ঋণসীমা নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন মার্কিন নেতারা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ঋণসীমা বাড়ানো এবং ব্যয় কাটছাঁট নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতারা সমঝোতায় পৌঁছেছেন। প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন ঋণসীমা ২৪০ কোটি ডলার বাড়ানো হবে। পাশাপাশি কংগ্রেস আগামী ১০ বছরে সমান পরিমাণ ঘাটতি কমাতে রাজি হয়েছে। এ ছাড়া বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় আরও কাটছাঁটের প্রস্তাব দিতে একটি কমিটি করা হবে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
মার্কিন কংগ্রেসে এখন এই সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন করতে হবে। কংগ্রেসের উভয় কক্ষে গতকাল সোমবার এ চুক্তির ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
তবে বিবিসির সাংবাদিক জেইন ও’ব্রায়েন বলেছেন, প্রস্তাবটি অনুমোদন হতে এখনো কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। কেননা, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের কেউ কেউ এখনো নানা কারণে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন।
আজ মঙ্গলবারের মধ্যে ঋণসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব পাস না হলে মার্কিন সরকারের ব্যয় নির্বাহ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ অসম্ভব হয়ে পড়বে। আজকের মধ্যে ১৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণসীমা বাড়ানো না হলে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটি তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঋণখেলাপির ঝুঁকিতে পড়বে।
ওবামা বলেন, ‘আমি ঘোষণা করতে চাই, কংগ্রেসের উভয় কক্ষে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতারা ব্যয় কাটছাঁট ও ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমঝোতায় পৌঁছেছেন। ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে তা আমাদের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’ তবে তিনি বলেন, প্রস্তাবটি তাঁর মনের মতো না হলেও এ সমঝোতা মার্কিন ঋণসংকটের পরিস্থিতি উত্তরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। টোকিওতে শেয়ারের দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মূল্য ৭৬ দশমিক ৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৮। হংকংয়ে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান-দলীয় নেতা স্পিকার জন বোয়েনার বলেছেন, সমঝোতা পরিকল্পনাটি পাস করার ব্যাপারে তিনি কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সহযোগিতা করবেন।
সরকারের ঋণসীমা বাড়ানো মার্কিন কংগ্রেসের একটি গ ৎবাঁধা কাজ ছিল। কিন্তু এ বছর আর্থিক বিষয়ে রক্ষণশীল কিছু রিপাবলিকান নেতা কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়ে আসায় তাঁরা এতে বাগড়া দিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এবারের বাজেট ঘাটতি ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং জাতীয় ঋণ ১৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হ্যারি রিড আগামী ১০ বছরে ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কাটছাঁট ও ঋণসীমা দুই দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
এই ব্যয়সংকোচন ও ঋণসীমা বাড়ানো নিয়ে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। এমনকি ডেমোক্র্যাটদেরও কেউ কেউ এতে নারাজি ছিলেন।
মার্কিন কংগ্রেসে এখন এই সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন করতে হবে। কংগ্রেসের উভয় কক্ষে গতকাল সোমবার এ চুক্তির ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
তবে বিবিসির সাংবাদিক জেইন ও’ব্রায়েন বলেছেন, প্রস্তাবটি অনুমোদন হতে এখনো কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। কেননা, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের কেউ কেউ এখনো নানা কারণে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন।
আজ মঙ্গলবারের মধ্যে ঋণসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব পাস না হলে মার্কিন সরকারের ব্যয় নির্বাহ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ অসম্ভব হয়ে পড়বে। আজকের মধ্যে ১৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণসীমা বাড়ানো না হলে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটি তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঋণখেলাপির ঝুঁকিতে পড়বে।
ওবামা বলেন, ‘আমি ঘোষণা করতে চাই, কংগ্রেসের উভয় কক্ষে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতারা ব্যয় কাটছাঁট ও ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমঝোতায় পৌঁছেছেন। ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে তা আমাদের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’ তবে তিনি বলেন, প্রস্তাবটি তাঁর মনের মতো না হলেও এ সমঝোতা মার্কিন ঋণসংকটের পরিস্থিতি উত্তরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। টোকিওতে শেয়ারের দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মূল্য ৭৬ দশমিক ৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৮। হংকংয়ে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান-দলীয় নেতা স্পিকার জন বোয়েনার বলেছেন, সমঝোতা পরিকল্পনাটি পাস করার ব্যাপারে তিনি কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সহযোগিতা করবেন।
সরকারের ঋণসীমা বাড়ানো মার্কিন কংগ্রেসের একটি গ ৎবাঁধা কাজ ছিল। কিন্তু এ বছর আর্থিক বিষয়ে রক্ষণশীল কিছু রিপাবলিকান নেতা কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়ে আসায় তাঁরা এতে বাগড়া দিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এবারের বাজেট ঘাটতি ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং জাতীয় ঋণ ১৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হ্যারি রিড আগামী ১০ বছরে ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কাটছাঁট ও ঋণসীমা দুই দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
এই ব্যয়সংকোচন ও ঋণসীমা বাড়ানো নিয়ে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। এমনকি ডেমোক্র্যাটদেরও কেউ কেউ এতে নারাজি ছিলেন।
No comments