লবণ লাগে অনেক কাজে
লবণ'
আমাদের সবার কাছেই সুপরিচিত। রান্নার কাজে লবণ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু লবণ
কিন্তু স্রেফ রান্নার কাজেই লাগে, তা নয়। এর অন্যান্য ব্যবহারও আছে। অর্থাত
লবণের গুণ অনেক। রান্না ছাড়াও লবণের আরো ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে আজকের
স্বাস্থ্য ও জীবন অনুষ্ঠানে আমরা আলোচনা করবো।
লবণ হলো খাদ্যে ব্যবহৃত এক প্রকারের দানাদার পদার্থ যার মূল উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। এটি প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু অধিকাংশ স্থলজ উদ্ভিদের জন্য বিষের মতো। লবণের স্বাদকে মৌলিক স্বাদের একটি বলে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর সর্বত্র এটি খাদ্য প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়।
মানুষের খাদ্যে বিভিন্ন ধরণের লবণ ব্যবহার করা হয়। যেমন, অপরিশোধিত সৈন্ধব লবণ (sea salt), পরিশোধিত খাবার লবণ, আয়োডিনযুক্ত লবণ, ইত্যাদি। লবণ দেখতে দানাদার, সাদাটে বর্ণের। সমূদ্রের পানি থেকে অথবা খনি থেকে লবণ আহরণ করা হয়।
লবণ একটি পানিগ্রাহী পদার্থ, তাই বর্ষাকালে লবণের মধ্যে পানি জমতে থাকে।
লবণ হলো খাদ্যে ব্যবহৃত এক প্রকারের দানাদার পদার্থ যার মূল উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। এটি প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু অধিকাংশ স্থলজ উদ্ভিদের জন্য বিষের মতো। লবণের স্বাদকে মৌলিক স্বাদের একটি বলে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর সর্বত্র এটি খাদ্য প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়।
মানুষের খাদ্যে বিভিন্ন ধরণের লবণ ব্যবহার করা হয়। যেমন, অপরিশোধিত সৈন্ধব লবণ (sea salt), পরিশোধিত খাবার লবণ, আয়োডিনযুক্ত লবণ, ইত্যাদি। লবণ দেখতে দানাদার, সাদাটে বর্ণের। সমূদ্রের পানি থেকে অথবা খনি থেকে লবণ আহরণ করা হয়।
লবণ একটি পানিগ্রাহী পদার্থ, তাই বর্ষাকালে লবণের মধ্যে পানি জমতে থাকে।
সমূদ্রের
লোনা পানি ফুটিয়ে বাষ্পীভূত করে লবণ উত্পাদন করা হয়। এ ছাড়া, লবণাক্ত
কূপ অথবা লবণাক্ত হ্রদের পানি থেকেও লবণ আহরণ করা হয়ে থাকে। লোনা পানির
পাশাপাশি পাথুরে খনি হতেও লবণ আহরণ করা হয়। ২০০২ সালে বিশ্বে মোট ২১০
মিলিয়ন টন লবণ উত্পাদন করা হয়। শীর্ষ ৫ উত্পাদক রাষ্ট্র হলো:
যুক্তরাষ্ট্র (৪০.৩ মিলিয়ন টন), চীন (৩২.৯ মিলিয়ন টন), জার্মানি (১৭.৭
মিলিয়ন টন), ভারত (১৪.৫ মিলিয়ন টন), এবং কানাডা (১২.৩ মিলিয়ন টন)।
মোটামুটি এই হচ্ছে লবণ সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য। এবার লবণের ১০ বিশেষ ব্যবহারের প্রথমটি আমি শ্রোতাদের জানিয়ে দিচ্ছি।
ব্যবহার ১ : শাক-সবজির তিক্ততা দূর করতে লবণের ব্যবহার
হ্যাঁ, যেকোনো শাক-সবজি রান্নায় কমবেশি লবণের ব্যবহার তো আছেই। কিন্তু রান্নার পরও অনেক সবজি তিক্ত লাগে। এ থেকে রেহাই পেতে রান্নার আগেই লবণের ব্যবহার করুন। সবজি কাটার পর সেগুলো লবণ দিয়ে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর ধুয়ে রান্না করুন। দেখবেন রান্নাকৃত সবজি খেতে তিক্ত লাগবে না।
ব্যবহার ২ : দাঁত মাজার ব্রাশ ব্যাক্টেরিয়ামুক্ত করতে
