এটিএমে টাকা অমিল: রাহুল বললেন 'মোদি দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন'
ভারতের
বিভিন্ন রাজ্যে এটিএম বুথে টাকা না পাওয়ার সমালোচনা করে কংগ্রেস সভাপতি
রাহুল গান্ধী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা
ধ্বংস করে দিয়েছেন। তিনি আজ (মঙ্গলবার) ওই মন্তব্য করেছেন।
রাহুল গান্ধী পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নীরব মোদিকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, "নীরব মোদি ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেও মোদিজি এ নিয়ে কিছুই বলেননি।"
তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী ‘আচ্ছে দিন’ (সুদিন)-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু ফের আরো একবার দেশবাসীকে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এ ধরণের সুদিন আসার কথাই কী বলা হয়েছিল? প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে যে সুদিনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা নীরব মোদি, মেহুল চোকসিসহ মাত্র ১৫ জনের কাছে এসেছে। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ গরিবের জন্য শুধুই খারাপ দিন এসেছে।"
ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানাসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই এটিএমে টাকা না থাকায় সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের এটিএম থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে না। বড় নোট গায়েব হয়ে গেছে। নোট বাতিলের দিনগুলো আবার মনে পড়ে যাচ্ছে। দেশে কী আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?"
আরজেডি নেতা ও বিহারের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বলেছেন, "বিহারে গত কয়েকদিন ধরে অধিকাংশ এটিএম খালি। মানুষজন গভীর সংকটে পড়েছেন।"
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাফাই দিয়ে বলেছেন, "দেশে নগদ অর্থের কোনো ঘাটতি নেই। কিছু জায়গায় আচমকা চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অরুণ জেটলি বলেন, "দেশের ক্যাশ সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। বাজার ও ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাশ মওজুদ আছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।"
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ও কোলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক আজ রেডিও তেহরানকে বলেন, "সরকার মানুষদের একটা ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে। দেশের ব্যবসায়ীরা বিপন্ন হচ্ছেন, ছোট ব্যবসায়ীরা আরও খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ বিপন্নতা বোধ করছেন, তারা ঠিকমতো কেনাকাটা করতে পারছেন না। মধ্যবিত্তের অবস্থাও সঙ্গিন কারণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে আমাদের সাম্রাজ্যবাদী ও কর্পোরেটদের তুলে দিচ্ছে।"
রাহুল গান্ধী পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নীরব মোদিকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, "নীরব মোদি ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেও মোদিজি এ নিয়ে কিছুই বলেননি।"
তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী ‘আচ্ছে দিন’ (সুদিন)-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু ফের আরো একবার দেশবাসীকে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এ ধরণের সুদিন আসার কথাই কী বলা হয়েছিল? প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে যে সুদিনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা নীরব মোদি, মেহুল চোকসিসহ মাত্র ১৫ জনের কাছে এসেছে। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ গরিবের জন্য শুধুই খারাপ দিন এসেছে।"
ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানাসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই এটিএমে টাকা না থাকায় সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের এটিএম থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে না। বড় নোট গায়েব হয়ে গেছে। নোট বাতিলের দিনগুলো আবার মনে পড়ে যাচ্ছে। দেশে কী আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?"
আরজেডি নেতা ও বিহারের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বলেছেন, "বিহারে গত কয়েকদিন ধরে অধিকাংশ এটিএম খালি। মানুষজন গভীর সংকটে পড়েছেন।"
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাফাই দিয়ে বলেছেন, "দেশে নগদ অর্থের কোনো ঘাটতি নেই। কিছু জায়গায় আচমকা চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অরুণ জেটলি বলেন, "দেশের ক্যাশ সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। বাজার ও ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাশ মওজুদ আছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।"
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ও কোলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক আজ রেডিও তেহরানকে বলেন, "সরকার মানুষদের একটা ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে। দেশের ব্যবসায়ীরা বিপন্ন হচ্ছেন, ছোট ব্যবসায়ীরা আরও খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ বিপন্নতা বোধ করছেন, তারা ঠিকমতো কেনাকাটা করতে পারছেন না। মধ্যবিত্তের অবস্থাও সঙ্গিন কারণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে আমাদের সাম্রাজ্যবাদী ও কর্পোরেটদের তুলে দিচ্ছে।"
No comments