দরপতনের ধাক্কা সামলে উঠেছে শেয়ারবাজার
সর্বকালের সর্বোচ্চ দরপতনের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠেছে দেশের শেয়ারবাজার। আগের দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবারও দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর এর প্রভাবে মূল্যসূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক ২০৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে আট হাজার ১৬৮ পয়েন্টে এসে ঠেকেছে। আগের দিন বেড়েছিল ৩০৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ, গত দুই দিনে ডিএসইতে ৫১৪ পয়েন্ট সূচক পুনরুদ্ধার হয়েছে। গত রোববার এক দিনেই মূল্যসূচক ৫৫১ পয়েন্ট কমে সাত হাজার ৬৫৪ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূলসূচক ৮১০ পয়েন্ট বেড়ে ২৩ হাজার ৬৩২ পয়েন্ট হয়েছে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই গতকাল লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৮৩ কোটি টাকার, যা আগের দিনের চেয়ে ২২৪ কোটি টাকা বেশি। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০৪ কোটি টাকার। এই স্টক এক্সচেঞ্জটিতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ৪৫ কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, দরপতনের পরপরই নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্বরিত কিছু পদক্ষেপে বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পেয়েছেন। মূলত এ কারণেই বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে।
বিশ্লেষকেরা বলেন, পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারের দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ ধারণা জন্ম হয়েছে যে, বর্তমান সরকারের আমলে বাজারকে খুব একটা সংশোধন হতে দেওয়া হবে না। ’৯৬ সালের অভিজ্ঞতার কারণেই সরকার কৃত্রিমভাবে হলেও বাজারকে একটি পর্যায়ে স্থিতিশীল রাখতে চাইবে। তাই শেয়ারবাজারে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দরপতন হলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসতে খুব একটা সময় লাগেনি।
তবে বিশ্লেষকদের অনেকেই বিনিয়োগকারীদের এ ধরনের ভাবনাকে বাজারের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। তাঁদের মতে, বার বার কৃত্রিমভাবে বাজার ধরে রাখার চেষ্টা করা হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি ভুল বিশ্বাসের জন্ম নেবে। তাঁরা ভাবতে শুরু করবেন, শেয়ারবাজারে লোকসান বলে কিছু নেই। তখন একটু দরপতনেই তাঁরা রাস্তায় নেমে ভাঙচুর-অবরোধের মাধ্যমে সরকারকে বাজার ওঠাতে বাধ্য করবেন। আর এ ঘটনা শেয়ারবাজারকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়ানোর সব প্রচেষ্টার অন্তরায় হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উচিত, নজরদারি বাড়িয়ে বাজারকে স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেওয়া। বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই সূচক বাড়তে থাকে। মাঝখানে ঘণ্টা দেড়েক সময় কিছুটা নিম্নমুখী হলেও আবার তা বেড়ে যায়। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭২টির, কমেছে ৬৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল তিনটির। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮৭টি কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে ১৩৭টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল চারটি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসইতে গতকালও লেনদেনের শীর্ষে ছিল গ্রামীণফোন। দীর্ঘদিন পর নিয়মিত বাজারে লেনদেন শুরু হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল এ কোম্পানিটির দিকে। এ ছাড়া বিদুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের প্রতিও বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক লক্ষ্য করা গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক ২০৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে আট হাজার ১৬৮ পয়েন্টে এসে ঠেকেছে। আগের দিন বেড়েছিল ৩০৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ, গত দুই দিনে ডিএসইতে ৫১৪ পয়েন্ট সূচক পুনরুদ্ধার হয়েছে। গত রোববার এক দিনেই মূল্যসূচক ৫৫১ পয়েন্ট কমে সাত হাজার ৬৫৪ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূলসূচক ৮১০ পয়েন্ট বেড়ে ২৩ হাজার ৬৩২ পয়েন্ট হয়েছে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই গতকাল লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৮৩ কোটি টাকার, যা আগের দিনের চেয়ে ২২৪ কোটি টাকা বেশি। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০৪ কোটি টাকার। এই স্টক এক্সচেঞ্জটিতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ৪৫ কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, দরপতনের পরপরই নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্বরিত কিছু পদক্ষেপে বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পেয়েছেন। মূলত এ কারণেই বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে।
বিশ্লেষকেরা বলেন, পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারের দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ ধারণা জন্ম হয়েছে যে, বর্তমান সরকারের আমলে বাজারকে খুব একটা সংশোধন হতে দেওয়া হবে না। ’৯৬ সালের অভিজ্ঞতার কারণেই সরকার কৃত্রিমভাবে হলেও বাজারকে একটি পর্যায়ে স্থিতিশীল রাখতে চাইবে। তাই শেয়ারবাজারে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দরপতন হলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসতে খুব একটা সময় লাগেনি।
তবে বিশ্লেষকদের অনেকেই বিনিয়োগকারীদের এ ধরনের ভাবনাকে বাজারের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। তাঁদের মতে, বার বার কৃত্রিমভাবে বাজার ধরে রাখার চেষ্টা করা হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি ভুল বিশ্বাসের জন্ম নেবে। তাঁরা ভাবতে শুরু করবেন, শেয়ারবাজারে লোকসান বলে কিছু নেই। তখন একটু দরপতনেই তাঁরা রাস্তায় নেমে ভাঙচুর-অবরোধের মাধ্যমে সরকারকে বাজার ওঠাতে বাধ্য করবেন। আর এ ঘটনা শেয়ারবাজারকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়ানোর সব প্রচেষ্টার অন্তরায় হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উচিত, নজরদারি বাড়িয়ে বাজারকে স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেওয়া। বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই সূচক বাড়তে থাকে। মাঝখানে ঘণ্টা দেড়েক সময় কিছুটা নিম্নমুখী হলেও আবার তা বেড়ে যায়। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭২টির, কমেছে ৬৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল তিনটির। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮৭টি কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে ১৩৭টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল চারটি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসইতে গতকালও লেনদেনের শীর্ষে ছিল গ্রামীণফোন। দীর্ঘদিন পর নিয়মিত বাজারে লেনদেন শুরু হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল এ কোম্পানিটির দিকে। এ ছাড়া বিদুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের প্রতিও বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক লক্ষ্য করা গেছে।
No comments