‘তাঁরা ভাবছিলেন গাদ্দাফিই জিতবেন’
গাড়িতে করে আমাদের যখন বাইরে আনা হলো তখন আমরা বুঝলাম, ত্রিপোলির খুব ছোট্ট একটি জায়গায় আমরা আটকে ছিলাম। আর যে দুই বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষী আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এসেছেন, তাঁরা তখনো গাদ্দাফির পক্ষে লড়াই করার কথা ভাবছেন। এই লড়াইয়ে গাদ্দাফিই জিতবেন।’ ত্রিপোলির রিক্সোস হোটেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বিবিসির সাংবাদিক ম্যাথিউ প্রাইস এভাবেই তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর লড়াইয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে গত শনিবার থেকে পাঁচ দিন ধরে রিক্সোস হোটেলে আটকা পড়েছিলেন পশ্চিমা দেশের ৩৫ সাংবাদিক। গত বুধবার তাঁরা ছাড়া পেয়েছেন। তাঁদেরই একজন ম্যাথিউ প্রাইস।
প্রাইস বলেন, ‘আমাদের ছেড়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীরা মনে করছিলেন ত্রিপোলিতে এখনো লড়াই চলছে। আমরা হোটেল থেকে বাইরে গেলে বিদ্রোহীরা আমাদের ধরে হত্যা করবে। আমাদের মধ্যে যে নারীরা আছেন, তাঁদের ধর্ষণ করবে।’
রয়টার্সের সাংবাদিক মিসি রায়ান জানান, ওই কয় দিন তাঁরা সবাই মিলে হোটেলের একটি করিডরে ছিলেন। তবে নিরাপদ মনে করায় পরের দিকে হোটেলের একটি কক্ষ তাঁরা ব্যবহার করেন।
রায়ান বলেন, ‘খাবার ও পানি ফুরিয়ে আসছিল। বিদ্যুৎ নেই। বাইরে তুমুল লড়াই ও গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছি। কিন্তু আমরা এ খবর বাইরের বিশ্বের কাছে পৌঁছাতে পারছি না। এভাবেই কেটেছে পাঁচটি দিন।’
রয়টার্সের সাংবাদিক বলেন, ‘আমাদের যারা পাহারা দিচ্ছে, খেপে গিয়ে তারাই হয়তো একসময় আমাদের ওপর গুলি চালিয়ে বসতে পারে অথবা বিদ্রোহীদের অতর্কিত হামলা বা গুপ্তঘাতকদের আক্রমণের শিকার হতে পারি।’
রায়ান বলেন, ‘বুধবার সকালে রেড ক্রসের কর্মকর্তারা হোটেলে পৌঁছেই আমাদের জানিয়ে দেন, যার যা আছে তা নিয়েই দ্রুত সরে পড়তে। এর পরই পড়িমরি করে বেরিয়ে পড়ি। আহ, মুক্তি!’
লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর লড়াইয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে গত শনিবার থেকে পাঁচ দিন ধরে রিক্সোস হোটেলে আটকা পড়েছিলেন পশ্চিমা দেশের ৩৫ সাংবাদিক। গত বুধবার তাঁরা ছাড়া পেয়েছেন। তাঁদেরই একজন ম্যাথিউ প্রাইস।
প্রাইস বলেন, ‘আমাদের ছেড়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীরা মনে করছিলেন ত্রিপোলিতে এখনো লড়াই চলছে। আমরা হোটেল থেকে বাইরে গেলে বিদ্রোহীরা আমাদের ধরে হত্যা করবে। আমাদের মধ্যে যে নারীরা আছেন, তাঁদের ধর্ষণ করবে।’
রয়টার্সের সাংবাদিক মিসি রায়ান জানান, ওই কয় দিন তাঁরা সবাই মিলে হোটেলের একটি করিডরে ছিলেন। তবে নিরাপদ মনে করায় পরের দিকে হোটেলের একটি কক্ষ তাঁরা ব্যবহার করেন।
রায়ান বলেন, ‘খাবার ও পানি ফুরিয়ে আসছিল। বিদ্যুৎ নেই। বাইরে তুমুল লড়াই ও গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছি। কিন্তু আমরা এ খবর বাইরের বিশ্বের কাছে পৌঁছাতে পারছি না। এভাবেই কেটেছে পাঁচটি দিন।’
রয়টার্সের সাংবাদিক বলেন, ‘আমাদের যারা পাহারা দিচ্ছে, খেপে গিয়ে তারাই হয়তো একসময় আমাদের ওপর গুলি চালিয়ে বসতে পারে অথবা বিদ্রোহীদের অতর্কিত হামলা বা গুপ্তঘাতকদের আক্রমণের শিকার হতে পারি।’
রায়ান বলেন, ‘বুধবার সকালে রেড ক্রসের কর্মকর্তারা হোটেলে পৌঁছেই আমাদের জানিয়ে দেন, যার যা আছে তা নিয়েই দ্রুত সরে পড়তে। এর পরই পড়িমরি করে বেরিয়ে পড়ি। আহ, মুক্তি!’
No comments