ইরাকে জরুরি অবস্থা জারি
ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী মসুল দখল করে নিয়েছে বন্দুকধারীরা। এ সময় সেনা সদস্যরা তাদের উর্দি খুলে নিরাপত্তা চৌকিগুলো থেকে পালিয়ে যান। মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি, আলজাজিরা। এদিকে, মুসল দখলেপর সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুরি আল মালিক। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইরাককে জঙ্গি মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সহায়তা চাইব।
নিনেভা প্রদেশের রাজধানী মসুল বাগদাদের সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এখানে সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। নগরীটি জঙ্গিদের একটি শক্ত ঘাঁটি এবং দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা। চলতি বছর বাগদাদের পশ্চিমাঞ্চলের ফালুজার পর মসুল নগরীতে সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, মসুল নগরী সরকারের হাতছাড়া হয়ে গেছে এবং জঙ্গিরা এখন এটি নিয়ন্ত্রণ করছে। আর সৈন্যরা তাদের উর্দি ফেলে পালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বন্দুকধারীরা সুন্নি মুসলিম। তারা লাউড স্পিকারে ঘোষণা দেয়, আমরা মসুল ‘মুক্ত’ করতে এসেছি। আমাদের ওপর যারা হামলা করবে তাদের বিরুদ্ধেই শুধু যুদ্ধ করব। নিনেভা প্রদেশে সামরিক কমান্ডের এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, জিহাদিস্ট ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লিভান্টের (আইএসআইএল) শত শত জঙ্গির সঙ্গে সোমবার বিকাল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে রাতভর যুদ্ধ চলে। তিনি বলেন, নগরীর পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিভিন্ন সামরিক ইউনিট প্রত্যাহার করা হয়। এরপর সেনাসদস্যরা নগরী ছাড়তে শুরু করে। জঙ্গিরা এখন নগরী নিয়ন্ত্রণ করছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক সাংবাদিক নিজেও তার পরিবার-পরিজন নিয়ে নগরী ছেড়েছেন। তিনি বলেন, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের যানবাহন ছেড়ে পালিয়েছে এবং একটি পুলিশ স্টেশনে আগুন দেয়া হয়েছে। জঙ্গিরা নিনেভা, আনবার, দিয়ালা, সালেহেদ্দিন ও বাগদাদ প্রদেশে বৃহস্পতিবার থেকে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তারা বহু লোককে হত্যা করেছে। এর আগে গত জানুয়ারিতে সরকার ফালুজা নগরীর নিয়ন্ত্রণ হারায়। ইরাকে ২০০৬-২০০৭ সাল থেকে সহিংসতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ সময়ের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া ও সংখ্যালঘু সুন্নিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে হাজার হাজার লোক নিহত হয়। এএফপির তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬০০’র বেশি লোক নিহত হয়েছে। ইরাকের সরকারি কর্মকর্তারা দেশটিতে ক্রমবর্ধমান রক্তপাতের জন্য বহির্বিশ্বের বিভিন্ন প্রসঙ্গ বিশেষত সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধকে দায়ী করেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে সুন্নি আরবদের ব্যাপক ক্ষোভ রক্তপাতের একটা বড় কারণ।
* আমরা মসুল মুক্ত করতে এসেছি। আমাদের ওপর যারা হামলা করবে তাদের বিরুদ্ধেই শুধু যুদ্ধ করব।
* জানুয়ারিতে সরকার ফালুজা নগরীর নিয়ন্ত্রণ হারায়
* আমরা মসুল মুক্ত করতে এসেছি। আমাদের ওপর যারা হামলা করবে তাদের বিরুদ্ধেই শুধু যুদ্ধ করব।
* জানুয়ারিতে সরকার ফালুজা নগরীর নিয়ন্ত্রণ হারায়
No comments