বসনত্ম কি এসে গেল!
সমুদ্র হক কবি পার্সি বিসি (পিবি) শেলী তাঁর কবিতায় লিখেছেন ' ইফ উইন্টার কামস, ক্যান সপ্রিং বি ফার বিহাইন্ড...'। এই তো দিনকয়েক আগেই কী শীতই না অনুভূত হয়েছিল! এবারের মাঘের শীতে যে বাঘ পালিয়ে লোকালয়ে আশ্রয় নিয়েছিল (যদিও সেই বাঘকে রা করা যায়নি) সেই খবর তো পত্রিকার পাঠকরা পড়েছেন।
সাধারণত ঢাকায় কংক্রিটের বনে শীত কমই অনুভূত হয়_ সেই রাজধানী ঢাকাকেও কাহিল করে ফেলেছিল এবারের শীত! উত্তরাঞ্চলের মানুষই যখন শীতে এবার একেবারে ফ্রিজ তখন অন্যান্য এলাকার কি অবস্থা তা আর বলে দিতে হয় না। সেই শীত বুঝি এবার উধাও হয়ে যাচ্ছে। মাঘের মধ্যভাগেই বইছে বসনত্মের হাওয়া। শীতের অনুভূতিটাই এবার যেন কেমন। ক'দিন আগেই কুয়াশার মেঘ চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল রোদকে, সেই রোদ যখন উঠেছে তখন কিছুণ রোদে থাকলেই ঘেমে ওঠে শরীর। আবার ছায়ায় বসলে লাগে শীত। আবহাওয়ার মতিগতি বুঝে ওঠাই কঠিন। এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়ে দিয়েছে ফেব্রম্নয়ারি মাসে ফের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবেই হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ আসুক আর নাই আসুক বসনত্ম যে দুয়ারে উঁকি দিয়েছে এখনকার রৌদ্র ছায়া তাই বলে দেয়। বসনত্মের মাতাল সমীরণে ভরা চাঁদের মাঘী পূর্ণিমাও এখন দুয়ারে। মাঘ মাসের এই পূর্ণিমায় হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের থাকে কতই আয়োজন। বগুড়ার শেরপুরে ভবানীপুর মন্দিরে মাঘী পূর্ণিমাকে ঘিরে সাজ সাজ রব পড়েছে, যেখানে আগামী শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকেই শুরম্ন হয়ে যাবে পুণ্যস্নানসহ নানা অনুষ্ঠান। বসনত্মের হাওয়ায় এই আয়োজনে দেশবিদেশের পুণ্যাথর্ীরা আসবে। বসনত্মের দোলায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আনন্দে মেতে ওঠার আয়োজন করেছে। এ তো সবই ঘটছে বসনত্মের আগমনে। কবি শেলীর কবিতার শীত যখন এসেছে বসনত্ম কি খুব দূরে! মোটেও না। ফাগুনের রং যেন এখনই। বসনত্ম এলো বলে.....।
No comments