শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি শিরানিকে অভিশংসন
শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শিরানি বন্দরনায়েকেকে অভিশংসিত করার প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাস হয়েছে। গত শুক্রবার এ প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে পড়েছে ১৫৫ আর বিপেক্ষে পড়ে ৪৯ ভোট।
প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসিত করায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। তারা সরকারের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে কয়েকদিনের মধ্যেই প্রধান বিচারপতি শিরানিকে বরখাস্ত করবেন এবং শিগগির নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসিত করার প্রস্তাব পার্লামেন্টে তোলা হয়। বিতর্কিত একটি তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর পার্লামেন্টে দুই দিনের বিতর্ক শেষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। পার্লামেন্ট ক্ষমতাসীন দল শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় প্রস্তাবটি পাস করাতে বেগ পেতে হয়নি সরকারকে। পার্লামেন্টে স্পিকার চামাল রাজাপাকসে জানান, ১৫৫-৪৯ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। কয়েকদিন আগেই প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসিত করার পদক্ষেপকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ও আপিল আদালত। অভিশংসন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম বন্ধ করতে সরকারকে নির্দেশও দেন আপিল আদালত। ওই নির্দেশ উপেক্ষা করেই প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের সরকার শিরানিকে অভিশংসিত করল।
প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের সরকার ২০১১ সালের মে মাসে শিরানিকে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করে। দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রধান নারী বিচারপতি। গত নভেম্বরে শিরানির (৫৪) বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অসদাচরণসহ ১৪টি অভিযোগ আনে সরকার। এসব বিষয়ে তদন্ত করতে সরকার পার্লামেন্টারি সিলেক্ট (পিএসসি) কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদনে শিরানির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার দাবি করে।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিরানি। তাঁর মতে, পিএসসির তদন্ত ও শুনানির প্রক্রিয়া সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ছিল না। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে শিরানি সম্প্রতি এমন কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা সরকারের বিপক্ষে গেছে। এজন্যই তাঁকে অভিশংসিত করার পদক্ষেপ নেয় সরকার।
প্রধান বিচারপতি শিরানির জায়গায় নতুন বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন না করতে বিচারপতিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন দেশটির আইনজীবীরা। এ লক্ষ্যে তাঁরা ১১ হাজার আইনজীবীর সই সংগ্রহ করেছেন। নতুন বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগকে 'দখলদারি' পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন আইনজীবীরা। এক আইনজীবী বলেন, 'নতুন কোনো বিচারপতি নিয়োগকে আইনজীবীদের মেনে নেওয়া উচিত নয়। এটা সংবিধানের পরিপন্থী।'
প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসিত করার ঘটনায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল শঙ্কা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছে, 'শ্রীলঙ্কা সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সম্মান দেখাবে_যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের এটাই আশা।'
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্রিটেনও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। দেশের আইন রক্ষায় সরকারকে সচেষ্ট হতে আহবান জানিয়েছে তারা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে কয়েকদিনের মধ্যেই প্রধান বিচারপতি শিরানিকে বরখাস্ত করবেন এবং শিগগির নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসিত করার প্রস্তাব পার্লামেন্টে তোলা হয়। বিতর্কিত একটি তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর পার্লামেন্টে দুই দিনের বিতর্ক শেষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। পার্লামেন্ট ক্ষমতাসীন দল শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় প্রস্তাবটি পাস করাতে বেগ পেতে হয়নি সরকারকে। পার্লামেন্টে স্পিকার চামাল রাজাপাকসে জানান, ১৫৫-৪৯ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। কয়েকদিন আগেই প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসিত করার পদক্ষেপকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ও আপিল আদালত। অভিশংসন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম বন্ধ করতে সরকারকে নির্দেশও দেন আপিল আদালত। ওই নির্দেশ উপেক্ষা করেই প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের সরকার শিরানিকে অভিশংসিত করল।
প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের সরকার ২০১১ সালের মে মাসে শিরানিকে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করে। দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রধান নারী বিচারপতি। গত নভেম্বরে শিরানির (৫৪) বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অসদাচরণসহ ১৪টি অভিযোগ আনে সরকার। এসব বিষয়ে তদন্ত করতে সরকার পার্লামেন্টারি সিলেক্ট (পিএসসি) কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদনে শিরানির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার দাবি করে।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিরানি। তাঁর মতে, পিএসসির তদন্ত ও শুনানির প্রক্রিয়া সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ছিল না। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে শিরানি সম্প্রতি এমন কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা সরকারের বিপক্ষে গেছে। এজন্যই তাঁকে অভিশংসিত করার পদক্ষেপ নেয় সরকার।
প্রধান বিচারপতি শিরানির জায়গায় নতুন বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন না করতে বিচারপতিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন দেশটির আইনজীবীরা। এ লক্ষ্যে তাঁরা ১১ হাজার আইনজীবীর সই সংগ্রহ করেছেন। নতুন বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগকে 'দখলদারি' পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন আইনজীবীরা। এক আইনজীবী বলেন, 'নতুন কোনো বিচারপতি নিয়োগকে আইনজীবীদের মেনে নেওয়া উচিত নয়। এটা সংবিধানের পরিপন্থী।'
প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসিত করার ঘটনায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল শঙ্কা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছে, 'শ্রীলঙ্কা সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সম্মান দেখাবে_যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের এটাই আশা।'
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্রিটেনও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। দেশের আইন রক্ষায় সরকারকে সচেষ্ট হতে আহবান জানিয়েছে তারা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments