সিরিয়ায় সেনা অভিযানে ১২১ জন নিহত
সিরিয়ায় গতকাল রোববার সেনাবাহিনীর অভিযানে ১২১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মধ্যাঞ্চলীয় শহর হামায় নিহত হয়েছে ৯৫ জন। মানবাধিকারকর্মীরা এ কথা জানান।
ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান আম্মার কোরাবি বলেন, সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হামা শহরে বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে। এতে ৯৫ জন নিহত হয়। তিনি জানান, তাঁর কাছে নিহত ৬২ জনের নামের তালিকা আছে।
আম্মার কোরাবি বলেন, গতকাল দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর হামলায় ১২১ জন নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, দেইর এজ্জরে ১৯ জন, হারাকে ছয়জন ও আল-বুকামালে একজন নিহত হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের রামি আবদেল রহমান টেলিফোনে বলেন, ‘সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী আজ (রোববার) সকালে হামায় প্রবেশ করে এবং বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি চালায়। এতে ৪৫ জন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছে।’ তিনি অবশ্য তখন বলেছিলেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া চিকিৎ সা-সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
আবদেল রহমান বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেইর এজ্জরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ছয়জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় দেরা অঞ্চলের হারাকে তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
১৯৮২ সালে হামায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামপন্থীদের বিদ্রোহ কঠোর হাতে দমন করে সেনাবাহিনী। ওই সময় সেখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ১ জুলাই প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের সমাবেশের পর হামার গভর্নরকে সরিয়ে নতুন গভর্নর নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট। ৬ জুলাই সেনা হামলায় হামায় ২০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়।
আবদেল রহমান বলেন, ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ দমাতে দের এজ্জরগামী সামরিক যানবাহনের ওপর পাথর ছোড়ায় সেনারা তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি বলেন, ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, সেনাবাহী ট্রাকসহ প্রায় ৬০টি সামরিক যান নগরে মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আবদেল রহমান বলেন, গভর্নরের কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর সেনারা স্থানীয় বাসিন্দারের আতঙ্কিত করতে গুলি ছোড়ে।
ক্রমেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে যে, সেনাবাহিনী দেইর এজ্জরে ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিজেকে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর কর্নেল পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি এএফপিকে বলেন, তিনি পক্ষত্যাগ করেছেন এবং তাঁর কমান্ডের অধীন ‘শত শত’ সেনা দেইর এজ্জরে নিয়মিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।
ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান আম্মার কোরাবি বলেন, সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হামা শহরে বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে। এতে ৯৫ জন নিহত হয়। তিনি জানান, তাঁর কাছে নিহত ৬২ জনের নামের তালিকা আছে।
আম্মার কোরাবি বলেন, গতকাল দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর হামলায় ১২১ জন নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, দেইর এজ্জরে ১৯ জন, হারাকে ছয়জন ও আল-বুকামালে একজন নিহত হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের রামি আবদেল রহমান টেলিফোনে বলেন, ‘সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী আজ (রোববার) সকালে হামায় প্রবেশ করে এবং বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি চালায়। এতে ৪৫ জন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছে।’ তিনি অবশ্য তখন বলেছিলেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া চিকিৎ সা-সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
আবদেল রহমান বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেইর এজ্জরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ছয়জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় দেরা অঞ্চলের হারাকে তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
১৯৮২ সালে হামায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামপন্থীদের বিদ্রোহ কঠোর হাতে দমন করে সেনাবাহিনী। ওই সময় সেখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ১ জুলাই প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের সমাবেশের পর হামার গভর্নরকে সরিয়ে নতুন গভর্নর নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট। ৬ জুলাই সেনা হামলায় হামায় ২০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়।
আবদেল রহমান বলেন, ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ দমাতে দের এজ্জরগামী সামরিক যানবাহনের ওপর পাথর ছোড়ায় সেনারা তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি বলেন, ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, সেনাবাহী ট্রাকসহ প্রায় ৬০টি সামরিক যান নগরে মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আবদেল রহমান বলেন, গভর্নরের কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর সেনারা স্থানীয় বাসিন্দারের আতঙ্কিত করতে গুলি ছোড়ে।
ক্রমেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে যে, সেনাবাহিনী দেইর এজ্জরে ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিজেকে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর কর্নেল পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি এএফপিকে বলেন, তিনি পক্ষত্যাগ করেছেন এবং তাঁর কমান্ডের অধীন ‘শত শত’ সেনা দেইর এজ্জরে নিয়মিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।
No comments