একই বৃত্তে রিয়াল-বার্সা
হোসে মরিনহো বলেছিলেন, ‘মোটেও না।’ বার্সেলোনার হয়ে কদিন আগে বলেছেন থিয়াগো আলকানতারাও, ‘সেটা বলা হলে মিথ্যা বলা হবে।’ প্রসঙ্গ ছিল একটাই—স্প্যানিশ লিগ শুধুই রিয়াল-বার্সা দুই দলের লড়াই কি না।
শুধু মুখের কথায় হয়তো মানুষ মানবে না। রিয়াল-বার্সেলোনা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। পরশু লিগে দুই দলই ড্র করল। প্রথমে রিয়াল গোলশূন্য ড্র করেছে পয়েন্ট টেবিলে ১৭ নম্বরে থাকা রেসিং সান্তান্দারের বিপক্ষে। পরের ম্যাচে বার্সা দু-দুবার পিছিয়ে পড়ে ২-২ গোলে ড্র করেছে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। গত ১১ বছরের মধ্যে বার্সা-রিয়াল বাদে লিগ শিরোপা জিতেছে শুধুই ভ্যালেন্সিয়া। ৪ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সেই ভ্যালেন্সিয়াই এখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে বার্সা, ১ পয়েন্ট কম নিয়ে সাতে রিয়াল।
আগের ম্যাচে পুঁচকে লেভান্তের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর মনে করা হয়েছিল, এই ম্যাচে হয়তো ফুঁসে উঠবে রিয়াল। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষের দিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দারুণ একটা হেড আর দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া নামার পর কিছু গতিশীল আক্রমণ ছাড়া কার্যত ধারহীন লেগেছে রিয়ালকে। পুরো ম্যাচে রক্ষণাত্মক খেলে পাল্টা আক্রমণে মাঝেমধ্যে উঠে যাওয়া রেসিং দু-তিনটি সুযোগ নষ্ট করেছে। না হলে লেভান্তের মতো অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারত তারাও।
বার্সার সামনে সুযোগ ছিল রিয়ালের পা হড়কানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। আগের দুই মৌসুমের শিক্ষা বলছে, শেষ পর্যন্ত এবারও শিরোপা নির্ধারিত হতে পারে মাত্র কয়েক পয়েন্টের ব্যবধানে। কিন্তু আগের ম্যাচে ওসাসুনাকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া বার্সা ড্র করেছে কপালগুণে। এই মৌসুমের শুরু থেকেই রক্ষণভাগের সমস্যায় আক্রান্ত বার্সা প্রথম গোলটি খেয়েছে এরিক আবিদালের আত্মঘাতী গোলে। অবশ্য ১২ মিনিটে এই গোল হজম করার দুই মিনিটের মধ্যেই সেটি শোধ করে দিয়েছিলেন পেদ্রো। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ভ্যালেন্সিয়া আবার এগিয়ে যায় ২২ মিনিটে পাবলো হার্নান্দেজের গোলে।
প্রথমার্ধে আরও কিছু সুযোগ পেয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া। এর মধ্যে আগের তিন ম্যাচে ৫ গোল করা রবার্তো সলদাদো সহজতম সুযোগ পেয়েও সেটি নষ্ট করেছেন। একদম ফাঁকা পোস্ট পেয়েও মাত্র এক গজ দূর থেকে অবিশ্বাস্যভাবে বল মেরে দিয়েছেন বাইরে। শেষ পর্যন্ত মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বলে ৭৭ মিনিটে গোল শোধ করে দেন সেস ফ্যাব্রিগাস। বার্সায় নাম লেখানোর পর লিগে ফ্যাব্রিগাসের এটি চতুর্থ গোল। দুই অর্ধে দুবার মেসির দুটি পেনাল্টির দাবি অবশ্য রেফারি নাকচ করে দিয়েছেন। স্বভাববিরুদ্ধভাবে মাঠেই নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন টানা দুবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়।
বার্সা-রিয়ালের ড্রয়ের দিনে স্পোর্টিং গিজনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। জোড়া গোল করেছেন এই মৌসুমে পোর্তো থেকে অ্যাটলেটিকোতে আসা রাদামেল ফ্যালকাও। লিগে ফ্যালকাওয়েরও গোল হয়ে গেল পাঁচটি, পোর্তোর হয়ে গত মৌসুমে ৪২ ম্যাচে ৩৯ গোলের কথাই যেন মনে করিয়ে দিচ্ছেন এই কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার।
স্বাভাবিকভাবেই বার্সা-রিয়াল দুই শিবিরেই হতাশা। তবে রিয়ালের হতাশাটা যেন একটু বেশিই। অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসের কথাতেই সেটা পরিষ্কার, ‘টানা দুই ম্যাচে আমরা এমন দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গে জিততে পারলাম না, যারা সত্যি বলতে আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারই চেষ্টা করেনি। এটা হতাশার, তবে আমাদের হাল ছাড়লে চলবে না। যদিও আমরা ভালো করেই বুঝছি, যেভাবে খেলছি সেটা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে যায় না।’ আর মরিনহো বলছেন, ‘দুই ম্যাচে ৫ পয়েন্ট হাতছাড়া করা আমাদের জন্য খুব দুশ্চিন্তার।’
