ডেসটিনি এবং অবৈধ ব্যাংকিং by খুরশিদ আহমেদ খান
বাংলাদেশ ব্যাংক-এর প্রচলিত নীতিমালার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই আলোচিত মাল্টি লেভেল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড তাদের অন্যতম অর্থকরী প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি কোপারেটিভ সোসাইটি'র নামে প্রকাশ্যে বান্কিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এখানেই শেষ নয়, এই প্রতিষ্ঠানটি চড়া সুদে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে প্রতি মাসে অন্ততপক্ষে ২০-২৫ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করছে, যার সিংহ ভাগই পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে।
২০১১ সনের সেপ্টেম্বর মাসে ডেসটিনি কোপারেটিভ সোসাইটি মোট তিন শ কোটি টাকা, মাসিক ৪% সুদে বিনিয়োগ করে। এই অর্থের গ্রহীতাদের অধিকাংশই ডেসটিনি নেটওয়ার্ক এর ৩৮ লাখ সদস্যের কেউ-কেউ। এছাড়াও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইতালিতে এবং মধ্যপ্রাচ্চে প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে গোপনে হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি মাসেই ডেসটিনি'র এই নেটওয়ার্ক কম করে হলেও ৮০০-১০০০ কোটি টাকা লেনদেন করে থাকে। এই খাতে মাসিক মুনাফা কয়েক কোটি টাকা। ডেসটিনি'র অবৈধ ব্যাঙ্কিং এবং হুন্ডি'র ব্যবসা সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রনালয় অবগত। কিন্তু, প্রতি মাসেই মত অংকের মাসয়ারা দিয়ে সব কিছুই ম্যানেজ করছে। এছাড়া সরকারের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সংগঠন প্রতি মাসেই ডেসটিনি'র কাছ থেকে মাসয়ারা নিয়ে থাকেন। এসব লেনদেনের বড় একটা অংশ নিয়ন্ত্রণ করেন ডেসটিনির মালিক মুহাম্মদ রফিকুল আমিন এবং সাবেক সেনা প্রধক জেনারেল হারুনুর রশিদ। সোনা যায় তত্তাবধায়ক সরকারের সময় সেনা-সমর্থিত কিছু রাজনীতিবিদকেও ডেসটিনি মোটা অংকের মাসয়ারা দিয়েছে। বিনিময়ে সেসব ব্যক্তিদের কাছ থেকে নানামাত্রিক সুবিধা নিয়ে থাকে। সুচতুর ডেসটিনি কতৃপক্ষ এমনকি কিছু মৌলবাদী সংগঠন এবং ব্যক্তিকেও মাসয়ারা দিয়ে পুষছে।
চরমোনাই পীরের ছেলেদের কোটি টাকা বিনয়োগে ডেসটিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়েছে। এছাড়াও, জামাত এবং হিজবুত তাহরীরের অনেক সদস্য ডেসটিনিতে চাকরি করছেন অথবা এর সাথে ব্যবসা-বানিজ্য করছেন। হিজবুত তাহরীর নিষিধ্য হবার পর এই সংগঠনটির পোস্টার ডেসটিনির নিজশ্স ছাপাখানায় গোপনে ছেপে দেয়া হয়। ডেসটিনির পক্ষ থেকে তাবলিগ জামাতকে মাসয়ারা দেয়ার পাশাপাশি ইসলাম প্রচারে নানা ধরনের পুস্তিকা এবং বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য করনের কপি সরবরাহ করা হয়।
ডেসটিনি কোপারেটিভ সোসাইটি পরিচালিত হয় অভিনব পন্থায়। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৩৮ লাখ এজেন্টের মাধ্যমে মূলত এসব ঋণ প্রদান করা হয়। প্রতি মাসে প্রতি লাখে ৪% হারে যে সুদ আদায় হয় সেখান থেকে ডেসটিনি'র সংশ্লিষ্ট এজেন্ট কমিসন পান আদায়কৃত সুদের ২৫%, অর্থাত প্রতি হাজারে ২৫০ টাকা। প্রতি মাসেই ডেসটিনি'র বিনিয়োগের পরিধি বাড়ছে। আসন্ন কোরবানী ঈদেই ডেসটিনি ব্যবসায়ীদের কাছে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া চামড়া ব্যবসায়ীরাও ডেসটিনি'র কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেবেন ঈদের আগেই।
