কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমাতে উত্তর কোরিয়া ‘সঠিক পথে’ রয়েছে
কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমাতে উত্তর কোরিয়া ‘সঠিক পথে’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন দূত নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বিল রিচার্ডসন। তবে তিনি বলেন, ‘শুধু কথায় নয়, চুক্তির মাধ্যমে’ পিয়ংইয়ংকে এটা প্রমাণ করতে হবে। দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা কমাতে আলোচনার দায়িত্ব পাওয়া রিচার্ডসন উত্তর কোরিয়া যান। সেখান থেকে গতকাল মঙ্গলবার চীনের বেইজিং বিমানবন্দরে পৌঁছার পর তিনি এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোলাবর্ষণের মহড়ায় কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীন গতকাল বলেছে, ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি ‘এখনো জটিল’ অবস্থায় রয়েছে।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের রিচার্ডসন বলেন, ‘আমার ধারণা, উত্তর কোরিয়া তার অতীতের নেতিবাচক অবস্থান বুঝতে পেরেছে। অতীতে আলোচনায় যেতে অনীহা ও বিভিন্ন ধরনের ভুল পদক্ষেপের বিষয়টি পিয়ংইয়ং অনুধাবন করেছে। তাই তারা এখন সঠিক পথে এগোতে চাইছে।’
রিচার্ডসন জানান, উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকদের সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে। পিয়ংইয়ং উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে না—এটি নিশ্চিত করতেই আইএইএর পরিদর্শকদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে আইএইএর পরিদর্শক দলকে পিয়ংইয়ং থেকে বহিষ্কার করে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব অভিযোগ, পিয়ংইয়ং পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সময় উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় জাতির আলোচনাও ভেস্তে যায়। এর এক মাস পরই দ্বিতীয়বারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।ইয়নপিয়ং দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার গত সোমবারের গোলাবর্ষণের মহড়ার কথা উল্লেখ করে রিচার্ডসন বলেন, এর পাল্টা জবাব না দিয়ে উত্তর কোরিয়া বাস্তবসম্মত অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আলোচনার যে প্রস্তাব দিয়েছি, পিয়ংইয়ং তা মেনে নিয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের শান্ত থাকার সময়।’ রিচার্ডসন আরও বলেন, কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা কমাতে এই প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ইতিবাচক মনোভাব পাওয়া গেল। তবে এই মনোভাব ধরে রাখতে হবে।এদিকে চীন কোরীয় উপদ্বীপে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং ইউ বলেন, ‘ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনো জটিল ও স্পর্শকতার। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।’ কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমাতে যত দ্রুত সম্ভব ছয় জাতি আলোচনা শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তবে জিয়াং ইউ বলেন, শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অধিকার পিয়ংইয়ংয়ের রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোলাবর্ষণের মহড়ায় কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীন গতকাল বলেছে, ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি ‘এখনো জটিল’ অবস্থায় রয়েছে।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের রিচার্ডসন বলেন, ‘আমার ধারণা, উত্তর কোরিয়া তার অতীতের নেতিবাচক অবস্থান বুঝতে পেরেছে। অতীতে আলোচনায় যেতে অনীহা ও বিভিন্ন ধরনের ভুল পদক্ষেপের বিষয়টি পিয়ংইয়ং অনুধাবন করেছে। তাই তারা এখন সঠিক পথে এগোতে চাইছে।’
রিচার্ডসন জানান, উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকদের সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে। পিয়ংইয়ং উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে না—এটি নিশ্চিত করতেই আইএইএর পরিদর্শকদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে আইএইএর পরিদর্শক দলকে পিয়ংইয়ং থেকে বহিষ্কার করে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব অভিযোগ, পিয়ংইয়ং পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সময় উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় জাতির আলোচনাও ভেস্তে যায়। এর এক মাস পরই দ্বিতীয়বারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।ইয়নপিয়ং দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার গত সোমবারের গোলাবর্ষণের মহড়ার কথা উল্লেখ করে রিচার্ডসন বলেন, এর পাল্টা জবাব না দিয়ে উত্তর কোরিয়া বাস্তবসম্মত অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আলোচনার যে প্রস্তাব দিয়েছি, পিয়ংইয়ং তা মেনে নিয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের শান্ত থাকার সময়।’ রিচার্ডসন আরও বলেন, কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা কমাতে এই প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ইতিবাচক মনোভাব পাওয়া গেল। তবে এই মনোভাব ধরে রাখতে হবে।এদিকে চীন কোরীয় উপদ্বীপে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং ইউ বলেন, ‘ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনো জটিল ও স্পর্শকতার। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।’ কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমাতে যত দ্রুত সম্ভব ছয় জাতি আলোচনা শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তবে জিয়াং ইউ বলেন, শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অধিকার পিয়ংইয়ংয়ের রয়েছে।
No comments