চলনবিলে আত্রাই নদীর পানি: আতঙ্কিত কৃষক
টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে আত্রাই এবং গুড় নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার চলনবিলে বর্ষার পানি ঢুকছে। উপজেলার নূরপুর, ভাগনাগরকান্দিসহ বেশ কিছু এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ধান। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই অঞ্চলের চাষীরা। শ্রমিক সংকট থাকায় পাকা ধান বাড়িতে তুলতে পারছেন না কৃষক। চোখের সামনে পানি বেড়ে যাওয়ায় পুরো এলাকার ধান তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিতায় দিন কাটছে চলনবিলের কৃষকদের। এদিকে পাকা ধান কেটে জরুরি ভিত্তিতে ঘরে তুলতে এলাকায় মাইকিং করেছে উপজেলা প্রশাসন। এলাকাবাসী জানান, টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে সিংড়া উপজেলার আত্রাই এবং গুড় নদীর পানি বেড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি বাড়ছে। এতে জোড় মল্লিকা, নিংগইন এবং পাটকোল ব্রিজের নিচ দিয়ে চলনবিলের ফসলি জমিতে প্রতিনিয়ত পানি ঢুকছে। এতে নিংগইন, বালুভরা, হাঁসপুকুরিয়া, শেরকোল, তেলীগ্রাম, ভাগনাগরকান্দি, কালিনগর, বিলদহর মাঠের বোরো ধান ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিংগইন এলাকার কৃষক আশকান আলী জানান, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি জোড়মল্লিকা বিলে ১৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। হঠাৎ নদীর পানি বিলে প্রবেশ করায় তিনিসহ শতাধিক কৃষক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এখন তাদের চোখে ঘুম নেই। এদিকে সোমবার থেকে জোড়মল্লিকা, নিংগইন এবং পাটকোল এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। চলছে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, আত্রাই নদীতে ঢলের পানি উপচে চলনবিলে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। কিন্তু বাঁধ দেয়ায় এখন আর ঢুকতে পারছে না। তবে ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে চলনবিলে পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, টানা বর্ষণের নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চলনবিল এলাকায় পানি ঢুকছিল। পানি যাতে আর না ঢুকতে পারে সেজন্য দুটি স্থানে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী তিন-চার দিন আবহাওয়া ভালো থাকলে নদীর পানি কমে যাবে। তখন ফসলের আর কোনো ক্ষতি হবে না।
No comments