মিয়ানমারের জেনারেলরা নির্বোধ ও জড়বুদ্ধিসম্পন্ন: লি কুয়ান
সিঙ্গাপুরের স্থপতি লি কুয়ান ইউ মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জেনারেলদের ‘নির্বোধ’ ও ‘জড়বুদ্ধিসম্পন্ন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। জান্তা দেশটির বিশাল সম্পদের ‘অব্যবস্থাপনা’ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
২০০৭ সালে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন লি কুয়ান। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত তাঁকে বলেছেন, তাঁদের প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। মিয়ানমারের ওপর যতই আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপ করা হোক না কেন, তাতে কোনো সমস্যা হবে না। লি কুয়ান বলেন, তিনি এক দশক আগে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। এ সময় তিনি ক্ষমতাসীন জেনারেলদের ‘নির্বোধ’ ও ‘জড়বুদ্ধিসম্পন্ন’ বলে উল্লেখ করেন। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে কথা বলা বা সম্পর্ক রাখাকে ‘মৃত মানুষের সঙ্গে কথা বলার’ সমার্থক বলে উল্লেখ করেন লি কুয়ান।
উইকিলিকসের নথিতে বলা হয়, লি কুয়ান বিশ্বাস করেন, তরুণ জেনারেলরা এগিয়ে এলে এই পরিস্থিতি থেকে মিয়ানমার বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে। এ জন্য দেশটির গণতন্ত্রপন্থী শক্তিগুলোর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি করতে হবে। মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির ব্যাপারে জান্তা সরকারের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সু চির সঙ্গে সম্ভব না হলেও এমন একটি চুক্তির প্রয়োজন রয়েছে।
লি কুয়ান আরও বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানে মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনামের অন্তর্ভুক্তি মেনে নিতে চায়নি সংগঠনটির পুরোনো সদস্যদেশগুলো। আসিয়ানকে আরও শক্তিশালী করতে মিয়ানমারে দূত নিয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি। এ জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইউধোইয়োনোর নাম প্রস্তাব করেন তিনি। লি বলেন, সুসিলো একজন সাবেক জেনারেল। মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান জেনারেল থান শোয়ে সুসিলো বামবাংয়ের কথা শুনতে পারেন।
৮৭ বছর বয়সী লি কুয়ান সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। সিঙ্গাপুরের রাজনীতিতে তাঁর দারুণ প্রভাব রয়েছে।
২০০৭ সালে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন লি কুয়ান। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত তাঁকে বলেছেন, তাঁদের প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। মিয়ানমারের ওপর যতই আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপ করা হোক না কেন, তাতে কোনো সমস্যা হবে না। লি কুয়ান বলেন, তিনি এক দশক আগে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। এ সময় তিনি ক্ষমতাসীন জেনারেলদের ‘নির্বোধ’ ও ‘জড়বুদ্ধিসম্পন্ন’ বলে উল্লেখ করেন। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে কথা বলা বা সম্পর্ক রাখাকে ‘মৃত মানুষের সঙ্গে কথা বলার’ সমার্থক বলে উল্লেখ করেন লি কুয়ান।
উইকিলিকসের নথিতে বলা হয়, লি কুয়ান বিশ্বাস করেন, তরুণ জেনারেলরা এগিয়ে এলে এই পরিস্থিতি থেকে মিয়ানমার বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে। এ জন্য দেশটির গণতন্ত্রপন্থী শক্তিগুলোর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি করতে হবে। মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির ব্যাপারে জান্তা সরকারের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সু চির সঙ্গে সম্ভব না হলেও এমন একটি চুক্তির প্রয়োজন রয়েছে।
লি কুয়ান আরও বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানে মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনামের অন্তর্ভুক্তি মেনে নিতে চায়নি সংগঠনটির পুরোনো সদস্যদেশগুলো। আসিয়ানকে আরও শক্তিশালী করতে মিয়ানমারে দূত নিয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি। এ জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইউধোইয়োনোর নাম প্রস্তাব করেন তিনি। লি বলেন, সুসিলো একজন সাবেক জেনারেল। মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান জেনারেল থান শোয়ে সুসিলো বামবাংয়ের কথা শুনতে পারেন।
৮৭ বছর বয়সী লি কুয়ান সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। সিঙ্গাপুরের রাজনীতিতে তাঁর দারুণ প্রভাব রয়েছে।
No comments