ফুটবলে মেয়েদের শালীন পোশাক পরা by শাহ্ আব্দুল হান্নান
নেপালে
বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৪ বছর মেয়ে ফুটবল টিমের শিরোপা জয়ের খবর ও ছবি
বিভিন্ন পত্রিকায় দেখে আমার এই লেখা। যেকোনো প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশে কোনো
ক্রীড়া দলের বিজয় খবর আনন্দের। এশিয়ান ফুটবল কনফেড়ারেশন অনূর্ধ্ব ১৪
মেয়েদের আঞ্চলিক এই প্রতিযোগিতায় জয়ের খবরটিও হতে পারে আনন্দের। কিন্তু
প্রতিযোগিতায় মেয়ে ফুটবলারদের পরা পোশাক বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ধর্মবিশ্বাস ও
শালীনতাবোধের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হতে পারে।
বেশির ভাগ মুসলিম দেশের মেয়ে ফুটবলাররা হাফপ্যান্টের পরিবর্তে ফুলপ্যান্ট পরে খেলে থাকে। অথচ এই প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে দেখা গেল বাংলাদেশের মেয়েরা হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলছে। এটি মুসলিম দর্শকদের চোখে বিব্রতকর মনে হয়েছে। বাংলাদেশের ফুটবল টিমের বেশির ভাগ মেয়েই মুসলিম। মুসলিম মেয়েদের জন্য শালীন পোশাক পরার নির্দেশনা রয়েছে। যার ব্যতিক্রম ইসলামি শরিয়াহ অনুমোদন করে না।
ইরান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের মেয়ে প্রতিযোগিতামূলক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে। এসব দেশের মুসলিম মেয়েরা ফুলপ্যান্ট এবং অনেক ক্ষেত্রে মাথা ঢেকে ফুটবল খেলে থাকেন। ফুটবল খেলতে গিয়ে দৌড়ানো বা বল নিয়ে পায়ের কারুকাজে তাদের কোনো সমস্যা লক্ষ করা যায় না। এসব দেশের কোনো কোনো টিম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্যও লাভ করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো দেশকে মেয়েদের প্রতিযোগিতার জন্য আলাদা স্টেডিয়াম তৈরি অথবা তাদের জন্য নির্ধারিত দিন সংরক্ষণ করতেও দেখা যায়।
ফুটবলের মতো ক্রিকেটও একটি জনপ্রিয় খেলা। এই প্রতিযোগিতায় সব দেশেই ছেলেদের মতো মেয়ে ক্রিকেটাররাও ফুলপ্যান্ট পরে খেলেন। বাংলাদেশী মেয়েরাও ফুলপ্যান্ট পরে বিভিন্ন ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।
ইরান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব, কাতারের মেয়েরা ফুলপ্যান্ট এবং ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে ফুটবল খেলে অনেক সাফল্যও পেয়েছেন। পর্দা বা শালীন পোশাক তাদের জয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এ ছাড়া একটি প্রতিযোগিতায় জয়ের চেয়েও মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নির্দেশের প্রতি অনুগত থাকার গুরুত্ব কম নয়।
প্রয়োজন বোধে কর্তৃপক্ষ মেয়েদের জন্য সপ্তাহে তিন দিন স্টেডিয়াম সংরক্ষিত করার বিষয় বিবেচনা করতে পারে। এটি হয়তো এ মুহূর্তে সম্ভব মনে নাও হতে পারে। তবে চাহিদা দেখা দিলে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে। আর সব স্টেডিয়াম না হলেও যেখানে সম্ভব সেখানে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে। আমি বাংলাদেশের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষকে শরিয়াহর বিধানের বিষয়টিতে সম্মান জানানোর জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।
বেশির ভাগ মুসলিম দেশের মেয়ে ফুটবলাররা হাফপ্যান্টের পরিবর্তে ফুলপ্যান্ট পরে খেলে থাকে। অথচ এই প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে দেখা গেল বাংলাদেশের মেয়েরা হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলছে। এটি মুসলিম দর্শকদের চোখে বিব্রতকর মনে হয়েছে। বাংলাদেশের ফুটবল টিমের বেশির ভাগ মেয়েই মুসলিম। মুসলিম মেয়েদের জন্য শালীন পোশাক পরার নির্দেশনা রয়েছে। যার ব্যতিক্রম ইসলামি শরিয়াহ অনুমোদন করে না।
ইরান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের মেয়ে প্রতিযোগিতামূলক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে। এসব দেশের মুসলিম মেয়েরা ফুলপ্যান্ট এবং অনেক ক্ষেত্রে মাথা ঢেকে ফুটবল খেলে থাকেন। ফুটবল খেলতে গিয়ে দৌড়ানো বা বল নিয়ে পায়ের কারুকাজে তাদের কোনো সমস্যা লক্ষ করা যায় না। এসব দেশের কোনো কোনো টিম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্যও লাভ করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো দেশকে মেয়েদের প্রতিযোগিতার জন্য আলাদা স্টেডিয়াম তৈরি অথবা তাদের জন্য নির্ধারিত দিন সংরক্ষণ করতেও দেখা যায়।
ফুটবলের মতো ক্রিকেটও একটি জনপ্রিয় খেলা। এই প্রতিযোগিতায় সব দেশেই ছেলেদের মতো মেয়ে ক্রিকেটাররাও ফুলপ্যান্ট পরে খেলেন। বাংলাদেশী মেয়েরাও ফুলপ্যান্ট পরে বিভিন্ন ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।
ইরান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব, কাতারের মেয়েরা ফুলপ্যান্ট এবং ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে ফুটবল খেলে অনেক সাফল্যও পেয়েছেন। পর্দা বা শালীন পোশাক তাদের জয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এ ছাড়া একটি প্রতিযোগিতায় জয়ের চেয়েও মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নির্দেশের প্রতি অনুগত থাকার গুরুত্ব কম নয়।
প্রয়োজন বোধে কর্তৃপক্ষ মেয়েদের জন্য সপ্তাহে তিন দিন স্টেডিয়াম সংরক্ষিত করার বিষয় বিবেচনা করতে পারে। এটি হয়তো এ মুহূর্তে সম্ভব মনে নাও হতে পারে। তবে চাহিদা দেখা দিলে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে। আর সব স্টেডিয়াম না হলেও যেখানে সম্ভব সেখানে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে। আমি বাংলাদেশের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষকে শরিয়াহর বিধানের বিষয়টিতে সম্মান জানানোর জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।
No comments