রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়া হোক
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম অগি্নপুরুষ মাস্টার দা সূর্যসেনের সাথী, ঐতিহাসিক জালালাবাদ যুদ্ধের অন্যতম বীরযোদ্ধা বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী ১০ জানুয়ারি শতবর্ষে পা রাখলেন।
এই জন্ম শতবর্ষে আমরা তাকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৩০ সালে মাস্টার দা সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সময় তার সঙ্গে অংশ নিয়েছিল বহু তরুণ। ঝরে ছিল অনৈক তাজা প্রাণ। কিন্তু কালের সাী হয়ে আজ আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী। তখন সাময়িকভাবে তাঁদের বিপ্লব ব্যর্থ হলেও পরবতর্ীতে অত্যাচারী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নানা আন্দোলনে এমনকি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামেও সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছে সেই বিপ্লব। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও সেই বিপ্লবী পাননি যথার্থ মর্যাদা। আমাদের দেশে সাধারণত দেখা যায় মৃতু্যর পর মানুষকে নিয়ে আলোচনা-সম্মাননা জানানো হয়। কিন্তু যারা এখনও জীবিত তাদের নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যথা নেই কারও। তাই যদি না হতো, তাহলে স্বাধীনতার এত বছর পরেও কেন বিপ্লবী বিনোদ বিহারীর মতো একজন গুণী রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাননি? সেটা কি তিনি প্রত্যভাবে নোংরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন বলেই? কোটি তরুণের আইডল এই প্রতিথযশা ব্যক্তির অগি্নঝরা বাণী শুনে আরও আমরা অনুপ্রাণিত হই। এমন বটবৃকে যদি যথোপযোগ্য মর্যাদা না দেয়া হয় তাহলে সমাজ প্রগতির দিকে ধাবিত হবে কি করে? বর্তমানে টাকা আছে বলেই অনেক অযোগ্য ব্যক্তি নিজের ঢোল নিজেই পিটিয়ে বেড়ান। অথচ প্রচারবিমুখ এই মানুষটি আমাদের দেশের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা অতুলনীয়। তাই বর্তমান দিনবদলের সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ, জাতির প থেকে আপনি বহু সংগ্রামের লড়াকু সৈনিক, প্রাক্তন আইন পরিষদের সদস্য, আমাদের গর্ব বিপ্লবী বিনোদ বিহারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা দেয়া হোক। সেটাই হবে যথোচিত শ্রদ্ধার্ঘ্য, সত্যিকার অর্থেই দিনবদলের উদাহরণ।লেখক : শিার্থী াংলা বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
No comments