৪৮ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি ছিনিয়ে নেয়া নববধূ by বিল্লাল হোসেন রবিন
নারায়ণগঞ্জের
আড়াইহাজার উপজেলায় ফিল্মি কায়দায় বরের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়া নববধূ
সুবর্ণা ৪৮ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি। এমনকি নববধূ ছিনিয়ে নেয়ার চিহ্নিত নায়কদের
কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, নববধূ ছিনতাইয়ের মূল
হোতা মোফাজ্জল সাতগ্রাম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
হাতেম আলীর ছেলে হওয়ায় পুলিশি অভিযানে ভাটা পড়েছে। ফলে চরম ক্ষোভ বিরাজ
করছে এলাকাবাসীর মধ্যে। অন্যদিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছে সুবর্ণার স্বজনরা।
সুবর্ণার বাবা আবদুল লতিফ জানান, ৩ ছেলের পর আমার একমাত্র ছোট মেয়ে
সুবর্ণা। গতবার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেয়া হয়নি। দুই
পরিবারের সম্মতিতে তার বিয়ে ঠিক করা হয়। অনেক আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে মেয়েকে
বিদায় দেই। আনন্দের কান্নায় তখন বিয়েবাড়িতে ভিন্নরকম এক চিত্র বিরাজ করছিল।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারি মেয়েকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একথা
বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আব্দুল লতিফ। কান্না থামিয়ে তিনি বেলেন, জানি না
আমার মেয়ে কোথায় আছে, কীভাবে আছে। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই।
এদিকে সুবর্ণা আক্তারকে ছিনিয়ে নেয়ার পর পিতা আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হাতেম আলীর ছেলে মোফাজ্জল (২৪), জামাল উদ্দিনের ছেলে আলমগীর (২০), ইসমাইল মেম্বারের ছেলে রাকিব (১৯), ইব্রাহিমের ছেলে ইয়াছিন (২৫), ফারুকের ছেলে ফাহিম (২৩) ও রাসেলের (২৪) নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ মামলার কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না।
এলাকাবাসী সূত্রমতে, ঘটনার মূলহোতা মোফাজ্জল মালয়েশিয়ায় থাকে। দেড়-দুই মাস আগে সে দেশে আসে। এরপর এলাকার মেয়েদের নানাভাবে সে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। এ নিয়ে সাতগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে বেশ কয়েকজন অভিভাবক বিচার দেয়। পরে চেয়ারম্যান মোফাজ্জলকে সতর্ক করে দিলেও কোন কাজ হয়নি। বাবার প্রভাবে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠে মোফাজ্জল।
সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওদুদ মাহমুদ জানান, বখাটে মোফাজ্জল সদ্যবিবাহিত সুবর্ণাসহ বিভিন্ন স্কুল ছাত্রীকে রাস্তাঘাটে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। নেশাগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন লোকজনকে শারীরিক মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার সালিশ করে সতর্ক করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর তথ্যমতে, মোফাজ্জলের বাবা হাতেম আলী এক সময় ডাকাতি করতো। ডাকাত হাতেম নামেই সে পরিচিত ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের সঙ্গে হাতেম আলীও আত্মসমপর্ণ করে। এ সময় সে একটি কাটারাইফেল জমা দেয়। পরবর্তীতে হাতেম আলী আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। বর্তমানে সে সাতগ্রাম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তার অপকর্ম ও প্রভাবের কাছে দলের নেতাকর্মীরা অসহায়। মাদকবিরোধী সভা করায় এবং মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রইস উদ্দিনের ওপর ক্ষুব্ধ হয় হাতেম আলী। একপর্যায়ে হাতেম আলীর ভয়ে রইস উদ্দিন বর্তমানে এলাকা ছাড়া।
সুবর্ণা আক্তারের পিতা আ. লতিফ জানান, গত ঈদুল আজহার দিন নামাজ পড়া নিয়ে উল্লেখিত মামলার আসামিদের নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে আমার ছেলে আশিক (১৭) ও তার বন্ধু কাউসারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। খবর পেয়ে ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাকেও কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেন আব্দুল লতিফ। মামলা দায়েরের পর থেকেই সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল।
