পারল না বাংলাদেশের মেয়েরা
শেষ বাঁশি বাজতেই অনু লামা দৌড়ে গিয়ে উঠে পড়লেন মিরার কোলে। যমুনাকে কাঁধে তুলে নাচতে লাগলেন লক্ষ্মী। ডাগ আউটে বসে থাকা খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের উল্লাসও ছিল বাঁধনহারা। সাফ মহিলা ফুটবলের সেমিফাইনালে স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেওয়ার আনন্দ তো এমনই হবে। আগামীকাল ফাইনালে নেপালের প্রতিপক্ষ ভারত।
আগের দিন বাংলাদেশের মেয়েরা বলেছিল, ‘আমরা জয়ের জন্যই লড়ব।’ কিন্তু কথার সঙ্গে মাঠের পারফরম্যান্সে কোনো মিল ছিল না। খেলায় না ছিল কোনো পরিকল্পনার ছাপ, না ছিল আক্রমণে কোনো ধার। বাস্তবতা হলো নেপালের সঙ্গে পেরে উঠতে এখনো বছর দশেক সাধনা করতে হবে সাবিনা-অম্রাদের। গত এসএ গেমসে নেপালের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ, এবার হারের ব্যবধানটা আরও বাড়ল।
অনুমিতভাবেই কাল দুই দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন অনু লামা ও যমুনা গুরং। বাংলাদেশকে সারাক্ষণ তটস্থ থাকতে হয়েছে এই দুজনকে সামলাতে। উল্টো দিকে বাংলাদেশের স্ট্রাইকার সাবিনা নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন সারা ম্যাচ। খেলার মতো ফিটনেস না থাকলেও তাঁকে খেলানো হয়েছে। ডান পায়ে চোট নিয়ে খেলা সাবিনাকে উল্টো দলের বোঝা বলেই মনে হচ্ছিল একসময়। সামান্য চেষ্টা করেছেন অম্রা। ডান উইং দিয়ে তাঁকে সমর্থন দিতে দেখা গেছে তৃষ্ণাকে। কিন্তু সেটি নেপালকে সমস্যায় ফেলার মতো নয়।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে ডিফেন্ডারের ভুলে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। ডান প্রান্তে অনু লামার লব থেকে হেডে গোল করেন যমুনা (১-০)। ৭০ মিনিট পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল এই স্কোরলাইন। ৭১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল। ডি বক্সের ভেতরে অনু লামার শট প্রথম চেষ্টায় গোলকিপার সাবিনা আক্তারের হাত ফসকে বেরিয়ে গেলে ফিরতি শটে গোল করেন অনু (২-০)। পাঁচ মিনিট পর বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে ফেলেন যমুনা। গোলরক্ষক সাবিনা পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে রুখতে। সাবিনাকে ডজ দিয়ে নিশ্চিন্তে গোল করেন যমুনা। টুর্নামেন্টে এটি তাঁর দশম গোল।
ম্যাচ শেষে হোটেলে ফেরার টিম বাসে বসে থাকা বাংলাদেশের মেয়েদের চেহারায় রাজ্যের বিষণ্নতা। কিন্তু বাস্তবতা তো মেনে নিতেই হবে। কোচ গোলাম রব্বানী তা মেনেও নিচ্ছেন, ‘ওরা অনেক দিন ধরে খেলছে। অনেক অভিজ্ঞ দল। আমরা চেষ্টা করেছি লড়াই করতে, পারিনি। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’ আনফিট সাবিনাকে খেলানো হলো? কোচের উত্তর, ‘ওর বদলি হিসেবে খেলার মতো কেউ নেই আমাদের দলে।’ নেপালের কোচ ধ্রুব বাহাদুরের প্রতিক্রিয়ায় আনন্দের সঙ্গে ছিল স্বস্তিও, ‘এই ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মেয়েরা ভালো খেলেছে। বাংলাদেশ খারাপ খেলেছে বলব না। তবে টেকনিক্যালি-ট্যাকটিক্যালি আমরাই এগিয়ে।’ যমুনা অবশ্য জয়ের ব্যবধানে খুশি নন, ‘আশা করেছিলাম আরও বড় ব্যবধানে জিতব। তবে ফাইনালে উঠেছি, এতেই খুশি।’ স্ট্রাইকার সাবিনা তাঁর জন্য বিস্মরণযোগ্য ম্যাচটির পর টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি হিসেবে পেলেন আমরা নেটওয়ার্কসের দেওয়া ল্যাপটপ। বললেন, ‘এই পুরস্কার আরও ভালো খেলতে উৎসাহ জোগাবে।’
বড় উৎসাহ নিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ফিরলেন বিষণ্ন মনে। তাঁর সঙ্গে বিষণ্ন মনে ফিরল গ্যালারি উপচে পড়া হাজার ছয়েক দর্শক।
