আইসিসিকে জুলকারনাইনের পরামর্শ
প্রথমে বলেছিলেন, সময় হলেই বিস্তারিত জানাবেন সবাইকে। তবে মুখ বন্ধ ছিল না। অজ্ঞাত জায়গা থেকে নানা মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েই যাচ্ছিলেন। এবার সশরীরে দেখা মিলল জুলকারনাইন হায়দারের। পশ্চিম লন্ডনের সাউথহলের টিকেসি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে সদ্য অবসর নেওয়া উইকেটকিপার অবশ্য শুনিয়েছেন গত কয়েক দিনে বাতাসে ভেসে বেড়ানো কথাগুলোই। তবে আইসিসিকে দিয়েছেন একটা নতুন পরামর্শ, ‘ক্রিকেটারদের ফোনকল ট্যাপ করা উচিত, খোঁজখবর নেওয়া উচিত কোন ক্রিকেটার কখন, কোথায় যাচ্ছে।’
আগে যেমন শোনা গিয়েছিল, ‘রহস্যময় হুমকিদাতার’ সঙ্গে দেখা হওয়ার বর্ণনাটা সেভাবেই দিয়েছেন জুলকারনাইন, ‘দুবাইয়ে ওই লোকের কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার পর পরিস্থিতিটা আমার জন্য ছিল খুব কঠিন। সে আমাকে বলল, ‘‘আমার সঙ্গে কাজ করলে অনেক অর্থ পাবে। আর না করলে দেশে ফেরার পর আমরা তোমাকে ও তোমার পরিবারকে মেরে ফেলব।’’ দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই মনে করেন, এভাবে পালিয়ে গিয়ে ভুল করেছেন জুলকারনাইন। একই ধারণা দলের অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাকেরও, ‘আমার মনে হয় না সে ঠিক করেছে। বড় একটা ভুল করেছে সে। কোনো ঝামেলা হলে সে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার বা টিম ম্যানেজমেন্টকে জানাতে পারত।’
কিন্তু জুলকারনাইন আবারও বলেছেন, এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না তাঁর, ‘সে সময় আমি প্রচণ্ড চাপে ছিলাম, আমার পরিবার ছিল হুমকিতে। তা ছাড়া দলের কাউকে বললে বা টিম ম্যানেজমেন্টকে জানালে হয়তো বিপদ আরও বাড়তে পারত। আমি তাঁদের কাউকে বিপদে জড়াতে চাইনি।’ জুলকারনাইনের এই বক্তব্য নিয়ে অবশ্য যথেষ্টই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে সিএনএনকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, হুমকিদাতাকে চেনেন না বলেই টিম ম্যানেজমেন্টকে জানাননি। ধোঁয়াশাই রেখেছেন ইংল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার ব্যাপারটিও, ‘আমি ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা চাই না। আমি একজন সুনাগরিক হতে চাই, পাকিস্তানেও আমি সুনাগরিক। আমি স্রেফ শান্তিতে থাকতে চাই।’ যুক্তরাজ্যে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছেন পাকিস্তানে তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়েসহ পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়ার।
জুলকারনাইনের ঘটনা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে ঝড় চলছেই। ‘জিয়ো নিউজ’কে সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান বলেছেন, এটা দেশের জন্য লজ্জার, ‘এ ঘটনা শুধু পাকিস্তানের ক্রিকেট নয়, পুরো দেশের জন্যই লজ্জার। আমি জানি না, কী এমন হলো যাতে সে এত বড় ঘটনা ঘটাল, তবে এতে পাকিস্তান ক্রিকেটের সমস্যাই আরও বাড়ল।’ আরেক সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম জুলকারনাইনের পাশাপাশি দুষছেন পিসিবিকেও, ‘এভাবে পালিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের মতো কাজ হয়নি। সে পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে সামলাতে পারত। পিসিবিরও সামর্থ্য নেই পরিস্থিতি সামলানোর। পিসিবি ক্রিকেটারদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, এ জন্য তারা নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারে না।
আগে যেমন শোনা গিয়েছিল, ‘রহস্যময় হুমকিদাতার’ সঙ্গে দেখা হওয়ার বর্ণনাটা সেভাবেই দিয়েছেন জুলকারনাইন, ‘দুবাইয়ে ওই লোকের কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার পর পরিস্থিতিটা আমার জন্য ছিল খুব কঠিন। সে আমাকে বলল, ‘‘আমার সঙ্গে কাজ করলে অনেক অর্থ পাবে। আর না করলে দেশে ফেরার পর আমরা তোমাকে ও তোমার পরিবারকে মেরে ফেলব।’’ দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই মনে করেন, এভাবে পালিয়ে গিয়ে ভুল করেছেন জুলকারনাইন। একই ধারণা দলের অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাকেরও, ‘আমার মনে হয় না সে ঠিক করেছে। বড় একটা ভুল করেছে সে। কোনো ঝামেলা হলে সে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার বা টিম ম্যানেজমেন্টকে জানাতে পারত।’
কিন্তু জুলকারনাইন আবারও বলেছেন, এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না তাঁর, ‘সে সময় আমি প্রচণ্ড চাপে ছিলাম, আমার পরিবার ছিল হুমকিতে। তা ছাড়া দলের কাউকে বললে বা টিম ম্যানেজমেন্টকে জানালে হয়তো বিপদ আরও বাড়তে পারত। আমি তাঁদের কাউকে বিপদে জড়াতে চাইনি।’ জুলকারনাইনের এই বক্তব্য নিয়ে অবশ্য যথেষ্টই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে সিএনএনকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, হুমকিদাতাকে চেনেন না বলেই টিম ম্যানেজমেন্টকে জানাননি। ধোঁয়াশাই রেখেছেন ইংল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার ব্যাপারটিও, ‘আমি ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা চাই না। আমি একজন সুনাগরিক হতে চাই, পাকিস্তানেও আমি সুনাগরিক। আমি স্রেফ শান্তিতে থাকতে চাই।’ যুক্তরাজ্যে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছেন পাকিস্তানে তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়েসহ পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়ার।
জুলকারনাইনের ঘটনা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে ঝড় চলছেই। ‘জিয়ো নিউজ’কে সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান বলেছেন, এটা দেশের জন্য লজ্জার, ‘এ ঘটনা শুধু পাকিস্তানের ক্রিকেট নয়, পুরো দেশের জন্যই লজ্জার। আমি জানি না, কী এমন হলো যাতে সে এত বড় ঘটনা ঘটাল, তবে এতে পাকিস্তান ক্রিকেটের সমস্যাই আরও বাড়ল।’ আরেক সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম জুলকারনাইনের পাশাপাশি দুষছেন পিসিবিকেও, ‘এভাবে পালিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের মতো কাজ হয়নি। সে পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে সামলাতে পারত। পিসিবিরও সামর্থ্য নেই পরিস্থিতি সামলানোর। পিসিবি ক্রিকেটারদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, এ জন্য তারা নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারে না।
No comments