ভাগ্য ফিরবে রিয়াল-বার্সার?
শুরুতেই একটা কুইজ। বলুন তো, স্প্যানিশ লিগে এখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে কোন দল? গত দু-এক দিন যদি লা লিগার হালনাগাদ তথ্যের খোঁজ না নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে চমকে যাওয়ার মতো একটা উত্তর: রিয়াল বেটিস! সেই বেটিসই, যে বেটিস এই মৌসুমেই দ্বিতীয় বিভাগ থেকে আবার ফিরেছে লা লিগায়। যে বেটিস লা লিগা জিতেছিল একবারই, সেটাও প্রাগৈতিহাসিক যুগে—১৯৩৫ সালে। পরশু ১০ জনের দল নিয়েও রিয়াল জারাগোজাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে তারা। ম্যান সিটি থেকে ‘বিতাড়িত’ সান্তা ক্রুজ করেছেন জোড়া গোল। সব দলের চারটি করে ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর শতভাগ সাফল্য শুধুই রিয়াল বেটিসের।
অবশ্য এতে খুব বিচলিত বোধ করার কারণ নেই বার্সেলোনার। গতবারও প্রথম চার ম্যাচে চার-ছয়-আট নম্বরে ঘোরাঘুরি করে ঠিকই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল। তবে তার পরও পুরোপুরি চিন্তামুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারছে না বার্সা-রিয়ালের কেউই। গত ম্যাচেই ভ্যালেন্সিয়ার মুখোমুখি হওয়ার পর আজ আবার বড় ম্যাচ আছে বার্সার। প্রতিপক্ষ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। অবশ্য বার্সেলোনার জন্য স্বস্তির ব্যাপার হলো, খেলাটা নিজেদের মাঠে। গতবার ন্যু ক্যাম্পে অ্যাটলেটিকোকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বার্সা।
নিজেদের মাঠে ফেরার স্বস্তি আছে হোসে মরিনহোর দলেরও। তা ছাড়া প্রতিপক্ষ তাদের এবারই দ্বিতীয় বিভাগ থেকে উঠে আসা রায়ো ভ্যালেকানো। তবে প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজের দল নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা মরিনহোর, ‘দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচে ৫ পয়েন্ট হারানো উদ্বেগের। তার চেয়ে বড় উদ্বেগের, গত তিন ম্যাচে আমরা মাত্র একটি গোল করেছি। শনিবার (আজ) আমাদের গোল করা এবং জেতা—দুটিই নিশ্চিত করতে হবে।’
রেসিং সান্তান্দারের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র। এর আগের ম্যাচে পুঁচকে লেভান্তের কাছে হার। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে ডায়নামো জাগরেবকে ন্যূনতম ব্যবধানে হারানো। এটাই হলো মরিনহোর দেওয়া হিসাবের তিন ম্যাচ। দুশ্চিন্তা আরও বাড়ার কারণ, চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটিতে জারকো লেকোর মারাত্মক ট্যাকলের শিকার হয়ে অ্যাঙ্কেলে চোট পাওয়ার পর তিনটা সেলাই নিতে হয়েছে রোনালদোকে। এর পর থেকে এই পর্তুগিজ সেরা রূপে দেখা দিতে পারছেন না।
বার্সার জন্য দুশ্চিন্তাটা আবার আক্রমণভাগের চেয়ে রক্ষণ নিয়েই বেশি। এমনিতে ‘বিকল্প’ দুই ডিফেন্ডার দিয়ে বেশ কিছুদিন কাজ চালিয়েছে বার্সা। দুই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হাভিয়ের মাচেরানো ও সার্জিও বুসকেটস মোটামুটি রক্ষণ সামাল দিলেও মাঝেমধ্যেই ফাঁকফোকর বেরিয়ে পড়ছে বার্সার রক্ষণে। এরই মধ্যে গত ম্যাচে আবার আত্মঘাতী গোলও করেছেন এরিক আবিদাল। গার্দিওলার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ কমিয়ে কদিন আগেই অবশ্য দলে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক কার্লোস পুয়োল। এই ম্যাচে ফিরতে পারেন আরেক সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকেও।
পুয়োল-পিকের ফেরাটা তো মনেপ্রাণেই চাইছিলেন গার্দিওলা। আজ থাকবে আরেকটা চাওয়াও—বার্সা ফিরুক ‘বার্সা’র রূপে।
অবশ্য এতে খুব বিচলিত বোধ করার কারণ নেই বার্সেলোনার। গতবারও প্রথম চার ম্যাচে চার-ছয়-আট নম্বরে ঘোরাঘুরি করে ঠিকই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল। তবে তার পরও পুরোপুরি চিন্তামুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারছে না বার্সা-রিয়ালের কেউই। গত ম্যাচেই ভ্যালেন্সিয়ার মুখোমুখি হওয়ার পর আজ আবার বড় ম্যাচ আছে বার্সার। প্রতিপক্ষ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। অবশ্য বার্সেলোনার জন্য স্বস্তির ব্যাপার হলো, খেলাটা নিজেদের মাঠে। গতবার ন্যু ক্যাম্পে অ্যাটলেটিকোকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বার্সা।
নিজেদের মাঠে ফেরার স্বস্তি আছে হোসে মরিনহোর দলেরও। তা ছাড়া প্রতিপক্ষ তাদের এবারই দ্বিতীয় বিভাগ থেকে উঠে আসা রায়ো ভ্যালেকানো। তবে প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজের দল নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা মরিনহোর, ‘দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচে ৫ পয়েন্ট হারানো উদ্বেগের। তার চেয়ে বড় উদ্বেগের, গত তিন ম্যাচে আমরা মাত্র একটি গোল করেছি। শনিবার (আজ) আমাদের গোল করা এবং জেতা—দুটিই নিশ্চিত করতে হবে।’
রেসিং সান্তান্দারের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র। এর আগের ম্যাচে পুঁচকে লেভান্তের কাছে হার। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে ডায়নামো জাগরেবকে ন্যূনতম ব্যবধানে হারানো। এটাই হলো মরিনহোর দেওয়া হিসাবের তিন ম্যাচ। দুশ্চিন্তা আরও বাড়ার কারণ, চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটিতে জারকো লেকোর মারাত্মক ট্যাকলের শিকার হয়ে অ্যাঙ্কেলে চোট পাওয়ার পর তিনটা সেলাই নিতে হয়েছে রোনালদোকে। এর পর থেকে এই পর্তুগিজ সেরা রূপে দেখা দিতে পারছেন না।
বার্সার জন্য দুশ্চিন্তাটা আবার আক্রমণভাগের চেয়ে রক্ষণ নিয়েই বেশি। এমনিতে ‘বিকল্প’ দুই ডিফেন্ডার দিয়ে বেশ কিছুদিন কাজ চালিয়েছে বার্সা। দুই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হাভিয়ের মাচেরানো ও সার্জিও বুসকেটস মোটামুটি রক্ষণ সামাল দিলেও মাঝেমধ্যেই ফাঁকফোকর বেরিয়ে পড়ছে বার্সার রক্ষণে। এরই মধ্যে গত ম্যাচে আবার আত্মঘাতী গোলও করেছেন এরিক আবিদাল। গার্দিওলার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ কমিয়ে কদিন আগেই অবশ্য দলে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক কার্লোস পুয়োল। এই ম্যাচে ফিরতে পারেন আরেক সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকেও।
পুয়োল-পিকের ফেরাটা তো মনেপ্রাণেই চাইছিলেন গার্দিওলা। আজ থাকবে আরেকটা চাওয়াও—বার্সা ফিরুক ‘বার্সা’র রূপে।
No comments