ধোনিদের প্রশংসায় ক্রিকেট-বিশ্ব
দর্শকদের দুয়োধ্বনির মাঝে তৃতীয় দিনের চা-বিরতিতে গিয়েছিল ভারতীয় দল। বিরতির পর মাঠে ফেরার সময় সেই দলটাই পেল অযুত করতালি। মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাল ট্রেন্টব্রিজের গ্যালারি। নির্মম পেশাদারির এই যুগে স্পোর্টসম্যানশিপের অনন্য এক দৃষ্টান্ত গড়েছে ভারত। ধোনিদের প্রশংসায় ভাসিয়েছে পুরো ক্রিকেট-বিশ্বই।
পরশু চা-বিরতির ঠিক আগের বলে ইশান্ত শর্মাকে ফ্লিক করেছিলেন এউইন মরগান। মিড উইকেট সীমানায় কোনো রকমে বলটি ফেরান প্রাভিন কুমার। চার হয়ে গেছে ভেবে বলটি ফেরত পাঠান অলস ভঙ্গিতে। চার হয়ে গেছে এবং সেই সঙ্গে চা-বিরতি হয়ে গেছে ভেবে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা দেন বেল। কিন্তু আম্পায়াররা তখনো চা-বিরতির সংকেত দেননি। ফিরতি বল ধরে বেল ফেলে দেন অভিনব মুকুন্দ। টিভি রিপ্লে নিশ্চিত করে, বলটি চার ছিল না। ভারতীয়রা রানআউটের আবেদন করেন। আউট দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না আম্পায়ারের। ফেরার পথে আম্পায়াররা ধোনিকে জিজ্ঞাসা করেন, নৈতিক দিক বিবেচনা করে আবেদন প্রত্যাহার করা হবে কি না? ধোনি সরাসরি জানিয়ে দেন ‘না’।
চা-বিরতির সময় অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস ও অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ভারতের ড্রেসিংরুমে গিয়ে আবেদন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য একটু সময় চেয়ে নেন ধোনি। চা-বিরতি শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমে গিয়ে জানানো হয়, আবেদন তুলে নেওয়া হয়েছে। ১৩৭ রানে অপ্রত্যাশিত জীবন পাওয়া বেল পরে আউট হন ১৫৯ রানে।
বেল স্বীকার করেছেন, কাজটি খুব ‘কাঁচা’ হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত স্বস্তিই পেয়েছেন তিনি, ‘আইন অনুযায়ী আমি আউট ছিলাম। তবে আমার দিক থেকে আমি স ৎ, বল ডেড হয়ে গেছে ভেবেই চা-বিরতিতে চলে যাচ্ছিলাম। ক্রিকেটের স্পিরিট মানলে শেষ পর্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। এর আগে কোনো একটা ওয়ানডেতে আমরাও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম, তখন আমাদের সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।’ ২০০৮ সালে ওভালের ওয়ানডেতে রায়ান সাইডবটমের সঙ্গে ধাক্কায় পড়ে গিয়ে রানআউট হন নিউজিল্যান্ডের গ্রান্ট এলিয়ট। সেবার আম্পায়াররা জিজ্ঞাসা করার পর আবেদন প্রত্যাহার করেননি ইংলিশ অধিনায়ক পল কলিংউড।
রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য জানিয়েছেন, স্ট্রাউস-ফ্লাওয়ার অনুরোধ করার আগেই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করছিলেন তাঁরা। ক্রিকেটের স্পিরিটের কথা ভেবেই আবেদন তুলে নেওয়া হয়, ‘আমরা জানতাম, নিয়ম অনুযায়ী বেল আউট। কিন্তু সবার মনেই একটা দ্বিধা ছিল। ড্রেসিংরুমে এ নিয়ে কথাও হচ্ছিল। রিপ্লে দেখার পর আমাদের মনে হয়, কিছু একটা ভুল হয়ে গেছে, যেটা সংশোধন করা উচিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমাদের একটা তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গও উঠেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই চেয়েছি আবেদন তুলে নিতে।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজে অন্যমনস্কভাবে ক্রিজের বাইরে চলে আসায় চন্দরপলের বলে স্টাম্পড হয়েছিলেন লক্ষ্মণ। দ্রাবিড়ের ইঙ্গিত সেদিকেই।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত, ইসিবির প্রধান নির্বাহী ডেভিড কোলিয়ার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ধোনি ও ভারতের। ভ্যাসলিন ও হটস্পট বিতর্কে মেতে থাকা ব্রিটিশ মিডিয়াতেও ছিল প্রশংসার বন্যা। সাবেকদের প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। মাইকেল আথারটন, শেন ওয়ার্ন, মাইকেল ভনরা ধোনির প্রশংসার পাশাপাশি বলেছেন, অসাবধানী বেলের শিক্ষা হবে এ ঘটনায়। তবে ইয়ান বোথামের ভাবনা অন্য রকম, ‘আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তই ঠিক। এসব ঘটনা থেকেই মানুষ শেখে। বেল আউট ছিল এবং আউট থাকাই উচিত ছিল।’ সঞ্জয় মাঞ্জেরেকার ও নাসের হুসেইনই একমত বোথামের সঙ্গে।