সাধারণত দাঁত মাজার ব্রাশ তিন মাস পর পর পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে দন্তচিকিত্সকরা। তবে এর মানে এই নয় যে, ব্রাশ নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে না! ব্রাশকে ব্যাক্টেরিয়ামুক্ত করতে ব্যবহার করুন লবণ। হ্যা, ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ ব্রাশটি ডুবিয়ে রাখুন লবণপানিতে। এতে ব্রাশ যেমন পরিস্কার হবে, তেমনি মুক্ত হবে সব ধরনের ব্যাক্টেরিয়া থেকে।
ব্যবহার ৩ : দাঁতের ক্ষয়রোধে ও দাঁতকে দৃঢ় ও সাদা করতে
লবণের মধ্যে 'ফ্লোরিন' নামক পদার্থ থাকে, যা ব্যাক্টেরিয়া দূর করতে ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, দাঁত মাজার সময় লবণমিশ্রিত পানি ব্যবহার করলে আপনার দাঁত ব্যাক্টেরিয়ামুক্ত হবে এবং আরো দৃঢ় ও সাদা হবে। দাঁতের ক্ষয়ও রোধ হবে। কখনো কখনো মাড়ির কিছুটা অংশ ফুলে যায়। সে ক্ষেত্রে স্ফীত স্থানে খানিকটা লবণ দিন, দেখবেন কিছুক্ষণ পর ফোলা কমে যাবে।
ব্যবহার ৪ : চুল পড়া বন্ধ ও খুশকি দূর করতে
লবণমিশ্রিত পানিতে চুল ধুলে, খুশকি থেকে আপনি রেহাই পেতে পারেন। এতে আপনার চুল পড়াও অনেক কমে যাবে। তবে প্রতিদিন এ থ্যারাপি চালালে হিতে বিপরীত হতে পারে। সপ্তাহে একবার লবণমিশ্রিত পানি দিয়ে চুলে পরিচর্যা করুন। উপকার পাবেন।
ব্যবহার ৫ : জিন্সের প্যান্টের রঙ রক্ষায়
আপনার নতুন জিন্সের প্যান্টটি লবণমিশ্রিত পানিতে দশ থেকে পনের মিনিট ভিজিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার প্যান্টের রঙ ঠিক থাকবে।
ব্যবহার ৬ : মুখের ত্বক পরিষ্কারে
ব্যবহার ৭ : ক্ষত সারাতে ও রক্ত পড়া বন্ধে
শরীরের কোনো ক্ষতস্থান লবণপানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে, সেটি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। তা ছাড়া, রক্তপড়া বন্ধেও লবণ ভূমিকা রাখতে পারে। অবশ্য বড় ধরনের ক্ষত বা রক্তপাত বেশি হলে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
মোটামুটি এই হচ্ছে লবণ সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য। এবার লবণের ১০ বিশেষ ব্যবহারের প্রথমটি আমি শ্রোতাদের জানিয়ে দিচ্ছি।
ব্যবহার ১ : শাক-সবজির তিক্ততা দূর করতে লবণের ব্যবহার
হ্যাঁ, যেকোনো শাক-সবজি রান্নায় কমবেশি লবণের ব্যবহার তো আছেই। কিন্তু রান্নার পরও অনেক সবজি তিক্ত লাগে। এ থেকে রেহাই পেতে রান্নার আগেই লবণের ব্যবহার করুন। সবজি কাটার পর সেগুলো লবণ দিয়ে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর ধুয়ে রান্না করুন। দেখবেন রান্নাকৃত সবজি খেতে তিক্ত লাগবে না।
ব্যবহার ২ : দাঁত মাজার ব্রাশ ব্যাক্টেরিয়ামুক্ত করতে
সাধারণত দাঁত মাজার ব্রাশ তিন মাস পর পর পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে দন্তচিকিত্সকরা। তবে এর মানে এই নয় যে, ব্রাশ নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে না! ব্রাশকে ব্যাক্টেরিয়ামুক্ত করতে ব্যবহার করুন লবণ। হ্যা, ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ ব্রাশটি ডুবিয়ে রাখুন লবণপানিতে। এতে ব্রাশ যেমন পরিস্কার হবে, তেমনি মুক্ত হবে সব ধরনের ব্যাক্টেরিয়া থেকে।
ব্যবহার ৩ : দাঁতের ক্ষয়রোধে ও দাঁতকে দৃঢ় ও সাদা করতে
লবণের মধ্যে 'ফ্লোরিন' নামক পদার্থ থাকে, যা ব্যাক্টেরিয়া দূর করতে ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, দাঁত মাজার সময় লবণমিশ্রিত পানি ব্যবহার করলে আপনার দাঁত ব্যাক্টেরিয়ামুক্ত হবে এবং আরো দৃঢ় ও সাদা হবে। দাঁতের ক্ষয়ও রোধ হবে। কখনো কখনো মাড়ির কিছুটা অংশ ফুলে যায়। সে ক্ষেত্রে স্ফীত স্থানে খানিকটা লবণ দিন, দেখবেন কিছুক্ষণ পর ফোলা কমে যাবে।
