জর্জ বুশের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মার্কিন হেফাজতে বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনমূলক পদ্ধতি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ায় জর্জ বুশ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য এই আহ্বান জানানো হয়।
সম্প্রতি প্রকাশিত জর্জ বুশের স্মৃতিকথা ডিসিশন পয়েন্টস ও ৮ নভেম্বর এনবিসি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে ‘ওয়াটার বোর্ডিং’সহ নতুন বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নতুন এসব কৌশল শীর্ষ পর্যায়ের বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যবহার করা হয়। ওয়াটার-বোর্ডিং কৌশলে বন্দীর মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে, হাত পা বেঁধে চিৎ করে শোয়ানো হয়। এরপর মুখের ওপর প্রচুর পরিমাণে পানি ঢালা হয়। এতে ওই ব্যক্তি পানিতে ডুবে যাওয়ার মতো তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। অন্য কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে বন্দীদের উলঙ্গ করে রাখা, ভয়-ভীতি ছড়ানো, তীব্র ঠান্ডায় খালি গায়ে রাখা, শারীরিক আক্রমণ করা, ঘুম থেকে বঞ্চিত করা প্রভৃতি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ক্লডিও কর্ডন বলেন, জর্জ বুশ বন্দী নির্যাতনের নতুন কৌশল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার জন্য এটাই যথেষ্ট। তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে।
বুশ তাঁর স্মৃতিকথায় দুই বন্দীর ওপর ওয়াটার বোর্ডিং কৌশল ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন। এতে বলা হয়, ২০০২ সালের আগস্ট মাসে আবু জুবায়দা নামের এক বন্দীকে ৮০ বারেরও বেশি ওয়াটার বোর্ডিংয়ের মুখোমুখি করা হয়। অন্যজনের নাম খালিদ শেখ মোহাম্মদ। তাঁকে ১৮৩ বার ওয়াটার বোর্ডিংয়ের মুখোমুখি করা হয়। এই দুই বন্দীকে বিচার ছাড়াই গুয়ানতানামো কারাগারে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত জর্জ বুশের স্মৃতিকথা ডিসিশন পয়েন্টস ও ৮ নভেম্বর এনবিসি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে ‘ওয়াটার বোর্ডিং’সহ নতুন বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নতুন এসব কৌশল শীর্ষ পর্যায়ের বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যবহার করা হয়। ওয়াটার-বোর্ডিং কৌশলে বন্দীর মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে, হাত পা বেঁধে চিৎ করে শোয়ানো হয়। এরপর মুখের ওপর প্রচুর পরিমাণে পানি ঢালা হয়। এতে ওই ব্যক্তি পানিতে ডুবে যাওয়ার মতো তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। অন্য কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে বন্দীদের উলঙ্গ করে রাখা, ভয়-ভীতি ছড়ানো, তীব্র ঠান্ডায় খালি গায়ে রাখা, শারীরিক আক্রমণ করা, ঘুম থেকে বঞ্চিত করা প্রভৃতি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ক্লডিও কর্ডন বলেন, জর্জ বুশ বন্দী নির্যাতনের নতুন কৌশল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার জন্য এটাই যথেষ্ট। তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে।
বুশ তাঁর স্মৃতিকথায় দুই বন্দীর ওপর ওয়াটার বোর্ডিং কৌশল ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন। এতে বলা হয়, ২০০২ সালের আগস্ট মাসে আবু জুবায়দা নামের এক বন্দীকে ৮০ বারেরও বেশি ওয়াটার বোর্ডিংয়ের মুখোমুখি করা হয়। অন্যজনের নাম খালিদ শেখ মোহাম্মদ। তাঁকে ১৮৩ বার ওয়াটার বোর্ডিংয়ের মুখোমুখি করা হয়। এই দুই বন্দীকে বিচার ছাড়াই গুয়ানতানামো কারাগারে রাখা হয়েছে।
No comments