পরশু চা-বিরতির ঠিক আগের বলে ইশান্ত শর্মাকে ফ্লিক করেছিলেন এউইন মরগান। মিড উইকেট সীমানায় কোনো রকমে বলটি ফেরান প্রাভিন কুমার। চার হয়ে গেছে ভেবে বলটি ফেরত পাঠান অলস ভঙ্গিতে। চার হয়ে গেছে এবং সেই সঙ্গে চা-বিরতি হয়ে গেছে ভেবে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা দেন বেল। কিন্তু আম্পায়াররা তখনো চা-বিরতির সংকেত দেননি। ফিরতি বল ধরে বেল ফেলে দেন অভিনব মুকুন্দ। টিভি রিপ্লে নিশ্চিত করে, বলটি চার ছিল না। ভারতীয়রা রানআউটের আবেদন করেন। আউট দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না আম্পায়ারের। ফেরার পথে আম্পায়াররা ধোনিকে জিজ্ঞাসা করেন, নৈতিক দিক বিবেচনা করে আবেদন প্রত্যাহার করা হবে কি না? ধোনি সরাসরি জানিয়ে দেন ‘না’।
চা-বিরতির সময় অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস ও অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ভারতের ড্রেসিংরুমে গিয়ে আবেদন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য একটু সময় চেয়ে নেন ধোনি। চা-বিরতি শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমে গিয়ে জানানো হয়, আবেদন তুলে নেওয়া হয়েছে। ১৩৭ রানে অপ্রত্যাশিত জীবন পাওয়া বেল পরে আউট হন ১৫৯ রানে।
বেল স্বীকার করেছেন, কাজটি খুব ‘কাঁচা’ হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত স্বস্তিই পেয়েছেন তিনি, ‘আইন অনুযায়ী আমি আউট ছিলাম। তবে আমার দিক থেকে আমি স ৎ, বল ডেড হয়ে গেছে ভেবেই চা-বিরতিতে চলে যাচ্ছিলাম। ক্রিকেটের স্পিরিট মানলে শেষ পর্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। এর আগে কোনো একটা ওয়ানডেতে আমরাও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম, তখন আমাদের সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।’ ২০০৮ সালে ওভালের ওয়ানডেতে রায়ান সাইডবটমের সঙ্গে ধাক্কায় পড়ে গিয়ে রানআউট হন নিউজিল্যান্ডের গ্রান্ট এলিয়ট। সেবার আম্পায়াররা জিজ্ঞাসা করার পর আবেদন প্রত্যাহার করেননি ইংলিশ অধিনায়ক পল কলিংউড।
রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য জানিয়েছেন, স্ট্রাউস-ফ্লাওয়ার অনুরোধ করার আগেই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করছিলেন তাঁরা। ক্রিকেটের স্পিরিটের কথা ভেবেই আবেদন তুলে নেওয়া হয়, ‘আমরা জানতাম, নিয়ম অনুযায়ী বেল আউট। কিন্তু সবার মনেই একটা দ্বিধা ছিল। ড্রেসিংরুমে এ নিয়ে কথাও হচ্ছিল। রিপ্লে দেখার পর আমাদের মনে হয়, কিছু একটা ভুল হয়ে গেছে, যেটা সংশোধন করা উচিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমাদের একটা তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গও উঠেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই চেয়েছি আবেদন তুলে নিতে।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজে অন্যমনস্কভাবে ক্রিজের বাইরে চলে আসায় চন্দরপলের বলে স্টাম্পড হয়েছিলেন লক্ষ্মণ। দ্রাবিড়ের ইঙ্গিত সেদিকেই।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত, ইসিবির প্রধান নির্বাহী ডেভিড কোলিয়ার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ধোনি ও ভারতের। ভ্যাসলিন ও হটস্পট বিতর্কে মেতে থাকা ব্রিটিশ মিডিয়াতেও ছিল প্রশংসার বন্যা। সাবেকদের প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। মাইকেল আথারটন, শেন ওয়ার্ন, মাইকেল ভনরা ধোনির প্রশংসার পাশাপাশি বলেছেন, অসাবধানী বেলের শিক্ষা হবে এ ঘটনায়। তবে ইয়ান বোথামের ভাবনা অন্য রকম, ‘আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তই ঠিক। এসব ঘটনা থেকেই মানুষ শেখে। বেল আউট ছিল এবং আউট থাকাই উচিত ছিল।’ সঞ্জয় মাঞ্জেরেকার ও নাসের হুসেইনই একমত বোথামের সঙ্গে।
No comments