ব্রেসনান-ঝড়ে উড়ে গেল ভারত
ট্রেন্টব্রিজ টেস্ট শুরুর আগের দিন। গত কিছুদিনে দলের অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠা ক্রিস ট্রেমলেটের খেলা অনিশ্চয়তার দোলাচলে। সংবাদ সম্মেলনে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস বললেন, ‘ও খেললে ভালো, না খেললেও সমস্যা নেই। ব্রেসনান আছে না!’ সেই ব্রেসনান এভাবে জ্বলে উঠবেন, এতটা কি স্ট্রাউস নিজেও ভাবতে পেরেছিলেন!
প্রথম ইনিংসে দুটি উইকেট পেয়েছিলেন। উইকেট দুটি দেখুন—সেঞ্চুরিয়ান রাহুল দ্রাবিড় ও ৫৪ করা ভিভিএস লক্ষ্মণ। কাল তো ব্যাটে-বলে এক ব্রেসনানের কাছেই নাকাল টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথমে যন্ত্রণা দিলেন ভারতীয় বোলারদের। অল্পের জন্য প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটা ফসকে যাওয়ার জ্বালা জুড়ালেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কচুকাটা করে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। সেটা হয়নি, তবে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। ট্রেমলেট ফিট হলে আগামী টেস্টের দল নির্বাচনে মধুর সমস্যাতেই পড়তে হবে ইংলিশদের!
ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে কিছুটা লড়াই করেছেন কেবল শচীন টেন্ডুলকার। একদিকে উইকেট পড়ছে, আরেক দিকে তিনি খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন কিছু শট। তুলে নিয়েছেন সিরিজের প্রথম ফিফটি। বহু প্রত্যাশিত শততম সেঞ্চুরিটা হলে হয়তো সান্ত্বনার কিছু একটা পেত ভারত। কিন্তু আরও একবার জেমস অ্যান্ডারসনের শিকার হয়ে সে আশাতেও গুড়ে বালি। টেন্ডুলকারের বিদায়ের পর পরাজয় একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের। দেখার ছিল ম্যাচটিকে সফরকারীরা পঞ্চম দিনে নিতে পারেন কি না। কিন্তু সেটাও পারেনি ধোনির দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৮ রানে অলআউট হয়ে চতুর্থ দিনেই ৩১৯ রানে ম্যাচ হেরেছে ভারত। তাদের এই পরাজয়ে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের কাঙ্ক্ষিত এক নম্বরের আরও কাছে এগোল ইংল্যান্ড।
প্রথম দুই ওভারে চারটি চার মেরে কাল শুরু হয়েছিল ইংলিশদের ইনিংস। ৬৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা প্রায়র এরপর ফিরে গেছেন দ্রুতই। কিন্তু ব্রেসনানের ব্যাটে তখন ঝোড়ো হাওয়া। আর স্টুয়ার্ট ব্রড তো যেন অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়েই নেমেছেন এই সিরিজে। ভারতীয় বোলারদের রীতিমতো দিশেহারা করে ৮২ রানের জুটি গড়লেন মাত্র ১৩ ওভারে। দুজন আউট হয়েছেন পরপর দুই বলে। অতিরিক্ত ঋদ্ধিমান সাহার থ্রোতে রানআউট ব্রড, পরের বলেই প্রাভিন কুমারের বাড়তি বাউন্সের শিকার ব্রেসনান। ৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে দুটি ফিফটি হলো, দুবারই সেঞ্চুরির সুবাস পেয়েও ফিরলেন হতাশ হয়ে। গত বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে স্টাম্পড হয়েছিলেন ৯১ রানে। সব মিলিয়ে কাল সকালে ১৯.২ ওভারে ১০৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৮ ওভারে ৪৭৮।
লাঞ্চের আগে ৫ ওভারের মাঝেই সবচেয়ে বড় ভরসাকে হারায় ভারত, ‘দ্য ওয়াল’ ভেঙে ফেলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। লাঞ্চের পর ইংলিশ পেসারদের সুইং-বাউন্সের যুগলবন্দীতে নাকাল ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম বলে ক্যাচ দিয়েও ‘কিং পেয়ার’ পাওয়া থেকে বেঁচে যাওয়া মুকুন্দ শিকার হয়েছেন ব্রেসনানের বাউন্সারে। বাউন্সেই ফিরে গেছেন রায়না-যুবরাজ। আর অ্যান্ডারসনের দুর্দান্ত এক ইনসুইঙ্গারে বাতাসে ডিগবাজি খেয়েছে লক্ষ্মণের স্টাম্প। ওয়েবসাইট।
প্রিয় শিকার
এই নিয়ে ৮ টেস্টে ৭ বার টেন্ডুলকারকে আউট করলেন অ্যান্ডারসন!
