শেয়ারবাজারে বড় দরপতনে আতঙ্ক -নিয়ন্ত্রকদের অস্থিরতা অগ্রহণযোগ্য, বিনিয়োগকারীর সতর্কতা জরুরি
শেয়ারবাজারে দর বাড়া ও কমা দুটোই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি হঠাৎ ব্যাপকভাবে দরপতনও কাম্য নয়; বিশেষ করে এই দরপতন যদি হয় পুঁজিবাজারসংক্রান্ত নীতিতে ঘন ঘন পরিবর্তনের কারণে। গত রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ মূল্যসূচকের ১৪ বছরের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ পতন ঘটেছে। এর পেছনে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দ্রুত নীতি পরিবর্তনই দায়ী। এটা ঠিক যে শেয়ারবাজার যেভাবে বেড়ে চলছিল, তাতে ঝুঁকির মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বাজারের গতিতে লাগাম টানার জন্য এসইসির পরিকল্পিত পদক্ষেপ সেভাবে লক্ষ করা যায়নি। সর্বশেষ গত বুধবার ব্রোকারেজ হাউস থেকে ঋণ গ্রহণের নতুন সীমা নির্ধারণ করে তা ৩১ আগস্টের মধ্যে সমন্বয়ের নির্দেশ জারি করে এসইসি। রোববার বাজারে বিরাট দরপতনের পর এই সময় বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করা হলো।
বস্তুত, এসইসির কর্মকাণ্ড অনেক দিন ধরেই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে বারবার কথা উঠছে। কিন্তু সরকারের সেদিকে মনোযোগ আছে বলে মনে হয় না। ফলে বাজারে ফাটকাবাজিমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা দূরে থাক, এসইসির বিভিন্ন পদক্ষেপ তা আরও উসকে দিচ্ছে। মাঝখান থেকে ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকা নিয়ে বাজারে এসেছে ও মুনাফা করছে, তাদের সঙ্গে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে কিছু প্রাপ্তির আশায় বিনিয়োগ যারা করেছে, তারা কখনোই পেরে উঠবে না। তা ছাড়া দেশের শেয়ারবাজারের সঙ্গে এখন লাখ লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে যুক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকেরই নিয়মিত আয়-উপার্জনের প্রধান উৎসও হয়ে উঠেছে শেয়ারবাজার। এই বাস্তবতায় বাজারসংশ্লিষ্ট যেকোনো পদক্ষেপই সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া প্রয়োজন।
পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের, বিশেষত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরও এটা বুঝতে হবে যে শেয়ারবাজার অন্তর্নিহিতভাবে কিছুটা ফাটকামূলক। এখানে লাভ ও লোকসান দুটোরই সমান সম্ভাবনা আছে। কাজেই শুধু লাভ হবে ভেবে বিনিয়োগ করতে থাকলে তার মাশুল গুনতেই হবে। লোকসানের ঝুঁকির কথা মাথায় রাখতে হবে। বিভিন্ন সময়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে যেসব সংকেত দেওয়া হচ্ছে, তাও বিবেচনায় নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত সপ্তাহে ঘোষিত ষাণ্মাসিক মুদ্রানীতিতে স্পষ্টভাবেই পুঁজিবাজারের ঝুঁকির মাত্রা সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছে। পুঁজিবাজারে যেসব ব্যাংক নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করেছে, তাদেরও কারণ দর্শাতে বলেছে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো বাজারবিরোধী পদক্ষেপ মনে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে বাজারের সুস্থিরতার স্বার্থের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। সময় সময় মূল্য সংশোধনও বিনিয়োগকারীর জন্য প্রয়োজনীয়।
বস্তুত, এসইসির কর্মকাণ্ড অনেক দিন ধরেই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে বারবার কথা উঠছে। কিন্তু সরকারের সেদিকে মনোযোগ আছে বলে মনে হয় না। ফলে বাজারে ফাটকাবাজিমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা দূরে থাক, এসইসির বিভিন্ন পদক্ষেপ তা আরও উসকে দিচ্ছে। মাঝখান থেকে ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকা নিয়ে বাজারে এসেছে ও মুনাফা করছে, তাদের সঙ্গে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে কিছু প্রাপ্তির আশায় বিনিয়োগ যারা করেছে, তারা কখনোই পেরে উঠবে না। তা ছাড়া দেশের শেয়ারবাজারের সঙ্গে এখন লাখ লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে যুক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকেরই নিয়মিত আয়-উপার্জনের প্রধান উৎসও হয়ে উঠেছে শেয়ারবাজার। এই বাস্তবতায় বাজারসংশ্লিষ্ট যেকোনো পদক্ষেপই সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া প্রয়োজন।
পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের, বিশেষত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরও এটা বুঝতে হবে যে শেয়ারবাজার অন্তর্নিহিতভাবে কিছুটা ফাটকামূলক। এখানে লাভ ও লোকসান দুটোরই সমান সম্ভাবনা আছে। কাজেই শুধু লাভ হবে ভেবে বিনিয়োগ করতে থাকলে তার মাশুল গুনতেই হবে। লোকসানের ঝুঁকির কথা মাথায় রাখতে হবে। বিভিন্ন সময়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে যেসব সংকেত দেওয়া হচ্ছে, তাও বিবেচনায় নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত সপ্তাহে ঘোষিত ষাণ্মাসিক মুদ্রানীতিতে স্পষ্টভাবেই পুঁজিবাজারের ঝুঁকির মাত্রা সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছে। পুঁজিবাজারে যেসব ব্যাংক নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করেছে, তাদেরও কারণ দর্শাতে বলেছে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো বাজারবিরোধী পদক্ষেপ মনে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে বাজারের সুস্থিরতার স্বার্থের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। সময় সময় মূল্য সংশোধনও বিনিয়োগকারীর জন্য প্রয়োজনীয়।
No comments