রেকর্ড জয়ে সেমিতে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার চালান ফিরোজ হোসেন। এক দিন কাজে না গেলে বেতন কেটে নেওয়ার ভয় আছে তাঁর। তাই আগে থেকেই মালিককে জানিয়ে রেখেছিলেন, বুধবার কাজে যাবেন না, এ দিন বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবল দেখবেন। উখিয়ার মধ্যবয়সী ভদ্রলোক তা দেখতেই এলেন কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামে। ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের গোল-উৎসব দেখার পর বাড়ি ফিরলেন প্রাণভরা তৃপ্তি নিয়ে। অম্রার হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশ ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিল ভুটানকে। টানা দুই জয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের।
এই ভুটানকেই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কালও প্রত্যাশিত বড় জয়ই এনে দিলেন সাবিনা, সুইনু প্রুরা।
পুরুষ-মহিলা দুই বিভাগ মিলিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ফুটবল দলের সবচেয়ে বড় জয় এটি। এর আগে সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ছেলেদের—১৯৮৫ সালে সাফ ফুটবলে। ঢাকায় সেবার বাংলাদেশ পুরুষ দল ৮-০ গোলে হারিয়েছিল মালদ্বীপকে।
প্রথম ম্যাচে গোল পাননি বলেই কি না, দ্বিতীয় ম্যাচে একটু বেশিই সপ্রতিভ দেখা গেল স্ট্রাইকার অম্রাকে। ১৩ মিনিটে গোল-উৎসবের শুরুটাও করলেন তিনি। ১৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল, হ্যাটট্রিক এল ৩০ মিনিটে। সাবিনা খাতুন, সুইনু প্রু ও ফারহানার গোল দুটি করে।
ডিফেন্ডার হয়েও ফারহানা গত এসএ গেমসে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি গোল করেছিলেন। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে রক্ষণদুর্গ থেকে কালও বার কয়েক উঠে গেলেন আক্রমণে, তাতে সফল দিনাজপুরের তরুণী। একসময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা নিজেদের মধ্যে গোল করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যে কারণে প্রথমার্ধে ৬ গোল করার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে পেয়েছে ‘মাত্র’ তিন গোল। কারণটা অবশ্যই গোল করায় অত্যুৎসাহ! যে যেভাবে পেরেছে, গোলে শট করেছে। দুর্বল গোলরক্ষক দর্জি চদেনের হাত ফসকে কোনোটা গোল হয়েছে, কোনোটা গেছে মাঠের বাইরে। উদ্ভ্রান্তের মতো দেখাচ্ছিল ভুটানের গোলরক্ষককে। বাংলাদেশের মেয়েদের গোলের পর গোল করতে দেখে দর্শকেরা পেয়েছে মহা আনন্দ। কখনো হাতে তালি দিয়ে, কখনো মেক্সিকান ওয়েভ তুলে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ বলে তারা উৎসাহ দিয়েছে খেলোয়াড়দের।
কোচ গোলাম রব্বানির প্রতিক্রিয়ায় বড় জয় আর সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দ মিলেমিশে একাকার, ‘আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল জয়, জয় পেয়েছি। সেমিফাইনালও যে নিশ্চিত হয়েছে এটাই আমার স্বস্তি।’ দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টিও জানালেন, ‘ওদের যেভাবে বলেছি, সেভাবেই চেষ্টা করেছে। উন্নতি হয়েছে খেলায়। এখন ভাবনায় ভারতের ম্যাচ।’ আগামীকাল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
বড় ব্যবধানের টানা হারে বিপর্যস্ত ভুটানের কোচ হিরোয়াকি মাতসুয়ামা বললেন, ‘নতুন দল। অভিজ্ঞতা নেই। তাই এমন হার।’
বাংলাদেশ: সাবিনা আক্তার, তৃষ্ণা, ফারহানা, খালেদা (সুইনু চিং), সুরভি, সুইনু (রুপালী), মাইনু, নুবাই (বীথি), জাহানারা, সাবিনা খাতুন, অম্রা।
ভারত ৭: ০ শ্রীলঙ্কা
ভুটানের পর কাল শ্রীলঙ্কা বিধ্বস্ত হলো ভারতের কাছে। ‘এ’ গ্রুপে কাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ৭-০ গোলে হারাল শ্রীলঙ্কাকে। টানা দুই জয়ে উঠে গেল সেমিফাইনালে।
আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিক-নায়িকা সাসমিতা কালও করেছেন হ্যাটট্রিক। তাবাবি দুটি, সুপ্রিয়া ও পিঙ্কি করেছেন ১টি করে গোল।
আজকের খেলা: পাকিস্তান-আফগানিস্তান, (২-৩০ মি., কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়াম)
এই ভুটানকেই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কালও প্রত্যাশিত বড় জয়ই এনে দিলেন সাবিনা, সুইনু প্রুরা।
পুরুষ-মহিলা দুই বিভাগ মিলিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ফুটবল দলের সবচেয়ে বড় জয় এটি। এর আগে সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ছেলেদের—১৯৮৫ সালে সাফ ফুটবলে। ঢাকায় সেবার বাংলাদেশ পুরুষ দল ৮-০ গোলে হারিয়েছিল মালদ্বীপকে।
প্রথম ম্যাচে গোল পাননি বলেই কি না, দ্বিতীয় ম্যাচে একটু বেশিই সপ্রতিভ দেখা গেল স্ট্রাইকার অম্রাকে। ১৩ মিনিটে গোল-উৎসবের শুরুটাও করলেন তিনি। ১৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল, হ্যাটট্রিক এল ৩০ মিনিটে। সাবিনা খাতুন, সুইনু প্রু ও ফারহানার গোল দুটি করে।
ডিফেন্ডার হয়েও ফারহানা গত এসএ গেমসে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি গোল করেছিলেন। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে রক্ষণদুর্গ থেকে কালও বার কয়েক উঠে গেলেন আক্রমণে, তাতে সফল দিনাজপুরের তরুণী। একসময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা নিজেদের মধ্যে গোল করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যে কারণে প্রথমার্ধে ৬ গোল করার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে পেয়েছে ‘মাত্র’ তিন গোল। কারণটা অবশ্যই গোল করায় অত্যুৎসাহ! যে যেভাবে পেরেছে, গোলে শট করেছে। দুর্বল গোলরক্ষক দর্জি চদেনের হাত ফসকে কোনোটা গোল হয়েছে, কোনোটা গেছে মাঠের বাইরে। উদ্ভ্রান্তের মতো দেখাচ্ছিল ভুটানের গোলরক্ষককে। বাংলাদেশের মেয়েদের গোলের পর গোল করতে দেখে দর্শকেরা পেয়েছে মহা আনন্দ। কখনো হাতে তালি দিয়ে, কখনো মেক্সিকান ওয়েভ তুলে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ বলে তারা উৎসাহ দিয়েছে খেলোয়াড়দের।
কোচ গোলাম রব্বানির প্রতিক্রিয়ায় বড় জয় আর সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দ মিলেমিশে একাকার, ‘আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল জয়, জয় পেয়েছি। সেমিফাইনালও যে নিশ্চিত হয়েছে এটাই আমার স্বস্তি।’ দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টিও জানালেন, ‘ওদের যেভাবে বলেছি, সেভাবেই চেষ্টা করেছে। উন্নতি হয়েছে খেলায়। এখন ভাবনায় ভারতের ম্যাচ।’ আগামীকাল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
বড় ব্যবধানের টানা হারে বিপর্যস্ত ভুটানের কোচ হিরোয়াকি মাতসুয়ামা বললেন, ‘নতুন দল। অভিজ্ঞতা নেই। তাই এমন হার।’
বাংলাদেশ: সাবিনা আক্তার, তৃষ্ণা, ফারহানা, খালেদা (সুইনু চিং), সুরভি, সুইনু (রুপালী), মাইনু, নুবাই (বীথি), জাহানারা, সাবিনা খাতুন, অম্রা।
ভারত ৭: ০ শ্রীলঙ্কা
ভুটানের পর কাল শ্রীলঙ্কা বিধ্বস্ত হলো ভারতের কাছে। ‘এ’ গ্রুপে কাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ৭-০ গোলে হারাল শ্রীলঙ্কাকে। টানা দুই জয়ে উঠে গেল সেমিফাইনালে।
আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিক-নায়িকা সাসমিতা কালও করেছেন হ্যাটট্রিক। তাবাবি দুটি, সুপ্রিয়া ও পিঙ্কি করেছেন ১টি করে গোল।
আজকের খেলা: পাকিস্তান-আফগানিস্তান, (২-৩০ মি., কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়াম)
No comments