প্রথম ইনিংসে দুটি উইকেট পেয়েছিলেন। উইকেট দুটি দেখুন—সেঞ্চুরিয়ান রাহুল দ্রাবিড় ও ৫৪ করা ভিভিএস লক্ষ্মণ। কাল তো ব্যাটে-বলে এক ব্রেসনানের কাছেই নাকাল টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথমে যন্ত্রণা দিলেন ভারতীয় বোলারদের। অল্পের জন্য প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটা ফসকে যাওয়ার জ্বালা জুড়ালেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কচুকাটা করে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। সেটা হয়নি, তবে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। ট্রেমলেট ফিট হলে আগামী টেস্টের দল নির্বাচনে মধুর সমস্যাতেই পড়তে হবে ইংলিশদের!
ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে কিছুটা লড়াই করেছেন কেবল শচীন টেন্ডুলকার। একদিকে উইকেট পড়ছে, আরেক দিকে তিনি খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন কিছু শট। তুলে নিয়েছেন সিরিজের প্রথম ফিফটি। বহু প্রত্যাশিত শততম সেঞ্চুরিটা হলে হয়তো সান্ত্বনার কিছু একটা পেত ভারত। কিন্তু আরও একবার জেমস অ্যান্ডারসনের শিকার হয়ে সে আশাতেও গুড়ে বালি। টেন্ডুলকারের বিদায়ের পর পরাজয় একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের। দেখার ছিল ম্যাচটিকে সফরকারীরা পঞ্চম দিনে নিতে পারেন কি না। কিন্তু সেটাও পারেনি ধোনির দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৮ রানে অলআউট হয়ে চতুর্থ দিনেই ৩১৯ রানে ম্যাচ হেরেছে ভারত। তাদের এই পরাজয়ে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের কাঙ্ক্ষিত এক নম্বরের আরও কাছে এগোল ইংল্যান্ড।
প্রথম দুই ওভারে চারটি চার মেরে কাল শুরু হয়েছিল ইংলিশদের ইনিংস। ৬৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা প্রায়র এরপর ফিরে গেছেন দ্রুতই। কিন্তু ব্রেসনানের ব্যাটে তখন ঝোড়ো হাওয়া। আর স্টুয়ার্ট ব্রড তো যেন অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়েই নেমেছেন এই সিরিজে। ভারতীয় বোলারদের রীতিমতো দিশেহারা করে ৮২ রানের জুটি গড়লেন মাত্র ১৩ ওভারে। দুজন আউট হয়েছেন পরপর দুই বলে। অতিরিক্ত ঋদ্ধিমান সাহার থ্রোতে রানআউট ব্রড, পরের বলেই প্রাভিন কুমারের বাড়তি বাউন্সের শিকার ব্রেসনান। ৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে দুটি ফিফটি হলো, দুবারই সেঞ্চুরির সুবাস পেয়েও ফিরলেন হতাশ হয়ে। গত বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে স্টাম্পড হয়েছিলেন ৯১ রানে। সব মিলিয়ে কাল সকালে ১৯.২ ওভারে ১০৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৮ ওভারে ৪৭৮।
লাঞ্চের আগে ৫ ওভারের মাঝেই সবচেয়ে বড় ভরসাকে হারায় ভারত, ‘দ্য ওয়াল’ ভেঙে ফেলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। লাঞ্চের পর ইংলিশ পেসারদের সুইং-বাউন্সের যুগলবন্দীতে নাকাল ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম বলে ক্যাচ দিয়েও ‘কিং পেয়ার’ পাওয়া থেকে বেঁচে যাওয়া মুকুন্দ শিকার হয়েছেন ব্রেসনানের বাউন্সারে। বাউন্সেই ফিরে গেছেন রায়না-যুবরাজ। আর অ্যান্ডারসনের দুর্দান্ত এক ইনসুইঙ্গারে বাতাসে ডিগবাজি খেয়েছে লক্ষ্মণের স্টাম্প। ওয়েবসাইট।
প্রিয় শিকার
এই নিয়ে ৮ টেস্টে ৭ বার টেন্ডুলকারকে আউট করলেন অ্যান্ডারসন!
No comments