শিল্পবিনিয়োগ নেইঃ উৎপাদনমুখী খাতের ঝুঁকি কমাতে হবে
দেশে এখন শিল্প বিনিয়োগে স্থবিরতা বিরাজ করায় শেয়ারবাজারের দিকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। গ্যাস-বিদ্যুত্ সঙ্কট, অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি আইন-শৃগ্ধখলার অবনতি হওয়ায় শিল্পখাতে ঋণ নেয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না বেসরকারি উদ্যোক্তারা। ফলে জমে থাকা অলস অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করছে ব্যাংকগুলো। সব মিলিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের বিসেম্ফারণ ঘটছে।
এ অবস্থায় বিশেষ করে গ্যাস ও বিদ্যুত্ সঙ্কট মোকাবিলা করে শিল্প খাতকে বেগবান রাখতে না পারলে বিনিয়োগের এই নেতিবাচক প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে না এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। বর্তমানে দেশি-বিদেশি সব ধরনের বিনিয়োগেই বিরাজ করছে স্থবিরতা। চলতি বছরে আঙ্কটাড প্রকাশিত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগসল্ট মাস পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে চার শতাংশ। বড় ধরনের বিদেশি বিনিয়োগের কোনো প্রস্তাবও নেই। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আশা করেছিলেন, নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। স্থবিরতায় কমবেশি বেগ সৃষ্টি হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না; বরং দুই বছরের জরুরি সরকারের আমলে বিনিয়োগের যে মন্দা অবস্থা ছিল, ক্ষেত্রবিশেষে তার চেয়েও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় উদ্যোক্তারা অনেকটা নিরাশ হয়েই হাত গুটিয়ে নিয়ে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও শেয়ারবাজারকেই নিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচনা করছেন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে গ্যাসের ঘাটতি দৈনিক ১৫ থেকে ৩০ কোটি ঘনফুট, দৈনিক বিদ্যুত্ ঘাটতির পরিমাণ দুই হাজার মেগাওয়াট। এই উভয় খাতের ঘাটতির কারণে একদিকে যেমন শিল্পকারখানায় উত্পাদন বিপর্যয় ঘটছে, তেমনি অন্যদিকে নতুন শিল্পকারখানায় বিনিয়োগের ঝুঁকি নিচ্ছেন না কেউ। এমন কি অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে এমন অনেক কারখানায় গ্যাস সংযোগ দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সম্প্রসারিত হচ্ছে না পুরনো শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে স্বভাবতই মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ কমেছে। জানা গেছে, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ অলস অবস্থায় পড়ে আছে। এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৯৪০ কোটি মার্কিন ডলার। বিনিয়োগ না থাকায় তারল্য নিয়ে ব্যাংকগুলো পড়েছে বিপাকে, অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক মুশকিলে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে। কারণ কাগ্ধিক্ষত বিনিয়োগই হচ্ছে না।চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর থেকেই বেড়ে গেছে শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ। সম্প্রতি শেয়ারবাজারে দৈনিক লেনদেন হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিশ্লেষকদের বিবেচনায় এ লেনদেন স্বাভাবিক নয়। এ থেকেই আন্দাজ করা যায়, যেখানে বিনিয়োগ করার কথা সেখানকার অবস্থা ভালো নয়। অর্থাত্ শিল্পকারখানা গ্যাস-বিদ্যুত্ ও অন্যান্য সঙ্কটের মুখে পড়ে এক নাজুক অবস্থার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় উদ্যোক্তারা যে ঋণ নেবেন না ব্যাংক থেকে, তা সহজেই অনুমেয়। কারণ শিল্পকারখানায় উত্পাদন অব্যাহত রাখা কিংবা লাভের আশায় নতুন শিল্প গড়ে তোলার মতো অনুকূল পরিস্থিতি নেই। এমন অনিশ্চয়তায় বড় ধরনের ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। এদিকে ঋণের চাহিদা না থাকায় ব্যাংকগুলো আমানতের সুদের হার কমিয়ে দিয়েছে। ফলে সাধারণ আমানতকারীরাও ব্যাংকে টাকা না রেখে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হচ্ছেন।