‘গরু-বিতর্কে’ গোহারা মোদি-অমিত জুটি
ভারতের বিহার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দেশটির এবেলা পত্রিকার ব্যঙ্গচিত্র ও সংবাদ। |
গরু
সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তার পিঠে উল্টোদিক ফিরে বসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দলের সভাপতি অমিত শাহ। আর এই জুটিকে হাত নেড়ে বিহার
থেকে বিদায় জানাচ্ছেন জেডি (ইউ) নেতা নিতীশ কুমার ও আর জেডি নেতা
লালুপ্রসাদ যাদব।
ভারতের বিহার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জোটের পরাজয় ও বিজেপিবিরোধী মহাজোটের বিপুল বিজয়কে এমনই একটি ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে দেশটির এবেলা পত্রিকা। আজ সোমবার প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত সংবাদের শিরোনাম মোটা হরফে করা হয়েছে ‘গোহারা’।
পত্রিকাটি বলছে, গরুর মাংস ও এ-সংক্রান্ত অসহিষ্ণুতা—বিহারে বিজেপির গোহারা হওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করে দেশের মানুষ।
ভোটের দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণার সময় গো-মাংস এবং তা নিয়ে তুমুল অসহিষ্ণুতা পুরো ভারতকে নাড়িয়ে দেয়। এই বিতর্কে বিশিষ্টজনরাও জড়িয়ে পড়েন। বিজেপির বিভিন্ন নেতা-সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ‘অর্বাচীন’ মন্তব্য বিতর্ককে আরও উসকে দেয়।
বিহারের রাজনীতিতে গরুর ‘আগমন’ নতুন কিছু নয়। তবে সমাজ-সভ্যতা অনেক এগিয়ে গেছে। এই যুগে গো-মাংস নিয়ে ‘হঠকারী’ রাজনীতি করে বিহারের ভোট-বৈতরণি পার হতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাদের অঙ্কে বড় ধরনের ভুল ছিল। তারা ধরা খেয়েছে। গরু-বিতর্ক বুমেরাং হয়েছে।
গরু-বিতর্ক তুঙ্গে থাকাকালে বিজেপির কোনো কোনো নেতা ঘোষণা দেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে বিহারে গো-মাংস নিষিদ্ধ করবেন।
গো-মাংস বিতর্ক ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে যখন চারদিকে প্রতিবাদ, মোদি তখন নির্বাক। বরং বিহারে ভোটের প্রচারে গিয়ে তিনিও ‘আত্মঘাতী’ মন্তব্য করেছেন। তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন অমিত শাহ।
নির্বাচনী প্রচারের একপর্যায়ে বিজেপি তাদের কথিত উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটানো ছেড়ে ধর্মীয় মেরুকরণের আশ্রয় নেয়। কিন্তু বিহারের মানুষ একে ভালোভাবে নেয়নি।
বিজেপির এই অবস্থান লালু-নিতীশদের জন্য সুবিধা বয়ে আনে। দলিত, অতিদলিত ও অনগ্রসর মানুষের একটা বড় অংশ ভোট-সন্ধিক্ষণে মহাজোটকেই তাদের ত্রাতা হিসেবে মনে করে। লালু-নিতীশের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির ওপর তারা ভরসা রাখে।
গতকাল রোববার ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ২৪৩ আসনের বিধানসভায় মাত্র ৫৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি জোট। মহাজোট পেয়েছে ১৭৮ আসন। অথচ, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে বিজেপি জোট ৯৪টি আসন পেয়েছিল। এবার তাদের অধোগতি হলো।
ভারতের বিহার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জোটের পরাজয় ও বিজেপিবিরোধী মহাজোটের বিপুল বিজয়কে এমনই একটি ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে দেশটির এবেলা পত্রিকা। আজ সোমবার প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত সংবাদের শিরোনাম মোটা হরফে করা হয়েছে ‘গোহারা’।
পত্রিকাটি বলছে, গরুর মাংস ও এ-সংক্রান্ত অসহিষ্ণুতা—বিহারে বিজেপির গোহারা হওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করে দেশের মানুষ।
ভোটের দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণার সময় গো-মাংস এবং তা নিয়ে তুমুল অসহিষ্ণুতা পুরো ভারতকে নাড়িয়ে দেয়। এই বিতর্কে বিশিষ্টজনরাও জড়িয়ে পড়েন। বিজেপির বিভিন্ন নেতা-সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ‘অর্বাচীন’ মন্তব্য বিতর্ককে আরও উসকে দেয়।
বিহারের রাজনীতিতে গরুর ‘আগমন’ নতুন কিছু নয়। তবে সমাজ-সভ্যতা অনেক এগিয়ে গেছে। এই যুগে গো-মাংস নিয়ে ‘হঠকারী’ রাজনীতি করে বিহারের ভোট-বৈতরণি পার হতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাদের অঙ্কে বড় ধরনের ভুল ছিল। তারা ধরা খেয়েছে। গরু-বিতর্ক বুমেরাং হয়েছে।
গরু-বিতর্ক তুঙ্গে থাকাকালে বিজেপির কোনো কোনো নেতা ঘোষণা দেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে বিহারে গো-মাংস নিষিদ্ধ করবেন।
গো-মাংস বিতর্ক ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে যখন চারদিকে প্রতিবাদ, মোদি তখন নির্বাক। বরং বিহারে ভোটের প্রচারে গিয়ে তিনিও ‘আত্মঘাতী’ মন্তব্য করেছেন। তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন অমিত শাহ।
নির্বাচনী প্রচারের একপর্যায়ে বিজেপি তাদের কথিত উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটানো ছেড়ে ধর্মীয় মেরুকরণের আশ্রয় নেয়। কিন্তু বিহারের মানুষ একে ভালোভাবে নেয়নি।
বিজেপির এই অবস্থান লালু-নিতীশদের জন্য সুবিধা বয়ে আনে। দলিত, অতিদলিত ও অনগ্রসর মানুষের একটা বড় অংশ ভোট-সন্ধিক্ষণে মহাজোটকেই তাদের ত্রাতা হিসেবে মনে করে। লালু-নিতীশের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির ওপর তারা ভরসা রাখে।
গতকাল রোববার ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ২৪৩ আসনের বিধানসভায় মাত্র ৫৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি জোট। মহাজোট পেয়েছে ১৭৮ আসন। অথচ, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে বিজেপি জোট ৯৪টি আসন পেয়েছিল। এবার তাদের অধোগতি হলো।
No comments