সিরিয়ায় সেনা অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১৩৬
সিরিয়ায় গত রোববারের সেনা অভিযানে গত রোববার ১৩৬ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, শুধু হামা নগরেই অন্তত ১০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ সেনা অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বারাক ওবামা বলেন, নিজ জনগণের বিরুদ্ধে সিরিয়া সরকারের সহিংসতা ও নৃশংসতায় তিনি মর্মাহত। তিনি ‘সাহসী’ বিক্ষোভকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ওবামা বলেন, সামনের দিনগুলোতেও যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে। সিরিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং আসাদ সরকারকে বিচ্ছিন্ন করতে অন্যদের সঙ্গে কাজ করবে তাঁর দেশ। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আবারও দেখিয়েছেন যে তিনি অযোগ্য এবং সিরিয়ার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ইউরোপীয় নেতারাও সিরিয়ায় বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন। জার্মানি ও ইতালি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সিরিয়াকে নিয়ে তিক্ত বিভক্তির সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। বিরোধীদের ওপর সিরিয়া সরকারের দমন-পীড়নে বিবৃতির ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দেওয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া ও চীন।
এরই মধ্যে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গতকাল সিরিয়ার ওপর ‘আরও জোরালো আন্তর্জাতিক চাপ’ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি সামরিক অভিযানের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।
মানবাধিকারকর্মীরা বলেন, প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত দিনগুলোর একটি ছিল গত রোববার। গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে গত ১৫ মার্চ প্রথম রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর গত রোববার সবচেয়েপ্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, গত রোববার সিরিয়াজুড়ে ১৩৬ জন নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিরিয়ান লিগ ফর দ্য ডিফেন্স অব হিউম্যান রাইটসের প্রধান আবদেল করিম রিহাভি বলেন, রোববার নিরাপত্তা বাহিনীরগুলোতে হামা নগরে ১০০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মধ্যাঞ্চলীয় শহর হোমসে পাঁচজন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদিবে তিনজন নিহত হয়েছে।
হামা নগরের একটি হাসপাতাল সূত্রকে উদ্ধৃত করে রামি আবদেল রহমান বলেন, আহতের সংখ্যা প্রচুর। নগরের হাসপাতালগুলো পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। দ্য ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান আম্মার কোরাবি বলেন, দেইর এজ্জরে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, দেইর এজ্জরে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের বেশির ভাগকেই মাথা ও ঘাড়ে গুলি করে হত্যা করেছে গুপ্তঘাতকেরা।
হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বারাক ওবামা বলেন, নিজ জনগণের বিরুদ্ধে সিরিয়া সরকারের সহিংসতা ও নৃশংসতায় তিনি মর্মাহত। তিনি ‘সাহসী’ বিক্ষোভকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ওবামা বলেন, সামনের দিনগুলোতেও যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে। সিরিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং আসাদ সরকারকে বিচ্ছিন্ন করতে অন্যদের সঙ্গে কাজ করবে তাঁর দেশ। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আবারও দেখিয়েছেন যে তিনি অযোগ্য এবং সিরিয়ার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ইউরোপীয় নেতারাও সিরিয়ায় বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন। জার্মানি ও ইতালি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সিরিয়াকে নিয়ে তিক্ত বিভক্তির সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। বিরোধীদের ওপর সিরিয়া সরকারের দমন-পীড়নে বিবৃতির ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দেওয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া ও চীন।
এরই মধ্যে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গতকাল সিরিয়ার ওপর ‘আরও জোরালো আন্তর্জাতিক চাপ’ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি সামরিক অভিযানের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।
মানবাধিকারকর্মীরা বলেন, প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত দিনগুলোর একটি ছিল গত রোববার। গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে গত ১৫ মার্চ প্রথম রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর গত রোববার সবচেয়েপ্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, গত রোববার সিরিয়াজুড়ে ১৩৬ জন নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিরিয়ান লিগ ফর দ্য ডিফেন্স অব হিউম্যান রাইটসের প্রধান আবদেল করিম রিহাভি বলেন, রোববার নিরাপত্তা বাহিনীরগুলোতে হামা নগরে ১০০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মধ্যাঞ্চলীয় শহর হোমসে পাঁচজন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদিবে তিনজন নিহত হয়েছে।
হামা নগরের একটি হাসপাতাল সূত্রকে উদ্ধৃত করে রামি আবদেল রহমান বলেন, আহতের সংখ্যা প্রচুর। নগরের হাসপাতালগুলো পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। দ্য ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান আম্মার কোরাবি বলেন, দেইর এজ্জরে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, দেইর এজ্জরে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের বেশির ভাগকেই মাথা ও ঘাড়ে গুলি করে হত্যা করেছে গুপ্তঘাতকেরা।
No comments