ডেসটিনি 'র মূল মালিকানায় যারা আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মোহাম্মদ রফিকুল আমিন, মোহাম্মদ সায়ীদ উর রহমান এবং গোফরান। এছাড়া, জেনারেল হারুন হলেন এদের সবার পরামর্শক। আরো আছেন ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, যিনি বহু আগে থেকেই ডেসটিনি'র সাথে যুক্ত। মোহাম্মদ রফিকুল আমিন এবং তার পরিবার কানাডার নাগরিক। ২০১০ সন থেকেই রফিকুল আমিন এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোহাম্মদ সায়ীদ উর রহমান এবং গোফরান গোপনে অস্ট্রেলিয়াতে ৫০০ কোটি টাকা পাচার করেন। সেখানে তারা আপেলের বাগান এবং কয়েকটা বহুতল ভবনের ফ্লোর কিনেছেন। এর বিনময়ে সায়ীদ এবং গোফরানের পরিবার সেদেশের নাগরিকত্ব নিতে যাচ্ছেন। ২০১০ সনের ডিসেম্বর মাসে, ডেসটিনি'র এই ত্রিরত্ন (রফিকুল আমিন, সায়ীদ এবং গোফরান) সম্মলিতভাবে মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ শুরু করেছেন। সেখানেও ইতিমধ্যেই প্রায় এক হাজার করি টাকা সরানো হয়ে গেছে। এই ত্রিরত্ন গত ৮-৯ মাসে, অন্তত কুড়ি বার বিদেশই গেছেন - এবং বেশির ভাগই মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া।
ডেসটিনির মূল একাউন্ট থেকে টাকা সরানো হচ্ছে সুকৌশলে। গত দুই বছর ডেসটিনি প্রচলিত মূল্যের পরে তিন গুন দামে কিছু জমি কিনেছে। এর পাশাপাশি কিছু ভুয়া জমি কেনার নামেও কয়েক শ কোটি টাকা গায়েব করা হয়েছে। এসব ভুয়া জমি কেনা-বেচার ঘটনা ঘটেছে ডেসটিনি'র ত্রিরত্নের সরাসরি সহাঅতায় এবং, লুন্ঠিত টাকা'র প্রায় পুরোটাই পাচার হয়েছে বিদেশে। এর পাশাপাশি ডেসটিনির তথাকথিত শেয়ার বিক্রির মাধ্যমেও শত-শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পাচার করেছে এই ত্রিরত্ন চক্র। জানা গেছে, সুধু শেয়ার বিক্রি করেই হাতিয়ে বেয়া হয়েছে ১৪ শ কোটি টাকা। এই ত্রিরত্ন চক্রের পরিবার-পরিজনদের গোপনে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আশংকা করা হচ্ছে, ২০১৪ সালের আগেই ডেসটিনি নামক হয় হয় কোম্পানিটি জনগনের হাজার-হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিয়ে উধাও হবে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ডেসটিনির মূলধনের পরিমান ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
ডেসটিনির সুচতুর ত্রিরত্ন চক্র নিজেদের অপকর্ম ধামা চাপা দিতেই মিডিয়া তে বিনিয়োগ করছে । ওরা ইতিমধ্যেই একটি পত্রিকা এবং একটি টিভি চ্যানেলের মালিক হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ডেসটিনির মালিকানায় দৈনিক সকাল সাতটা নামে আরেকটা পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে । এই নতুন পত্রিকা প্রকল্পে খাটানো হচ্ছে তিন শ কোটি টাকা। নতুন এই পত্রিকাটি ১৬ পৃষ্ঠা মাত্র দুই টাকায় বিক্রি করা হবে । উদ্দেশ্য দেশের প্রধান সারির একটি দৈনিকের মালিক হিসেবেই মিদিয়াতে শক্ত অবস্থহান সৃষ্টি যাতে কেউ ডেসটিনির অপকর্ম সম্পর্কে কিছু লিখতে না পারে।
চরমোনাই পীরের ছেলেদের কোটি টাকা বিনয়োগে ডেসটিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়েছে। এছাড়াও, জামাত এবং হিজবুত তাহরীরের অনেক সদস্য ডেসটিনিতে চাকরি করছেন অথবা এর সাথে ব্যবসা-বানিজ্য করছেন। হিজবুত তাহরীর নিষিধ্য হবার পর এই সংগঠনটির পোস্টার ডেসটিনির নিজশ্স ছাপাখানায় গোপনে ছেপে দেয়া হয়। ডেসটিনির পক্ষ থেকে তাবলিগ জামাতকে মাসয়ারা দেয়ার পাশাপাশি ইসলাম প্রচারে নানা ধরনের পুস্তিকা এবং বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য করনের কপি সরবরাহ করা হয়।
