’ উইকিলিকস নামের একটি সংস্থার বরাত দিয়ে গত রোববার তিনটি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ বলে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। তবে পাকিস্তান আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
উইকিলিকস তাদের ওয়েবসাইটে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ৯২ হাজারেরও বেশি নথি ফাঁস করে দেয়। ‘আফগান যুদ্ধের দিনপঞ্জি’ শিরোনামে উইকিলিকসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এসব নথিতে তালেবানকে পাকিস্তান ও ইরান সহায়তার বিষয়ে ন্যাটোর উদ্বেগের বিষয়টি উঠে এসেছে। ন্যাটো বাহিনীর হামলায় আফগানিস্তানে বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। আফগানিস্তানে ভবিষ্যতে ন্যাটো বাহিনীর ওপর হামলা আরও বাড়বে বলে মার্কিন সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ অ্যাডমিরাল মাইক মুলেনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
ফাঁস হওয়া একটি নথিতে উল্লেখ করা হয়, আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান হামিদ গুল গত বছরের জানুয়ারি মাসে একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মার্কিন বিমান হামলায় সংগঠনটির অন্যতম নেতা জামারাই ওরফে ওসামা আল কিনি নিহত হওয়ার পর হামিদ গুল ওই বৈঠক করেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রথম স্বীকার করা হয় জঙ্গিদের হাতে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণের মতো ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা দিয়ে তারা হেলিকপ্টার ভূপাতিত করতে সক্ষম।
প্রতিবেদনে ইরান তালেবান জঙ্গিদের অর্থ, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করা হয়। ইরানের তৎপরতা খতিয়ে দেখে গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এসব হুমকিমূলক প্রতিবেদন সত্য বলে সমর্থনযোগ্য নয়। তবে উচ্চপর্যায়ের মার্কিন কূটনৈতিক সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরান দিন দিন যেভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
এই পরিস্থিতির ব্যাপারে কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত একজন ডেপুটি জেনারেলের লেখা সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আফগানিস্তানে নিজ প্রভাব বাড়াতে ও গভীর করতে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান। একটি গোপন সূত্রে এ খবর জানা যায়।
আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ওই সূত্রের দাবি, আফগান সাংসদদের দলে ভেড়াতে কোটি কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দিচ্ছে ইরান। চেষ্টা চালাচ্ছে সে দেশের সংস্কারবাদী মন্ত্রীদের উৎখাত করতে।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি বলেন, ‘ইউকিলিকস যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে বর্তমান বাস্তবতা উঠে আসেনি। আমি মনে করি, পাকিস্তান কী করছে মার্কিন নেতারা সে বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জানেন।’
হোয়াইট হাউস তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ বলে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস, ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান ও জার্মানির ডার স্পিগেল তথ্য ফাঁসের খবর প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল জেমস জোনস এক বিবৃতিতে বলেন, স্পর্শকাতর এমন তথ্য ফাঁসের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্র ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। এতে জাতীয় নিরাপত্তাও হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।
সামরিক বাহিনীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ বলে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। তবে পাকিস্তান আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
উইকিলিকস তাদের ওয়েবসাইটে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ৯২ হাজারেরও বেশি নথি ফাঁস করে দেয়। ‘আফগান যুদ্ধের দিনপঞ্জি’ শিরোনামে উইকিলিকসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এসব নথিতে তালেবানকে পাকিস্তান ও ইরান সহায়তার বিষয়ে ন্যাটোর উদ্বেগের বিষয়টি উঠে এসেছে। ন্যাটো বাহিনীর হামলায় আফগানিস্তানে বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। আফগানিস্তানে ভবিষ্যতে ন্যাটো বাহিনীর ওপর হামলা আরও বাড়বে বলে মার্কিন সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ অ্যাডমিরাল মাইক মুলেনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
ফাঁস হওয়া একটি নথিতে উল্লেখ করা হয়, আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান হামিদ গুল গত বছরের জানুয়ারি মাসে একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মার্কিন বিমান হামলায় সংগঠনটির অন্যতম নেতা জামারাই ওরফে ওসামা আল কিনি নিহত হওয়ার পর হামিদ গুল ওই বৈঠক করেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রথম স্বীকার করা হয় জঙ্গিদের হাতে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণের মতো ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা দিয়ে তারা হেলিকপ্টার ভূপাতিত করতে সক্ষম।
প্রতিবেদনে ইরান তালেবান জঙ্গিদের অর্থ, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করা হয়। ইরানের তৎপরতা খতিয়ে দেখে গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এসব হুমকিমূলক প্রতিবেদন সত্য বলে সমর্থনযোগ্য নয়। তবে উচ্চপর্যায়ের মার্কিন কূটনৈতিক সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরান দিন দিন যেভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
এই পরিস্থিতির ব্যাপারে কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত একজন ডেপুটি জেনারেলের লেখা সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আফগানিস্তানে নিজ প্রভাব বাড়াতে ও গভীর করতে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান। একটি গোপন সূত্রে এ খবর জানা যায়।
আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ওই সূত্রের দাবি, আফগান সাংসদদের দলে ভেড়াতে কোটি কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দিচ্ছে ইরান। চেষ্টা চালাচ্ছে সে দেশের সংস্কারবাদী মন্ত্রীদের উৎখাত করতে।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি বলেন, ‘ইউকিলিকস যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে বর্তমান বাস্তবতা উঠে আসেনি। আমি মনে করি, পাকিস্তান কী করছে মার্কিন নেতারা সে বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জানেন।’
হোয়াইট হাউস তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ বলে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস, ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান ও জার্মানির ডার স্পিগেল তথ্য ফাঁসের খবর প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল জেমস জোনস এক বিবৃতিতে বলেন, স্পর্শকাতর এমন তথ্য ফাঁসের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্র ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। এতে জাতীয় নিরাপত্তাও হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।
No comments