লিবিয়ার লুটের অস্ত্র নিয়ে পশ্চিমের উদ্বেগ
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাব আল-আজিজিয়া দখলের পর ব্যাপক লুটপাট চালায় বিদ্রোহী যোদ্ধারা। এ সময় তারা অস্ত্রাগারও লুট করে। গত ছয় মাসের লড়াই চলাকালে আগেও গাদ্দাফি বাহিনীর অস্ত্রাগার লুট হয়েছে। যুদ্ধ শেষে এসব অস্ত্র বিক্রি হয়ে পাশের দেশগুলোতে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কয়েকটি পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, লিবিয়ায় গাদ্দাফির অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বিক্রির নানা খবর তাঁদের কাছে আসছে। তা থেকে মনে হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ নাইজার ও দক্ষিণ আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশের বিদ্রোহী এবং জঙ্গিদের হাতে চলে যেতে পারে এসব অস্ত্র।
কর্মকর্তারা জানান, তেজস্ক্রিয় বা রাসায়নিক পদার্থ লুট হয়ে যাওয়া বা পুনর্ব্যবহারের চেয়ে বরং প্রচলিত অস্ত্র অন্য দেশে পাচার হতে পারে—এমন আশঙ্কায় তাঁরা বেশি উদ্বিগ্ন। এর মধ্যে আছে, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। ম্যানপ্যাড নামে পরিচিত এই ক্ষেপণাস্ত্র মানুষই কাঁধে বহন করে ছুড়তে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্র জঙ্গিদের হাতে চলে যেতে পারে। এরপর তারা বিমান ধ্বংস করার কাজে তা লাগাতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘এসব খুবই ভয়ংকর অস্ত্র। আর তা যদি দুষ্কৃতকারীদের হাতে পড়ে, তাহলে সেটি হবে আরও বিধ্বংসী। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে এমন ভয়াবহ চিত্র দেখছি।’
গাদ্দাফির হাতে সর্বশেষ কী পরিমাণ ও কোন কোন ধরনের অস্ত্র ছিল, তা পরিষ্কার নয়। তবে পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করেন, অস্ত্রভান্ডারের অনেক অস্ত্র এরই মধ্যে ব্যবহূত হয়ে গেছে এবং অনেক অস্ত্র বিদ্রোহীরা লুট করে নিয়েছে।
তবে গাদ্দাফি তাঁর বাহিনীর জন্য তুলনামূলক অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিশাল মজুদ গড়ে তুলেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। এই বিশাল অস্ত্রভান্ডারের অনেক কিছু হয়তো ব্যবহারই করা হয়নি।
নুল্যান্ড বলেন, এটা সবাই জানে যে লিবিয়া অস্ত্রে ছেয়ে গেছে এবং তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
লিবিয়ার প্রতিবেশীসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে ম্যানপ্যাড পৌঁছে গেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সেখানে দুটি দল পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডগলাস ফ্রানজ বলেন, ‘আমি লিবিয়ার বিদ্রোহীদের মঙ্গল চাই, তবে গাদ্দাফির অস্ত্রাগার লুটের ঘটনাটি খুবই উদ্বেগের।’ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করতে রাজি হননি, এটি তার একটি কারণ বলে জানান তিনি।
গাদ্দাফির অস্ত্রভান্ডারে ম্যানপ্যাড ছাড়াও অন্য যেসব অস্ত্র ছিল বলে ধারণা করা হয়, তার মধ্যে আছে ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট, সাঁজোয়া যান, রকেট দিয়ে ছোড়া হয় এমন গ্রেনেড ও বিস্ফোরক।
কয়েকটি পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, লিবিয়ায় গাদ্দাফির অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বিক্রির নানা খবর তাঁদের কাছে আসছে। তা থেকে মনে হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ নাইজার ও দক্ষিণ আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশের বিদ্রোহী এবং জঙ্গিদের হাতে চলে যেতে পারে এসব অস্ত্র।
কর্মকর্তারা জানান, তেজস্ক্রিয় বা রাসায়নিক পদার্থ লুট হয়ে যাওয়া বা পুনর্ব্যবহারের চেয়ে বরং প্রচলিত অস্ত্র অন্য দেশে পাচার হতে পারে—এমন আশঙ্কায় তাঁরা বেশি উদ্বিগ্ন। এর মধ্যে আছে, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। ম্যানপ্যাড নামে পরিচিত এই ক্ষেপণাস্ত্র মানুষই কাঁধে বহন করে ছুড়তে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্র জঙ্গিদের হাতে চলে যেতে পারে। এরপর তারা বিমান ধ্বংস করার কাজে তা লাগাতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘এসব খুবই ভয়ংকর অস্ত্র। আর তা যদি দুষ্কৃতকারীদের হাতে পড়ে, তাহলে সেটি হবে আরও বিধ্বংসী। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে এমন ভয়াবহ চিত্র দেখছি।’
গাদ্দাফির হাতে সর্বশেষ কী পরিমাণ ও কোন কোন ধরনের অস্ত্র ছিল, তা পরিষ্কার নয়। তবে পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করেন, অস্ত্রভান্ডারের অনেক অস্ত্র এরই মধ্যে ব্যবহূত হয়ে গেছে এবং অনেক অস্ত্র বিদ্রোহীরা লুট করে নিয়েছে।
তবে গাদ্দাফি তাঁর বাহিনীর জন্য তুলনামূলক অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিশাল মজুদ গড়ে তুলেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। এই বিশাল অস্ত্রভান্ডারের অনেক কিছু হয়তো ব্যবহারই করা হয়নি।
নুল্যান্ড বলেন, এটা সবাই জানে যে লিবিয়া অস্ত্রে ছেয়ে গেছে এবং তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
লিবিয়ার প্রতিবেশীসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে ম্যানপ্যাড পৌঁছে গেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সেখানে দুটি দল পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডগলাস ফ্রানজ বলেন, ‘আমি লিবিয়ার বিদ্রোহীদের মঙ্গল চাই, তবে গাদ্দাফির অস্ত্রাগার লুটের ঘটনাটি খুবই উদ্বেগের।’ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করতে রাজি হননি, এটি তার একটি কারণ বলে জানান তিনি।
গাদ্দাফির অস্ত্রভান্ডারে ম্যানপ্যাড ছাড়াও অন্য যেসব অস্ত্র ছিল বলে ধারণা করা হয়, তার মধ্যে আছে ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট, সাঁজোয়া যান, রকেট দিয়ে ছোড়া হয় এমন গ্রেনেড ও বিস্ফোরক।
No comments