আজ ঐতিহাসিক গণঅভু্যত্থান দিবস
ঐতিহাসিক গণঅভু্যত্থান দিবস আজ। '৬৯ সালে অভু্যত্থানের নায়ক শহীদ
আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে
সর্বসত্মরের মানুষের অংশগ্রহণে গণঅভু্যত্থানের সৃষ্টি হয় এই দিনে।
শোষিত
মানুষের পৰে মুক্তিকামী ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে এই
অভু্যত্থানের সৃষ্টি হয়। দিবসটি উপলৰে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও
রাজনৈতিক সংগঠনের পৰ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী নয়া হয়েছে। এ উপলৰে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল শোষণ-বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে
দারিদ্র্র্যমুক্ত ও প্রযুক্তিনির্ভর গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত
করেছেন।আজ সকাল আটটায় শহীদ আসাদ পরিষদের পৰ থেকে বকশী বজারে শহীদ মতিউর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। বিকেল তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে 'আসাদের মন্ত্র-জনগণতন্ত্র' শীর্ষক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, শহীদ মতিউরের পিতা আজাহার আলী মলিস্নক, ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন, প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুলস্নাহ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতির রাশেদ খান মেনন, খালেকুজ্জামান, মোজাম্মেল হক, ফকির আলমগীর, মামুনুর রশিদ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করবেন শহীদ আসাদ পরিবারের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী । ঋষিজ, মূলধারা সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও বাউল প্রচার সংস্থা সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে।
১৯৬৭ সালে গণঅভু্যত্থানের সময় ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মতিউর ও রম্নসত্মম শহীদ হন। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সচিবালয়ের দেয়াল ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেয়। আইয়ুব মোনায়েম সরকারের দালাল এমপি- মন্ত্রীদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বিৰুব্ধ জনতা। চারদিকে জ্বলে ওঠে বিৰোভের দাবানল। মিছিলে সেস্নাগানে প্রকম্পিত হতে থাকে রাজপথ। দলে দলে বিভিন্ন শিৰা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা মিছিল নিয়ে রাজপথে নামে। উত্তাল হয়ে ওঠে ছাত্র আন্দোলন। দৈনিক পাকিসত্মান ও মর্নিংনিউজ পত্রিকায় আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। আইয়ুব গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদগেট নামকরণ করে সে সময়ের বিৰুব্ধ মানুষ।
No comments