শুধু মুখের কথায় হয়তো মানুষ মানবে না। রিয়াল-বার্সেলোনা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। পরশু লিগে দুই দলই ড্র করল। প্রথমে রিয়াল গোলশূন্য ড্র করেছে পয়েন্ট টেবিলে ১৭ নম্বরে থাকা রেসিং সান্তান্দারের বিপক্ষে। পরের ম্যাচে বার্সা দু-দুবার পিছিয়ে পড়ে ২-২ গোলে ড্র করেছে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। গত ১১ বছরের মধ্যে বার্সা-রিয়াল বাদে লিগ শিরোপা জিতেছে শুধুই ভ্যালেন্সিয়া। ৪ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সেই ভ্যালেন্সিয়াই এখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে বার্সা, ১ পয়েন্ট কম নিয়ে সাতে রিয়াল।
আগের ম্যাচে পুঁচকে লেভান্তের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর মনে করা হয়েছিল, এই ম্যাচে হয়তো ফুঁসে উঠবে রিয়াল। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষের দিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দারুণ একটা হেড আর দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া নামার পর কিছু গতিশীল আক্রমণ ছাড়া কার্যত ধারহীন লেগেছে রিয়ালকে। পুরো ম্যাচে রক্ষণাত্মক খেলে পাল্টা আক্রমণে মাঝেমধ্যে উঠে যাওয়া রেসিং দু-তিনটি সুযোগ নষ্ট করেছে। না হলে লেভান্তের মতো অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারত তারাও।
বার্সার সামনে সুযোগ ছিল রিয়ালের পা হড়কানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। আগের দুই মৌসুমের শিক্ষা বলছে, শেষ পর্যন্ত এবারও শিরোপা নির্ধারিত হতে পারে মাত্র কয়েক পয়েন্টের ব্যবধানে। কিন্তু আগের ম্যাচে ওসাসুনাকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া বার্সা ড্র করেছে কপালগুণে। এই মৌসুমের শুরু থেকেই রক্ষণভাগের সমস্যায় আক্রান্ত বার্সা প্রথম গোলটি খেয়েছে এরিক আবিদালের আত্মঘাতী গোলে। অবশ্য ১২ মিনিটে এই গোল হজম করার দুই মিনিটের মধ্যেই সেটি শোধ করে দিয়েছিলেন পেদ্রো। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ভ্যালেন্সিয়া আবার এগিয়ে যায় ২২ মিনিটে পাবলো হার্নান্দেজের গোলে।
প্রথমার্ধে আরও কিছু সুযোগ পেয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া। এর মধ্যে আগের তিন ম্যাচে ৫ গোল করা রবার্তো সলদাদো সহজতম সুযোগ পেয়েও সেটি নষ্ট করেছেন। একদম ফাঁকা পোস্ট পেয়েও মাত্র এক গজ দূর থেকে অবিশ্বাস্যভাবে বল মেরে দিয়েছেন বাইরে। শেষ পর্যন্ত মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বলে ৭৭ মিনিটে গোল শোধ করে দেন সেস ফ্যাব্রিগাস। বার্সায় নাম লেখানোর পর লিগে ফ্যাব্রিগাসের এটি চতুর্থ গোল। দুই অর্ধে দুবার মেসির দুটি পেনাল্টির দাবি অবশ্য রেফারি নাকচ করে দিয়েছেন। স্বভাববিরুদ্ধভাবে মাঠেই নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন টানা দুবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়।
বার্সা-রিয়ালের ড্রয়ের দিনে স্পোর্টিং গিজনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। জোড়া গোল করেছেন এই মৌসুমে পোর্তো থেকে অ্যাটলেটিকোতে আসা রাদামেল ফ্যালকাও। লিগে ফ্যালকাওয়েরও গোল হয়ে গেল পাঁচটি, পোর্তোর হয়ে গত মৌসুমে ৪২ ম্যাচে ৩৯ গোলের কথাই যেন মনে করিয়ে দিচ্ছেন এই কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার।
স্বাভাবিকভাবেই বার্সা-রিয়াল দুই শিবিরেই হতাশা। তবে রিয়ালের হতাশাটা যেন একটু বেশিই। অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসের কথাতেই সেটা পরিষ্কার, ‘টানা দুই ম্যাচে আমরা এমন দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গে জিততে পারলাম না, যারা সত্যি বলতে আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারই চেষ্টা করেনি। এটা হতাশার, তবে আমাদের হাল ছাড়লে চলবে না। যদিও আমরা ভালো করেই বুঝছি, যেভাবে খেলছি সেটা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে যায় না।’ আর মরিনহো বলছেন, ‘দুই ম্যাচে ৫ পয়েন্ট হাতছাড়া করা আমাদের জন্য খুব দুশ্চিন্তার।’
No comments