ডেসটিনি কোপারেটিভ সোসাইটি পরিচালিত হয় অভিনব পন্থায়। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৩৮ লাখ এজেন্টের মাধ্যমে মূলত এসব ঋণ প্রদান করা হয়। প্রতি মাসে প্রতি লাখে ৪% হারে যে সুদ আদায় হয় সেখান থেকে ডেসটিনি'র সংশ্লিষ্ট এজেন্ট কমিসন পান আদায়কৃত সুদের ২৫%, অর্থাত প্রতি হাজারে ২৫০ টাকা। প্রতি মাসেই ডেসটিনি'র বিনিয়োগের পরিধি বাড়ছে। আসন্ন কোরবানী ঈদেই ডেসটিনি ব্যবসায়ীদের কাছে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া চামড়া ব্যবসায়ীরাও ডেসটিনি'র কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেবেন ঈদের আগেই।
ডেসটিনি 'র মূল মালিকানায় যারা আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মোহাম্মদ রফিকুল আমিন, মোহাম্মদ সায়ীদ উর রহমান এবং গোফরান। এছাড়া, জেনারেল হারুন হলেন এদের সবার পরামর্শক। আরো আছেন ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, যিনি বহু আগে থেকেই ডেসটিনি'র সাথে যুক্ত। মোহাম্মদ রফিকুল আমিন এবং তার পরিবার কানাডার নাগরিক। ২০১০ সন থেকেই রফিকুল আমিন এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোহাম্মদ সায়ীদ উর রহমান এবং গোফরান গোপনে অস্ট্রেলিয়াতে ৫০০ কোটি টাকা পাচার করেন। সেখানে তারা আপেলের বাগান এবং কয়েকটা বহুতল ভবনের ফ্লোর কিনেছেন। এর বিনময়ে সায়ীদ এবং গোফরানের পরিবার সেদেশের নাগরিকত্ব নিতে যাচ্ছেন। ২০১০ সনের ডিসেম্বর মাসে, ডেসটিনি'র এই ত্রিরত্ন (রফিকুল আমিন, সায়ীদ এবং গোফরান) সম্মলিতভাবে মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ শুরু করেছেন। সেখানেও ইতিমধ্যেই প্রায় এক হাজার করি টাকা সরানো হয়ে গেছে। এই ত্রিরত্ন গত ৮-৯ মাসে, অন্তত কুড়ি বার বিদেশই গেছেন - এবং বেশির ভাগই মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া।
ডেসটিনির মূল একাউন্ট থেকে টাকা সরানো হচ্ছে সুকৌশলে। গত দুই বছর ডেসটিনি প্রচলিত মূল্যের পরে তিন গুন দামে কিছু জমি কিনেছে। এর পাশাপাশি কিছু ভুয়া জমি কেনার নামেও কয়েক শ কোটি টাকা গায়েব করা হয়েছে। এসব ভুয়া জমি কেনা-বেচার ঘটনা ঘটেছে ডেসটিনি'র ত্রিরত্নের সরাসরি সহাঅতায় এবং, লুন্ঠিত টাকা'র প্রায় পুরোটাই পাচার হয়েছে বিদেশে। এর পাশাপাশি ডেসটিনির তথাকথিত শেয়ার বিক্রির মাধ্যমেও শত-শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পাচার করেছে এই ত্রিরত্ন চক্র। জানা গেছে, সুধু শেয়ার বিক্রি করেই হাতিয়ে বেয়া হয়েছে ১৪ শ কোটি টাকা। এই ত্রিরত্ন চক্রের পরিবার-পরিজনদের গোপনে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আশংকা করা হচ্ছে, ২০১৪ সালের আগেই ডেসটিনি নামক হয় হয় কোম্পানিটি জনগনের হাজার-হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিয়ে উধাও হবে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ডেসটিনির মূলধনের পরিমান ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
ডেসটিনির সুচতুর ত্রিরত্ন চক্র নিজেদের অপকর্ম ধামা চাপা দিতেই মিডিয়া তে বিনিয়োগ করছে । ওরা ইতিমধ্যেই একটি পত্রিকা এবং একটি টিভি চ্যানেলের মালিক হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ডেসটিনির মালিকানায় দৈনিক সকাল সাতটা নামে আরেকটা পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে । এই নতুন পত্রিকা প্রকল্পে খাটানো হচ্ছে তিন শ কোটি টাকা। নতুন এই পত্রিকাটি ১৬ পৃষ্ঠা মাত্র দুই টাকায় বিক্রি করা হবে । উদ্দেশ্য দেশের প্রধান সারির একটি দৈনিকের মালিক হিসেবেই মিদিয়াতে শক্ত অবস্থহান সৃষ্টি যাতে কেউ ডেসটিনির অপকর্ম সম্পর্কে কিছু লিখতে না পারে।
No comments