জোটে যোগ দিলেও সিরিয়া, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানে সমর্থন দেবে না পাকিস্তান
সৌদি
আরবের নেতৃত্বাধীন ইসলামিক সামরিক জোটে পাকিস্তান যোগ দিতে পারে। কিন্তু
তারা সিরিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে কোন অভিযানে সমর্থন দেবে না। পাকিস্তানের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে
অনলাইন দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এতে বলা হয়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ৩৪ জাতির
এই জোটে হয়তো পাকিস্তান যোগ দিয়েছে। কিন্তু সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করে তোলে
বা তেহরানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে টান পড়তে পারে এমন কোন অভিযানে
তারা সমর্থন দেবে না এই জোটকে। ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তানের
পররাষ্ট্র বিষয়ক সিনেটের স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এমন নিশ্চিত সিদ্ধান্ত
নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সিনেটর নুজহাত সাদিক। এতে
উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ
আজিজ ও পররাষ্ট্র সচিব ইজাজ আহমেদ চৌধুরী। এ বৈঠকে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন
ইসলামিক সামরিক জোটে যোগ দেয়া না দেয়া প্রশ্নে আলোচনা হয়। এতে পাকিস্তানের
ওপর সম্ভাব্য কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে তাও আলোচনা করা হয়। বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন এমন সূত্রগুলো বলেছেন, পার্লামেন্টকে আস্থায় না নিয়ে সৌদি
আরবের নেতৃত্বাধীন এমন জোটে যোগ দেয়ার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিটির
অনেক সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আতঙ্ক থেকে তারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তারা যে আতঙ্ক প্রকাশ করেন তাতে বলা হয়েছে, নতুন গঠিত এই জোটটি ব্যবহার করা
হতে পারে সিরিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে। তবে সূত্রমতে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
কর্মকর্তারা তেমন আশঙ্কা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা সৌদি আরবের নেতৃত্বে
ইসলামিক সামরিক জোটে সমর্থন দেবেন শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। এ
জন্যই তারা ওই জোটের শরীক। কর্মকর্তারা বলেছেন, সিরিয়া বিষয়ে পাকিস্তানের
অবস্থান পরিষ্কার। তা হলো প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে
বাইরের হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধী তারা। এক কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়া সঙ্কটের
রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে পাকিস্তান। সৌদি আরবের
নেতৃত্বে ইসলামিক সামরিক জোট এমন এক সময়ে গঠন করা হয়েছে যখন ইরানের সঙ্গে
পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তি করেছে। এ বিষয়টি
হয়তো অনেক দেশ ভাল চোখে দেখছে না। তাই ইরানকে পাল্টা জবাব দিতে সৌদি আরব
এমন জোট গঠন করেছে বলে পাকিস্তানের ওই বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কয়েকজন
সদস্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, সৌদি আরবের
নেতৃত্বে এই জোটে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তে ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক
আক্রান্ত হবে না। এই জোট বিশেষ কোন দেশের বিরুদ্ধে নয়।
No comments