পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন জোটে ঠান্ডা লড়াই
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দুই শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সে লড়াই প্রকাশ্যে এসে পড়েছে।
মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জোট-শরিক কংগ্রেসকে অনেকটা উপেক্ষা করে চলা শুরু করেন। এতে কংগ্রেসের ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর একের পর এক উন্নয়নের প্যাকেজ ঘোষণা করতে থাকেন। চাকরি ও শিল্পোন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিতে থাকেন। এমন ঘোষণাও দেন যে কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আলাদা প্যাকেজ ঘোষণা করবে। কেন্দ্রের আর্থিক সহযোগিতা পেতে মমতা দিল্লিতে ধরনাও দেন। কিন্তু গত শুক্রবার কলকাতায় দলীয় বিধায়কদের এক সভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেসের নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সাংবিধানিক গণ্ডির মধ্যে রাজ্যের জন্য যা করার কেন্দ্র তাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে কোনো রাজ্যকে আলাদা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, কোনো ‘তুঘলকি কায়দা’য় দাবি জানালেই এভাবে আলাদা প্যাকেজ দেওয়া যায় না।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের এ বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর ক্ষেপে যান মমতা। গত শনিবার কলকাতার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎ কারে তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মমতা বলেন, ‘আমরা ভিক্ষা চাই না। অনুগ্রহ চাই না। টাকা চাওয়া অসাংবিধানিক কিছু নয়। বাংলার জন্য এটা আমাদের ন্যায্য দাবি।’
মমতা বলেন, এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকার অন্য রাজ্যকে বিশেষ আর্থিক অনুদান দিয়েছে। প্যাকেজ দিয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা দিয়েছিলেন, এ রাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেবেন। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় সরকার অন্য কথা বলছে। মমতা এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরস্পরবিরোধী এসব বক্তব্যের কারণে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জোট-শরিক কংগ্রেসকে অনেকটা উপেক্ষা করে চলা শুরু করেন। এতে কংগ্রেসের ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর একের পর এক উন্নয়নের প্যাকেজ ঘোষণা করতে থাকেন। চাকরি ও শিল্পোন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিতে থাকেন। এমন ঘোষণাও দেন যে কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আলাদা প্যাকেজ ঘোষণা করবে। কেন্দ্রের আর্থিক সহযোগিতা পেতে মমতা দিল্লিতে ধরনাও দেন। কিন্তু গত শুক্রবার কলকাতায় দলীয় বিধায়কদের এক সভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেসের নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সাংবিধানিক গণ্ডির মধ্যে রাজ্যের জন্য যা করার কেন্দ্র তাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে কোনো রাজ্যকে আলাদা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, কোনো ‘তুঘলকি কায়দা’য় দাবি জানালেই এভাবে আলাদা প্যাকেজ দেওয়া যায় না।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের এ বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর ক্ষেপে যান মমতা। গত শনিবার কলকাতার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎ কারে তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মমতা বলেন, ‘আমরা ভিক্ষা চাই না। অনুগ্রহ চাই না। টাকা চাওয়া অসাংবিধানিক কিছু নয়। বাংলার জন্য এটা আমাদের ন্যায্য দাবি।’
মমতা বলেন, এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকার অন্য রাজ্যকে বিশেষ আর্থিক অনুদান দিয়েছে। প্যাকেজ দিয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা দিয়েছিলেন, এ রাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেবেন। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় সরকার অন্য কথা বলছে। মমতা এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরস্পরবিরোধী এসব বক্তব্যের কারণে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
No comments