ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মালিকি
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি আগামী চার বছরের জন্য নতুন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিচ্ছেন। পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আট মাসেরও বেশি সময় পর গত বুধবার রাতে দেশটির আইনপ্রণেতারা সমঝোতার ভিত্তিতে সরকার গঠনের ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছাতে সক্ষম হন। যুক্তরাষ্ট্র এই সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়ে ইরাকের অগ্রগতির ক্ষেত্রে একে ‘বড় ধরনের পদক্ষেপ’ বলে উল্ল্লেখ করেছে।
গত মার্চে ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩২৫ আসনের পার্লামেন্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবির নেতৃত্বাধীন আল-ইরাকিয়া (ইরাকি ন্যাশনাল মুভমেন্ট) জোট ৯১ আসন পায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির স্টেট অব ল জোট ৮৯, ইরাকি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ৭০, কুর্দিস অ্যালায়েন্স ৪৩ ও অন্যান্য দল ৩২টি আসন লাভ করে।
রাজনৈতিক সমঝোতা অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকিই নতুন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিচ্ছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলাবির জোট পার্লামেন্টের স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কৌশলগত নীতিসংক্রান্ত জাতীয় কাউন্সিলের প্রধানের পদ পাবে। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানি কুর্দি জোটের পক্ষ থেকে আবারও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
গত বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুর্দি আইনপ্রণেতা মাহমুদ ওসমান। তিনি বলেন, ‘অবশেষে সবার অংশগ্রহণে আমরা মতৈক্যে পৌঁছাতে পেরেছি।’ তিনি জানান, নতুন সরকারে ইরাকিয়া জোটের নেতা আইয়াদ আলাবি ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তিনি সমঝোতা মেনে নিয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে ওই সমঝোতা বৈঠক চলে।
ইরাকিয়া জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই জোটের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, স্টেট অব ল জোট প্রধানমন্ত্রী ও কুর্দি জোট প্রেসিডেন্ট পদ পাচ্ছে। ইরাকিয়া জোট প্রেসিডেন্ট পদ চাইলে স্পিকার পদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। ওই কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ইরাকিয়া জোটের পদ পছন্দ করার কোনো সুযোগ ছিল না। তাদের বলা হয়, ‘স্পিকার পদ নিলে নিন, না হলে বাদ দিন’। তিনি জানান, সবার মনোভাব ছিল প্রয়োজনে ইরাকিয়া জোটকে বাদ দিয়েও সরকার গঠন করা হবে। এই জোটের নেতা সালেহ আল মুতলাক অভিযোগ করেন, ইরানের চাপের কারণেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মালিকি আবারও ফিরে আসছেন।
নতুন সরকারে ইরাকের প্রভাবশালী কট্টরপন্থী নেতা মুকতাদা আল সদরের ভূমিকা কী হবে তা স্পষ্ট নয়। ইরাকি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের অধীনে নির্বাচন করে তাঁর দল সদরিস্ট মুভমেন্ট ৩৯টি আসন লাভ করে। গত অক্টোবরে মুকতাদা আল সদর সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রী মালিকিকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
ইরাকে সরকার গঠনের সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের এই সমঝোতা ইরাককে এগিয়ে নিতে একটি বড় ধরনের পদক্ষেপ। এতে সব প্রধান জোটের অংশীদারি থাকছে, এটা ইতিবাচক বিষয়।
গত মার্চে ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩২৫ আসনের পার্লামেন্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবির নেতৃত্বাধীন আল-ইরাকিয়া (ইরাকি ন্যাশনাল মুভমেন্ট) জোট ৯১ আসন পায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির স্টেট অব ল জোট ৮৯, ইরাকি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ৭০, কুর্দিস অ্যালায়েন্স ৪৩ ও অন্যান্য দল ৩২টি আসন লাভ করে।
রাজনৈতিক সমঝোতা অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকিই নতুন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিচ্ছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলাবির জোট পার্লামেন্টের স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কৌশলগত নীতিসংক্রান্ত জাতীয় কাউন্সিলের প্রধানের পদ পাবে। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানি কুর্দি জোটের পক্ষ থেকে আবারও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
গত বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুর্দি আইনপ্রণেতা মাহমুদ ওসমান। তিনি বলেন, ‘অবশেষে সবার অংশগ্রহণে আমরা মতৈক্যে পৌঁছাতে পেরেছি।’ তিনি জানান, নতুন সরকারে ইরাকিয়া জোটের নেতা আইয়াদ আলাবি ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তিনি সমঝোতা মেনে নিয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে ওই সমঝোতা বৈঠক চলে।
ইরাকিয়া জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই জোটের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, স্টেট অব ল জোট প্রধানমন্ত্রী ও কুর্দি জোট প্রেসিডেন্ট পদ পাচ্ছে। ইরাকিয়া জোট প্রেসিডেন্ট পদ চাইলে স্পিকার পদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। ওই কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ইরাকিয়া জোটের পদ পছন্দ করার কোনো সুযোগ ছিল না। তাদের বলা হয়, ‘স্পিকার পদ নিলে নিন, না হলে বাদ দিন’। তিনি জানান, সবার মনোভাব ছিল প্রয়োজনে ইরাকিয়া জোটকে বাদ দিয়েও সরকার গঠন করা হবে। এই জোটের নেতা সালেহ আল মুতলাক অভিযোগ করেন, ইরানের চাপের কারণেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মালিকি আবারও ফিরে আসছেন।
নতুন সরকারে ইরাকের প্রভাবশালী কট্টরপন্থী নেতা মুকতাদা আল সদরের ভূমিকা কী হবে তা স্পষ্ট নয়। ইরাকি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের অধীনে নির্বাচন করে তাঁর দল সদরিস্ট মুভমেন্ট ৩৯টি আসন লাভ করে। গত অক্টোবরে মুকতাদা আল সদর সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রী মালিকিকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
ইরাকে সরকার গঠনের সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের এই সমঝোতা ইরাককে এগিয়ে নিতে একটি বড় ধরনের পদক্ষেপ। এতে সব প্রধান জোটের অংশীদারি থাকছে, এটা ইতিবাচক বিষয়।
No comments