রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার কার্যকর কিছুই করছে না: ব্রিটেনে শেখ হাসিনা
মিয়ানমার
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে কার্যকর ও বাস্তবসম্মত কোনো কিছুই করছে না বলে
অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিকেলে ব্রিটেনে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) ‘বাংলাদেশ’স ডেভেলপমেন্ট স্টোরি: পলিসিজ, প্রগ্রেসেজ অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এ অভিযোগ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, “রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি, চুক্তি হয়েছে এবং তারা সম্মত হয়েছে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মিয়ানমার তাদের নাগরিক উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। সেটাই সমস্যা।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সাম্প্রতিক সময়ে নির্যাতনের মাধ্যমে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুরো চাপ বাংলাদেশ একাই সামলাচ্ছে। বাংলাদেশ এ সংকটের শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও আশু সমাধান চায়।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করার পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকদের সংখ্যা এখন ১১ লাখ। বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে তাদের দুর্দশা দেখেছি। অনেক বিশ্ব নেতা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন।
সম্প্রতি একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে মিয়ানমারের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে রয়টার্সে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ডার লাইনে, জিরো পয়েন্টে অনেক রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু রয়েছে। মিয়ানমার সেখান থেকে একটা পরিবারের অর্ধেক নিয়েছে, ক্যাম্প থেকে নেয়নি। এসব পরিবারের সদস্য ক্যাম্পেও রয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সম্ভবত বিশ্বকে দেখাতে চাইছে তারা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে নেয়া শুরু করেছে। এটা ভালো লক্ষণ। কিন্তু একটা পরিবার কেন? আমরা তাদের ৮ হাজার পরিবারের তালিকা দিয়েছি, কিন্তু তারা তাদের ফিরিয়ে নেয়নি। কারণ তারা দেখাতে চায়, এটা ভালো, তাদের উচিত রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেয়া পুরোদমে শুরু করা।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু মিয়ানমার আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এজন্য আমরা তাদের সঙ্গে বন্ধুভাবাপন্নভাবে আলোচনা করছি। সম্প্রতি মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। মিয়ানমারের প্রতিবেশি পাঁচটি দেশ চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস, বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। আমরা এসব দেশের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন আলোচনা করছি তখন মিয়ানমার দেখাচ্ছে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরত নেবে। তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলছে, আগ্রহ দেখাচ্ছে কিন্তু বাস্তবে কিছুই করছে না। এজন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো চাপ তৈরি করতে হবে মিয়ানমারের ওপর। যাতে মিয়ানমার শিগগির তাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।
বর্তমান বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানো সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী ও শান্তিপূর্ণ দেশ করতে ভিশন-২০৪১ প্রণয়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে ব্রিটেনে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) ‘বাংলাদেশ’স ডেভেলপমেন্ট স্টোরি: পলিসিজ, প্রগ্রেসেজ অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এ অভিযোগ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, “রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি, চুক্তি হয়েছে এবং তারা সম্মত হয়েছে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মিয়ানমার তাদের নাগরিক উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। সেটাই সমস্যা।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সাম্প্রতিক সময়ে নির্যাতনের মাধ্যমে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুরো চাপ বাংলাদেশ একাই সামলাচ্ছে। বাংলাদেশ এ সংকটের শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও আশু সমাধান চায়।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করার পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকদের সংখ্যা এখন ১১ লাখ। বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে তাদের দুর্দশা দেখেছি। অনেক বিশ্ব নেতা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন।
সম্প্রতি একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে মিয়ানমারের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে রয়টার্সে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ডার লাইনে, জিরো পয়েন্টে অনেক রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু রয়েছে। মিয়ানমার সেখান থেকে একটা পরিবারের অর্ধেক নিয়েছে, ক্যাম্প থেকে নেয়নি। এসব পরিবারের সদস্য ক্যাম্পেও রয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সম্ভবত বিশ্বকে দেখাতে চাইছে তারা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে নেয়া শুরু করেছে। এটা ভালো লক্ষণ। কিন্তু একটা পরিবার কেন? আমরা তাদের ৮ হাজার পরিবারের তালিকা দিয়েছি, কিন্তু তারা তাদের ফিরিয়ে নেয়নি। কারণ তারা দেখাতে চায়, এটা ভালো, তাদের উচিত রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেয়া পুরোদমে শুরু করা।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু মিয়ানমার আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এজন্য আমরা তাদের সঙ্গে বন্ধুভাবাপন্নভাবে আলোচনা করছি। সম্প্রতি মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। মিয়ানমারের প্রতিবেশি পাঁচটি দেশ চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস, বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। আমরা এসব দেশের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন আলোচনা করছি তখন মিয়ানমার দেখাচ্ছে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরত নেবে। তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলছে, আগ্রহ দেখাচ্ছে কিন্তু বাস্তবে কিছুই করছে না। এজন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো চাপ তৈরি করতে হবে মিয়ানমারের ওপর। যাতে মিয়ানমার শিগগির তাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।
বর্তমান বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানো সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী ও শান্তিপূর্ণ দেশ করতে ভিশন-২০৪১ প্রণয়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।
No comments