ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শতবর্ষ পূর্তির বর্ণিল উসব
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শতবর্ষ পূর্তি উৎসব উদ্বযাপন করছে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিৰক প্রশিৰণ প্রতিষ্ঠান সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা।
১৯০৯ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে শিৰক প্রশিৰণ কার্যক্রমে শতাব্দীব্যাপী অবদানের পথ ধরেই আজ উদ্্যাপিত হচ্ছে দু'দিনব্যাপী শতবর্ষ পূর্তি উৎসব। সোমবার সকালে উৎসবের উদ্বোধনের পর বর্ণিল আয়োজনে উৎসবে মেতে উঠেছে উপমহাদেশের প্রচীন এ বিদ্যাপীঠ। উৎসবকে ঘিরে ঢাকা টি.টি, সি পরিণত হয়েছে হাজার হাজার নবীন-প্রবীণ শিৰক, শিৰার্থী ও প্রশিৰকদের মিলনমেলায়। স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গোলটেবিল আলোচনা, স্মরণিকা বিতরণ, শিৰামেলা, শিৰার্থী ও প্রশিৰণার্থীদের তৈরি আকর্ষণীয় পণ্য প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য এই উৎসবের শেষ হবে আজ। সোমবার সকাল ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি জিলস্নুর রহমানের এই উৎসব উদ্বোধন করার কথা থাকলেও অসু্স্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি। পরে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশেষ অতিথি শিৰামন্ত্রী নূরম্নল ইসলাম নাহিদ। 'শিৰার গুণগত মানোন্নয়ণ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে শিৰক প্রশিৰণ'_ এই অঙ্গীকারকে ধারণ করে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরম্ন হয় অনুষ্ঠানমালা। শিৰামন্ত্রী বলেন, মানুষ তার মনুষ্যত্বের জন্যই মানুষ। আর শিৰকরাই হচ্ছেন এই মানুষ গড়ার কারিগর। শিককরা প্রশিৰণ কলেজে এসে শিৰণ পদ্ধতি ও কুশলতা অর্জন করে উপযুক্ত কারিগর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই টিচার্স ট্রেনিং কলেজ সেই ১৯০৯ সাল থেকে গুরম্নদায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের গৃহীত 'ভিশন ২০২১' লৰ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে গুরম্নদায়িত্ব। আশা করি প্রতিষ্ঠানটির প্রশিৰণ কার্যক্রম সফলভাবে চালিয়ে যাওয়ার ফলে দেশের শিৰার গুণগত মানোন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং জ্ঞান প্রদীপের আলোয় দেশ ও জাতিকে অবিরত সমুজ্জ্বল করতে থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যৰ এসএম আবু সাঈদ। বক্তব্য রাখেন শিৰা সচিব সৈয়দ আতাউর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিৰা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশীদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস প্রমুখ। কেবল শিৰামন্ত্রীই নয়, উপস্থিত সকলেই প্রচীন এই শিৰক প্রশিৰণ কলেজের বহুমাত্রিক প্রশিৰণ ও শিৰা কর্মসূচীতে সনত্মোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা বলেন, অসংখ্য কর্মকুশলী দৰ শিৰক তৈরি, শিৰকদের কর্মপূর্ব এবং কর্মকালীন প্রশিৰণ প্রদান, বিএড এমএডসহ আধুনিক শিৰা বিজ্ঞানের ধারাবাহিক পদ্ধতি ও কৌশল বাসত্মবায়নে নেতৃস্থানীয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এই কলেজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শিৰামেলার উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিৰা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক রাশিদা বেগম। এরপর আবেগাপস্নুত স্মৃতিচারণ করেন কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিৰক, প্রশিৰক ও প্রশিৰণার্থীরা। পুরোটা দিন চলে স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ মঙ্গলবার শেষ দিনে সকাল ১০টায় শুরম্ন হবে অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগোযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। থাকবেন সরকারের আরও বেশ কয়েকজন গুরম্নত্বপূর্ণ ব্যক্তি। দ্বিতীয়পর্বে আয়োজিত শিৰা বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন বরেণ্য শিৰাবিদ, রাজনীতিবিদ, শিৰক, প্রশিৰকসহ বিশিষ্টজন। তবে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান উৎসবমুখর হলেও খাবারের আয়োজনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অব্যবস্থাপনার চিত্র অনেককেই ুব্ধ করে । অংশগ্রহণকারী শিৰক, শিৰার্থীরা অভিযোগ করেন, দুপুরে খাবার পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আয়োজনেও ছিল নানা বিশৃঙ্খলা।
No comments