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় খাত শিল্পকারখানার দিকে মনোনিবেশ করা দরকার। অন্তত অতিসত্বর চালু কারখানাগুলোয় যাতে গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে উত্পাদন ব্যাহত না হয় তার কার্যকর বিহিত বের করতে হবে। পাশাপাশি আইন-শৃগ্ধখলার অবনতি রোধ করে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। যে কোনো উপায়ে কমাতে হবে উত্পাদন খাতের ঝুঁকি। এ জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া এবং তা বাস্তবায়ন ছাড়া গত্যন্তর নেই। কেননা উত্পাদনমুখী খাতে শূন্যতা সৃষ্টি হলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও সঙ্কুচিত হবে, দারিদ্র্য বাড়বে, হোঁচট খাবে দারিদ্র্য বিমোচনের সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে গ্যাসের ঘাটতি দৈনিক ১৫ থেকে ৩০ কোটি ঘনফুট, দৈনিক বিদ্যুত্ ঘাটতির পরিমাণ দুই হাজার মেগাওয়াট। এই উভয় খাতের ঘাটতির কারণে একদিকে যেমন শিল্পকারখানায় উত্পাদন বিপর্যয় ঘটছে, তেমনি অন্যদিকে নতুন শিল্পকারখানায় বিনিয়োগের ঝুঁকি নিচ্ছেন না কেউ। এমন কি অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে এমন অনেক কারখানায় গ্যাস সংযোগ দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সম্প্রসারিত হচ্ছে না পুরনো শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে স্বভাবতই মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ কমেছে। জানা গেছে, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ অলস অবস্থায় পড়ে আছে। এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৯৪০ কোটি মার্কিন ডলার। বিনিয়োগ না থাকায় তারল্য নিয়ে ব্যাংকগুলো পড়েছে বিপাকে, অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক মুশকিলে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে। কারণ কাগ্ধিক্ষত বিনিয়োগই হচ্ছে না।চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর থেকেই বেড়ে গেছে শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ। সম্প্রতি শেয়ারবাজারে দৈনিক লেনদেন হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিশ্লেষকদের বিবেচনায় এ লেনদেন স্বাভাবিক নয়। এ থেকেই আন্দাজ করা যায়, যেখানে বিনিয়োগ করার কথা সেখানকার অবস্থা ভালো নয়। অর্থাত্ শিল্পকারখানা গ্যাস-বিদ্যুত্ ও অন্যান্য সঙ্কটের মুখে পড়ে এক নাজুক অবস্থার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় উদ্যোক্তারা যে ঋণ নেবেন না ব্যাংক থেকে, তা সহজেই অনুমেয়। কারণ শিল্পকারখানায় উত্পাদন অব্যাহত রাখা কিংবা লাভের আশায় নতুন শিল্প গড়ে তোলার মতো অনুকূল পরিস্থিতি নেই। এমন অনিশ্চয়তায় বড় ধরনের ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। এদিকে ঋণের চাহিদা না থাকায় ব্যাংকগুলো আমানতের সুদের হার কমিয়ে দিয়েছে। ফলে সাধারণ আমানতকারীরাও ব্যাংকে টাকা না রেখে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হচ্ছেন।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় খাত শিল্পকারখানার দিকে মনোনিবেশ করা দরকার। অন্তত অতিসত্বর চালু কারখানাগুলোয় যাতে গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে উত্পাদন ব্যাহত না হয় তার কার্যকর বিহিত বের করতে হবে। পাশাপাশি আইন-শৃগ্ধখলার অবনতি রোধ করে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। যে কোনো উপায়ে কমাতে হবে উত্পাদন খাতের ঝুঁকি। এ জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া এবং তা বাস্তবায়ন ছাড়া গত্যন্তর নেই। কেননা উত্পাদনমুখী খাতে শূন্যতা সৃষ্টি হলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও সঙ্কুচিত হবে, দারিদ্র্য বাড়বে, হোঁচট খাবে দারিদ্র্য বিমোচনের সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
No comments