ইরানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩৯ জনের প্রাণহানি
ইরানের সিস্তান বেলুচিস্তান প্রদেশের চাবাহার শহরের একটি মসজিদের কাছে গতকাল বুধবার ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে। শিয়া মুসলমানদের একটি শোভাযাত্রার প্রস্তুতির সময় এ হামলা চালানো হয়। সুন্নি মুসলিম বিদ্রোহী গোষ্ঠী জুন্দুল্লাহ এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
মাহমুদ মোজাফর নামের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইলনা জানায়, শহরের ইমাম হুসেইন মসজিদের বাইরে ফরমানদারি স্কয়ারের কাছে ওই বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় মুসল্লিরা একটি শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য জমায়েত হচ্ছিলেন।
বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, শহরের হিমাগারে ৩৯টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এর আগে চাবাহার শহরের জেলা প্রশাসক আলী বাতেনি বলেন, ‘দুজন সন্ত্রাসী ওই হামলা চালিয়েছে। এদের মধ্যে একজন হামলাকারী তার শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয়।’ তিনি বলেন, হামলার হোতাকে আটক করা হয়েছে। এ দিন ইমাম হুসেইন মসজিদকে ঘিরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসল্লি জমায়েত হন।
সুন্নি মুসলিম বিদ্রোহী গোষ্ঠী জুন্দুল্লাহ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। এর আগেও ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একাধিক হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে জুন্দুল্লাহ।
ইরানের অন্যান্য প্রদেশের মতো সিস্তান বেলুচিস্তান প্রদেশেও উল্লেখযোগ্য লোক সুন্নি মুসলিম বসবাস করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী জুন্দুল্লাহ শহরটিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। গত জুলাইয়ে সিস্তান বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী জাহেদানের গ্র্যান্ড মসজিদে রেভলুশনারি গার্ডের সদস্যদের লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় ২৮ ব্যক্তি নিহত হয়। পরে জুন্দুল্লাহ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র জুন্দুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংগঠনটিকে মদদ দেওয়ার অভিযোগ করেছিল। এ সময় ইরান সংগঠনটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তারসহ এর নেতা আবদুল মালেক রিগির ফাঁসি কার্যকর করে। এর এক মাস আগে রিগির ভাই আবদুল হামিদ রিগিকেও ফাঁসি দেওয়া হয়। আবদুল মালেক রিগিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মাহমুদ মোজাফর নামের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইলনা জানায়, শহরের ইমাম হুসেইন মসজিদের বাইরে ফরমানদারি স্কয়ারের কাছে ওই বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় মুসল্লিরা একটি শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য জমায়েত হচ্ছিলেন।
বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, শহরের হিমাগারে ৩৯টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এর আগে চাবাহার শহরের জেলা প্রশাসক আলী বাতেনি বলেন, ‘দুজন সন্ত্রাসী ওই হামলা চালিয়েছে। এদের মধ্যে একজন হামলাকারী তার শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয়।’ তিনি বলেন, হামলার হোতাকে আটক করা হয়েছে। এ দিন ইমাম হুসেইন মসজিদকে ঘিরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসল্লি জমায়েত হন।
সুন্নি মুসলিম বিদ্রোহী গোষ্ঠী জুন্দুল্লাহ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। এর আগেও ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একাধিক হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে জুন্দুল্লাহ।
ইরানের অন্যান্য প্রদেশের মতো সিস্তান বেলুচিস্তান প্রদেশেও উল্লেখযোগ্য লোক সুন্নি মুসলিম বসবাস করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী জুন্দুল্লাহ শহরটিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। গত জুলাইয়ে সিস্তান বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী জাহেদানের গ্র্যান্ড মসজিদে রেভলুশনারি গার্ডের সদস্যদের লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় ২৮ ব্যক্তি নিহত হয়। পরে জুন্দুল্লাহ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র জুন্দুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংগঠনটিকে মদদ দেওয়ার অভিযোগ করেছিল। এ সময় ইরান সংগঠনটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তারসহ এর নেতা আবদুল মালেক রিগির ফাঁসি কার্যকর করে। এর এক মাস আগে রিগির ভাই আবদুল হামিদ রিগিকেও ফাঁসি দেওয়া হয়। আবদুল মালেক রিগিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
No comments