বাংলাদেশ দল: সাবিনা আক্তার, তৃষ্ণা, ফারহানা, খালেদা, সুরভি, সুইনু, রুপালি (তাহমিনা), মাইনু, সাবিনা খাতুন, অম্রা চিং, জাহানারা (নুবাই)।
আগের দিন বাংলাদেশের মেয়েরা বলেছিল, ‘আমরা জয়ের জন্যই লড়ব।’ কিন্তু কথার সঙ্গে মাঠের পারফরম্যান্সে কোনো মিল ছিল না। খেলায় না ছিল কোনো পরিকল্পনার ছাপ, না ছিল আক্রমণে কোনো ধার। বাস্তবতা হলো নেপালের সঙ্গে পেরে উঠতে এখনো বছর দশেক সাধনা করতে হবে সাবিনা-অম্রাদের। গত এসএ গেমসে নেপালের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ, এবার হারের ব্যবধানটা আরও বাড়ল।
অনুমিতভাবেই কাল দুই দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন অনু লামা ও যমুনা গুরং। বাংলাদেশকে সারাক্ষণ তটস্থ থাকতে হয়েছে এই দুজনকে সামলাতে। উল্টো দিকে বাংলাদেশের স্ট্রাইকার সাবিনা নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন সারা ম্যাচ। খেলার মতো ফিটনেস না থাকলেও তাঁকে খেলানো হয়েছে। ডান পায়ে চোট নিয়ে খেলা সাবিনাকে উল্টো দলের বোঝা বলেই মনে হচ্ছিল একসময়। সামান্য চেষ্টা করেছেন অম্রা। ডান উইং দিয়ে তাঁকে সমর্থন দিতে দেখা গেছে তৃষ্ণাকে। কিন্তু সেটি নেপালকে সমস্যায় ফেলার মতো নয়।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে ডিফেন্ডারের ভুলে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। ডান প্রান্তে অনু লামার লব থেকে হেডে গোল করেন যমুনা (১-০)। ৭০ মিনিট পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল এই স্কোরলাইন। ৭১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল। ডি বক্সের ভেতরে অনু লামার শট প্রথম চেষ্টায় গোলকিপার সাবিনা আক্তারের হাত ফসকে বেরিয়ে গেলে ফিরতি শটে গোল করেন অনু (২-০)। পাঁচ মিনিট পর বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে ফেলেন যমুনা। গোলরক্ষক সাবিনা পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে রুখতে। সাবিনাকে ডজ দিয়ে নিশ্চিন্তে গোল করেন যমুনা। টুর্নামেন্টে এটি তাঁর দশম গোল।
ম্যাচ শেষে হোটেলে ফেরার টিম বাসে বসে থাকা বাংলাদেশের মেয়েদের চেহারায় রাজ্যের বিষণ্নতা। কিন্তু বাস্তবতা তো মেনে নিতেই হবে। কোচ গোলাম রব্বানী তা মেনেও নিচ্ছেন, ‘ওরা অনেক দিন ধরে খেলছে। অনেক অভিজ্ঞ দল। আমরা চেষ্টা করেছি লড়াই করতে, পারিনি। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’ আনফিট সাবিনাকে খেলানো হলো? কোচের উত্তর, ‘ওর বদলি হিসেবে খেলার মতো কেউ নেই আমাদের দলে।’ নেপালের কোচ ধ্রুব বাহাদুরের প্রতিক্রিয়ায় আনন্দের সঙ্গে ছিল স্বস্তিও, ‘এই ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মেয়েরা ভালো খেলেছে। বাংলাদেশ খারাপ খেলেছে বলব না। তবে টেকনিক্যালি-ট্যাকটিক্যালি আমরাই এগিয়ে।’ যমুনা অবশ্য জয়ের ব্যবধানে খুশি নন, ‘আশা করেছিলাম আরও বড় ব্যবধানে জিতব। তবে ফাইনালে উঠেছি, এতেই খুশি।’ স্ট্রাইকার সাবিনা তাঁর জন্য বিস্মরণযোগ্য ম্যাচটির পর টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি হিসেবে পেলেন আমরা নেটওয়ার্কসের দেওয়া ল্যাপটপ। বললেন, ‘এই পুরস্কার আরও ভালো খেলতে উৎসাহ জোগাবে।’
বড় উৎসাহ নিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ফিরলেন বিষণ্ন মনে। তাঁর সঙ্গে বিষণ্ন মনে ফিরল গ্যালারি উপচে পড়া হাজার ছয়েক দর্শক।
বাংলাদেশ দল: সাবিনা আক্তার, তৃষ্ণা, ফারহানা, খালেদা, সুরভি, সুইনু, রুপালি (তাহমিনা), মাইনু, সাবিনা খাতুন, অম্রা চিং, জাহানারা (নুবাই)।
No comments