বাংলাদেশকে চার বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
বিশ্বব্যাংক আগামী চার বছরে বাংলাদেশকে ৬০০ কোটি ডলার বা ৪২ হাজার কোটি টাকার সহায়তা দেবে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১০-১১ থেকে ২০১৪-১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য যে নতুন সহায়তা কৌশলপত্র প্রস্তুত করেছে, গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় তা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচনসহ আগামী দশকে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতেই বিশ্বব্যাংক এই বিপুল পরিমাণ সহায়তা দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দরিদ্রের হার কমিয়ে আনা এবং মানব উন্নয়নের অগ্রগতিকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে।
নতুন কৌশলপত্র অনুমোদন সম্পর্কে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এলেন গোল্ডস্টেইন বলেন, ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে যে সহায়তা দিয়েছে, নতুন কৌশলপত্রের আওতায় তার দ্বিগুণ সহায়তা দেওয়া হবে।
নতুন এই সহায়তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বিশ্বব্যাংক।
তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের নতুন কৌশলপত্রে সরকারি ক্রয়-নীতির স্বচ্ছতা হ্রাস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ক্ষমতা সীমিত করার পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো ঘাটতিকে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
জানা গেছে, আগামী কৌশলপত্রের শীর্ষ পাঁচটি প্রকল্পেই অর্থায়ন করা হবে প্রায় ২০০ কোটি ডলার, যার বেশির ভাগই অবকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত।
নতুন কৌশলপত্রে শীর্ষ প্রকল্পের তালিকায় আছে পদ্মা সেতু। এই প্রকল্পে প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক।
গত বছর ডিসেম্বরের আগে প্রকল্পটির জন্য মাত্র ৩০ কোটি ডলার দিতে রাজি হলেও এখন তারা ১২০ কোটি ডলার বা আট হাজার ২৮০ কোটি টাকা দিতে প্রস্তুত।
২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু অর্থায়নের প্রস্তাবটি বোর্ডে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠতে পারে।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) প্রকল্পে অর্থায়ন। এ জন্য বিশ্বব্যাংক ২৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৭৭৩ কোটি টাকার এক প্রকল্প নিয়েছে।
চট্টগ্রামে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা এক হাজার ২০৭ কোটি টাকা সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
রপ্তানি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ১২ কোটি ডলার বা ৮২৮ কোটি টাকা এবং দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে আরও ১৫ কোটি ডলার বা এক হাজার ৩৫ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক।
তালিকায় আরও আছে পেশাগত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির চার কোটি ডলার বা ২৭৬ কোটি টাকা, সামাজিক খাত বিনিয়োগে ১০ কোটি ডলার বা ৬৯০ কোটি টাকা, জাতীয় সুরক্ষা প্রকল্পে নয় কোটি ডলার বা ৬২১ কোটি টাকা এবং ঢাকার পরিবেশ ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় ৪৮৩ কোটি টাকা।
দেশে চরম বিদ্যুৎ সংকট থাকলেও আগামী কৌশলপত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কোনো প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে না বলে বিশ্বব্যাংক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৩৫ কোটি ডলার বা দুই হাজার ৪১৫ কোটি টাকা সিদ্ধিরগঞ্জে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজও আটকে গেছে। ২০০৮ সালে অর্থ পাওয়ার জন্য সরকার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করলেও দরপত্রে বিলম্ব ও নানা ঘাপলার কারণে অর্থ ছাড় করাতে পারেনি।
আগের অর্থ ব্যবহূত না হওয়ায় নতুন কৌশলপত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কোনো প্রকল্প এখন পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তবে নতুন কৌশলপত্রে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি থাকলেও সরকারি ক্রয় আইনের সংশোধন নিয়ে বিশ্বব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন চলছে।
বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেসব প্রকল্পে অর্থায়ন করবে সেসব প্রকল্পে পণ্য ও সেবা ক্রয় এবং ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে সংস্থার নিজস্ব নীতিমালা মেনে চলা হবে।
উল্লেখ্য, ক্রয় আইনের (পিপিআর) সংশোধন অনুযায়ী, দুই কোটি টাকা পর্যন্ত সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পূর্ব-অভিজ্ঞতা লাগবে না এবং দুই কোটি টাকা পর্যন্ত কাজের জন্য লটারি ব্যবস্থা আবার চালু করা থাকবে।
ফলে বিশ্বব্যাংকের নতুন কৌশলপত্রে বিপুল পরিমাণ সহায়তার আশ্বাস থাকলেও সরকার প্রকল্প কতটা বাস্তবায়ন করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ২০০৬-০৯ সময়কালের জন্য দেশভিত্তিক সহায়তা কৌশলের (ক্যাস) মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই সময়কালে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দিয়েছে ২৬০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।
বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচনসহ আগামী দশকে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতেই বিশ্বব্যাংক এই বিপুল পরিমাণ সহায়তা দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দরিদ্রের হার কমিয়ে আনা এবং মানব উন্নয়নের অগ্রগতিকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে।
নতুন কৌশলপত্র অনুমোদন সম্পর্কে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এলেন গোল্ডস্টেইন বলেন, ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে যে সহায়তা দিয়েছে, নতুন কৌশলপত্রের আওতায় তার দ্বিগুণ সহায়তা দেওয়া হবে।
নতুন এই সহায়তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বিশ্বব্যাংক।
তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের নতুন কৌশলপত্রে সরকারি ক্রয়-নীতির স্বচ্ছতা হ্রাস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ক্ষমতা সীমিত করার পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো ঘাটতিকে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
জানা গেছে, আগামী কৌশলপত্রের শীর্ষ পাঁচটি প্রকল্পেই অর্থায়ন করা হবে প্রায় ২০০ কোটি ডলার, যার বেশির ভাগই অবকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত।
নতুন কৌশলপত্রে শীর্ষ প্রকল্পের তালিকায় আছে পদ্মা সেতু। এই প্রকল্পে প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক।
গত বছর ডিসেম্বরের আগে প্রকল্পটির জন্য মাত্র ৩০ কোটি ডলার দিতে রাজি হলেও এখন তারা ১২০ কোটি ডলার বা আট হাজার ২৮০ কোটি টাকা দিতে প্রস্তুত।
২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু অর্থায়নের প্রস্তাবটি বোর্ডে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠতে পারে।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) প্রকল্পে অর্থায়ন। এ জন্য বিশ্বব্যাংক ২৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৭৭৩ কোটি টাকার এক প্রকল্প নিয়েছে।
চট্টগ্রামে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা এক হাজার ২০৭ কোটি টাকা সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
রপ্তানি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ১২ কোটি ডলার বা ৮২৮ কোটি টাকা এবং দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে আরও ১৫ কোটি ডলার বা এক হাজার ৩৫ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক।
তালিকায় আরও আছে পেশাগত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির চার কোটি ডলার বা ২৭৬ কোটি টাকা, সামাজিক খাত বিনিয়োগে ১০ কোটি ডলার বা ৬৯০ কোটি টাকা, জাতীয় সুরক্ষা প্রকল্পে নয় কোটি ডলার বা ৬২১ কোটি টাকা এবং ঢাকার পরিবেশ ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় ৪৮৩ কোটি টাকা।
দেশে চরম বিদ্যুৎ সংকট থাকলেও আগামী কৌশলপত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কোনো প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে না বলে বিশ্বব্যাংক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৩৫ কোটি ডলার বা দুই হাজার ৪১৫ কোটি টাকা সিদ্ধিরগঞ্জে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজও আটকে গেছে। ২০০৮ সালে অর্থ পাওয়ার জন্য সরকার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করলেও দরপত্রে বিলম্ব ও নানা ঘাপলার কারণে অর্থ ছাড় করাতে পারেনি।
আগের অর্থ ব্যবহূত না হওয়ায় নতুন কৌশলপত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কোনো প্রকল্প এখন পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তবে নতুন কৌশলপত্রে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি থাকলেও সরকারি ক্রয় আইনের সংশোধন নিয়ে বিশ্বব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন চলছে।
বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেসব প্রকল্পে অর্থায়ন করবে সেসব প্রকল্পে পণ্য ও সেবা ক্রয় এবং ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে সংস্থার নিজস্ব নীতিমালা মেনে চলা হবে।
উল্লেখ্য, ক্রয় আইনের (পিপিআর) সংশোধন অনুযায়ী, দুই কোটি টাকা পর্যন্ত সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পূর্ব-অভিজ্ঞতা লাগবে না এবং দুই কোটি টাকা পর্যন্ত কাজের জন্য লটারি ব্যবস্থা আবার চালু করা থাকবে।
ফলে বিশ্বব্যাংকের নতুন কৌশলপত্রে বিপুল পরিমাণ সহায়তার আশ্বাস থাকলেও সরকার প্রকল্প কতটা বাস্তবায়ন করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ২০০৬-০৯ সময়কালের জন্য দেশভিত্তিক সহায়তা কৌশলের (ক্যাস) মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই সময়কালে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দিয়েছে ২৬০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।
No comments