ব্যবহার ৪ : চুল পড়া বন্ধ ও খুশকি দূর করতে
লবণমিশ্রিত পানিতে চুল ধুলে, খুশকি থেকে আপনি রেহাই পেতে পারেন। এতে আপনার চুল পড়াও অনেক কমে যাবে। তবে প্রতিদিন এ থ্যারাপি চালালে হিতে বিপরীত হতে পারে। সপ্তাহে একবার লবণমিশ্রিত পানি দিয়ে চুলে পরিচর্যা করুন। উপকার পাবেন।
ব্যবহার ৫ : জিন্সের প্যান্টের রঙ রক্ষায়
আপনার নতুন জিন্সের প্যান্টটি লবণমিশ্রিত পানিতে দশ থেকে পনের মিনিট ভিজিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার প্যান্টের রঙ ঠিক থাকবে।
ব্যবহার ৬ : মুখের ত্বক পরিষ্কারে
ব্যবহার ৭ : ক্ষত সারাতে ও রক্ত পড়া বন্ধে
শরীরের কোনো ক্ষতস্থান লবণপানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে, সেটি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। তা ছাড়া, রক্তপড়া বন্ধেও লবণ ভূমিকা রাখতে পারে। অবশ্য বড় ধরনের ক্ষত বা রক্তপাত বেশি হলে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
ব্যবহার ৮ : মাছ রান্নায়
অনেকে মাছ খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু মাছের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। মাছকে লবণমিশ্রিত পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন, মাছের গন্ধ আর থাকবে না। এ অবস্থায় মাছটি রান্না করলে, রান্নার সময় সেটি ভেঙেও যাবে না, আস্ত থাকবে। অর্থাত লবণ আপনার মাছকে গন্ধমুক্ত করবে এবং মাছটিকে ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে।
ব্যবহার ৯ : সিরামিকের তৈজষপত্রের আয়ু বাড়াতে
আপনি জানেন কি, সিরামিকের বাসন-পেয়ালার আয়ু বাড়াতে লবণের ব্যবহার আছে? সিরামিকের তৈজষপত্র কিনে তার প্রথমে লবণপানিতে খানিকক্ষণ বয়েল করুন। দেখবেন বাসন-পেয়ালা সহজে ভাঙবে না।
ব্যবহার ১০ : কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যেরর সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে লবণমিশ্রিত পানি খেতে পারেন। এটি আমাদের পেট ও অন্ত্র পরিস্কার করে। ফল হচ্ছে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে আপনাকে স্বস্তি দেবে।
অনেকে মাছ খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু মাছের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। মাছকে লবণমিশ্রিত পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন, মাছের গন্ধ আর থাকবে না। এ অবস্থায় মাছটি রান্না করলে, রান্নার সময় সেটি ভেঙেও যাবে না, আস্ত থাকবে। অর্থাত লবণ আপনার মাছকে গন্ধমুক্ত করবে এবং মাছটিকে ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে।
ব্যবহার ৯ : সিরামিকের তৈজষপত্রের আয়ু বাড়াতে
আপনি জানেন কি, সিরামিকের বাসন-পেয়ালার আয়ু বাড়াতে লবণের ব্যবহার আছে? সিরামিকের তৈজষপত্র কিনে তার প্রথমে লবণপানিতে খানিকক্ষণ বয়েল করুন। দেখবেন বাসন-পেয়ালা সহজে ভাঙবে না।
ব্যবহার ১০ : কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যেরর সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে লবণমিশ্রিত পানি খেতে পারেন। এটি আমাদের পেট ও অন্ত্র পরিস্কার করে। ফল হচ্ছে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে আপনাকে স্বস্তি দেবে।
No comments