উল্লেখ্য, উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগাঁও চৌধুরী বাড়ির আ. লতিফের মেয়ে সুবর্ণা আক্তারের সঙ্গে গত ৯ই অক্টোবর রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর পুটিয়া গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে নাদিমের কাবিন হয়। ৬ই নভেম্বর শুক্রবার ছিল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। সন্ধ্যায় বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নববধূ সুবর্ণাকে নিয়ে প্রাইভেট কারে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় বর নাদিম ও তার স্বজনরা। বর-কনেকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি উপজেলার রসুলপুরে গেলে দুটি সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে বরের গাড়ির গতিরোধ করে মোফাজ্জল গংরা। বরযাত্রীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বর নাদিমসহ তার সহযাত্রীদের পিটিয়ে নববধূ সুবর্ণাকে জোর করে সিএনজিতে তুলে মাধবদীর দিকে চলে যায়।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, কাউকে গ্রেপ্তার এবং নববধূকে উদ্ধার করা সম্ভব যায়নি। তবে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সুবর্ণা আক্তারকে ছিনিয়ে নেয়ার পর পিতা আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হাতেম আলীর ছেলে মোফাজ্জল (২৪), জামাল উদ্দিনের ছেলে আলমগীর (২০), ইসমাইল মেম্বারের ছেলে রাকিব (১৯), ইব্রাহিমের ছেলে ইয়াছিন (২৫), ফারুকের ছেলে ফাহিম (২৩) ও রাসেলের (২৪) নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ মামলার কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না।
এলাকাবাসী সূত্রমতে, ঘটনার মূলহোতা মোফাজ্জল মালয়েশিয়ায় থাকে। দেড়-দুই মাস আগে সে দেশে আসে। এরপর এলাকার মেয়েদের নানাভাবে সে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। এ নিয়ে সাতগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে বেশ কয়েকজন অভিভাবক বিচার দেয়। পরে চেয়ারম্যান মোফাজ্জলকে সতর্ক করে দিলেও কোন কাজ হয়নি। বাবার প্রভাবে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠে মোফাজ্জল।
সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওদুদ মাহমুদ জানান, বখাটে মোফাজ্জল সদ্যবিবাহিত সুবর্ণাসহ বিভিন্ন স্কুল ছাত্রীকে রাস্তাঘাটে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। নেশাগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন লোকজনকে শারীরিক মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার সালিশ করে সতর্ক করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর তথ্যমতে, মোফাজ্জলের বাবা হাতেম আলী এক সময় ডাকাতি করতো। ডাকাত হাতেম নামেই সে পরিচিত ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের সঙ্গে হাতেম আলীও আত্মসমপর্ণ করে। এ সময় সে একটি কাটারাইফেল জমা দেয়। পরবর্তীতে হাতেম আলী আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। বর্তমানে সে সাতগ্রাম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তার অপকর্ম ও প্রভাবের কাছে দলের নেতাকর্মীরা অসহায়। মাদকবিরোধী সভা করায় এবং মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রইস উদ্দিনের ওপর ক্ষুব্ধ হয় হাতেম আলী। একপর্যায়ে হাতেম আলীর ভয়ে রইস উদ্দিন বর্তমানে এলাকা ছাড়া।
সুবর্ণা আক্তারের পিতা আ. লতিফ জানান, গত ঈদুল আজহার দিন নামাজ পড়া নিয়ে উল্লেখিত মামলার আসামিদের নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে আমার ছেলে আশিক (১৭) ও তার বন্ধু কাউসারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। খবর পেয়ে ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাকেও কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেন আব্দুল লতিফ। মামলা দায়েরের পর থেকেই সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল।
উল্লেখ্য, উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগাঁও চৌধুরী বাড়ির আ. লতিফের মেয়ে সুবর্ণা আক্তারের সঙ্গে গত ৯ই অক্টোবর রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর পুটিয়া গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে নাদিমের কাবিন হয়। ৬ই নভেম্বর শুক্রবার ছিল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। সন্ধ্যায় বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নববধূ সুবর্ণাকে নিয়ে প্রাইভেট কারে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় বর নাদিম ও তার স্বজনরা। বর-কনেকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি উপজেলার রসুলপুরে গেলে দুটি সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে বরের গাড়ির গতিরোধ করে মোফাজ্জল গংরা। বরযাত্রীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বর নাদিমসহ তার সহযাত্রীদের পিটিয়ে নববধূ সুবর্ণাকে জোর করে সিএনজিতে তুলে মাধবদীর দিকে চলে যায়।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, কাউকে গ্রেপ্তার এবং নববধূকে উদ্ধার করা সম্ভব যায়নি। তবে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
No comments