বেরলুসকোনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি
ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। ইতালির একটি দৈনিকে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে গাদ্দাফি সরকার বলেছে, বেনগাজিভিত্তিক জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের (এনটিসি) অনেকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। তবে বিদ্রোহীদের সামরিক শাখার প্রধান জেনারেল আবদেল ফাতাহ ইউনিসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। জেনারেল ইউনিস গত বৃহস্পতিবার গুলিতে নিহত হন। তাঁর সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনীর গোপন যোগাযোগ ছিল বলে গুজব রয়েছে।
লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিতে গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন বিদ্রোহী সেনা নিহত হয়েছেন। এ সময় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইতালির দৈনিক করিয়েরি দেল্লা সেরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বেরলুসকোনি ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রে’ জানতে পারেন গাদ্দাফি তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছেন। বেরলুসকোনি বলেন, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে নয়, শারীরিকভাবে হত্যা করার কথা উল্লেখ করেছেন গাদ্দাফি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
গাদ্দাফির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম গতকাল রোববার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এনটিসির সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। মাহমুদ জিবরিল (এনটিসির দ্বিতীয় প্রধান নেতা), এসায়ে (এনটিসির পররাষ্ট্রবিষয়ক দায়িত্বে আছেন), সাল্লাবিসহ (ধর্মীয় নেতা) অনেকের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’ জেনারেল ইউনিসের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, দুই মাস আগে ইউনিসের ইতালি সফরের সময় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এর পর থেকে ইউনিসের সঙ্গে গাদ্দাফি সরকারের কোনো ধরনের যোগাযোগ ছিল না।
বেনগাজিভিত্তিক বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মাহমুদ সাম্মান বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলে। দুই পক্ষই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ৩১ জনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও আমরা চারজনকে হারিয়েছি।’
হামলা চলবে: ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেরার্দ লঙ্গুয়ে গতকাল বলেছেন, গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যত দিন প্রয়োজন লিবিয়ার সামরিক স্থাপনায় হামলা চলবে।
গেরার্দ লঙ্গুয়ে বলেন, ‘আমরা কখনোই গাদ্দাফির ওপর চাপ কমাব না এবং গাদ্দাফিবিরোধীদের ছেড়ে চলে যাব না। তবে ত্রিপোলি তথা লিবিয়ার জনগণকে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে।’
জোস গ্রাম বিদ্রোহীদের দখলে: লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের নাফুসা পার্বত্য এলাকার জোস নামের একটি গ্রাম গতকাল দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। নাফুসা অঞ্চলে বিদ্রোহীদের অভিযানের প্রধান জুমা ব্রাহিম বলেন, ‘আমরা সকালের দিকে জোস গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। এখন আরও পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এর টিজি এলাকায় গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ চলছে।’
এদিকে গাদ্দাফি সরকার বলেছে, বেনগাজিভিত্তিক জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের (এনটিসি) অনেকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। তবে বিদ্রোহীদের সামরিক শাখার প্রধান জেনারেল আবদেল ফাতাহ ইউনিসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। জেনারেল ইউনিস গত বৃহস্পতিবার গুলিতে নিহত হন। তাঁর সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনীর গোপন যোগাযোগ ছিল বলে গুজব রয়েছে।
লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিতে গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন বিদ্রোহী সেনা নিহত হয়েছেন। এ সময় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইতালির দৈনিক করিয়েরি দেল্লা সেরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বেরলুসকোনি ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রে’ জানতে পারেন গাদ্দাফি তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছেন। বেরলুসকোনি বলেন, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে নয়, শারীরিকভাবে হত্যা করার কথা উল্লেখ করেছেন গাদ্দাফি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
গাদ্দাফির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম গতকাল রোববার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এনটিসির সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। মাহমুদ জিবরিল (এনটিসির দ্বিতীয় প্রধান নেতা), এসায়ে (এনটিসির পররাষ্ট্রবিষয়ক দায়িত্বে আছেন), সাল্লাবিসহ (ধর্মীয় নেতা) অনেকের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’ জেনারেল ইউনিসের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, দুই মাস আগে ইউনিসের ইতালি সফরের সময় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এর পর থেকে ইউনিসের সঙ্গে গাদ্দাফি সরকারের কোনো ধরনের যোগাযোগ ছিল না।
বেনগাজিভিত্তিক বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মাহমুদ সাম্মান বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলে। দুই পক্ষই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ৩১ জনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও আমরা চারজনকে হারিয়েছি।’
হামলা চলবে: ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেরার্দ লঙ্গুয়ে গতকাল বলেছেন, গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যত দিন প্রয়োজন লিবিয়ার সামরিক স্থাপনায় হামলা চলবে।
গেরার্দ লঙ্গুয়ে বলেন, ‘আমরা কখনোই গাদ্দাফির ওপর চাপ কমাব না এবং গাদ্দাফিবিরোধীদের ছেড়ে চলে যাব না। তবে ত্রিপোলি তথা লিবিয়ার জনগণকে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে।’
জোস গ্রাম বিদ্রোহীদের দখলে: লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের নাফুসা পার্বত্য এলাকার জোস নামের একটি গ্রাম গতকাল দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। নাফুসা অঞ্চলে বিদ্রোহীদের অভিযানের প্রধান জুমা ব্রাহিম বলেন, ‘আমরা সকালের দিকে জোস গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। এখন আরও পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এর টিজি এলাকায় গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ চলছে।’
No comments