সৌদি নাগরিকের দিকে সন্দেহের তীর
যুক্তরাষ্ট্রগামী পণ্যবাহী বিমান থেকে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধারের ঘটনায় প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সৌদি আরবের এক নাগরিককে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁর নাম ইব্রাহিম হাসান আল-আসিরি। ইয়েমেনে পলাতক ২৮ বছরের এই যুবক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার বোমা প্রস্তুতকারী বলে কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, আল-আসিরির অতীত কর্মকাণ্ড ও বিস্ফোরক সম্পর্কে তাঁর দক্ষতাই ইঙ্গিত দেয়, এ ঘটনার সঙ্গে তিনিই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে জড়িত। তিনি বলেন, আরব উপদ্বীপভিত্তিক আল-কায়েদার (একিউএপি) বড় বড় হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে আল-আসিরি জড়িত। অতীতে একিউএপির অনেক হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যার চেষ্টা এবং গত বছর বড়দিনে ব্যর্থ বোমা হামলার পরিকল্পনা।
ইয়েমেন থেকে পণ্যবাহী বিমানে করে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট পাঠানো হচ্ছিল। হোয়াইট হাউস সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সব বিমানবন্দরে সতর্কাবস্থা জারির নির্দেশ দেয়। হামলার আশঙ্কায় ব্রিটেন ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। পরে ব্রিটেনের ইস্ট মিডল্যান্ডস বিমানবন্দর ও দুবাইয়ের বিমানবন্দর থেকে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী সেলের প্রধান জন ব্রেনান বলেছেন, গত বছর বড়দিনে ব্যর্থ বোমা হামলার পরিকল্পনা ও বিমান থেকে বিস্ফোরকের প্যাকেট উদ্ধারের মধ্যে সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা বিস্ফোরক ও বড়দিনে ডেট্রয়েটগামী বিমানে হামলার উদ্দেশ্যে ব্যবহূত বিস্ফোরক একই ব্যক্তি তৈরি করেছেন। যে ব্যক্তিই তৈরি করুন না কেন, তিনি খুবই বিপজ্জনক এবং তাঁর এ বিষয়ে বিস্তর প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।
২০০৯ সালের আগস্ট মাসে আল-আসিরি তাঁর ছোট ভাইকে এক আত্মঘাতী মিশনে পাঠান। ২৩ বছরের ওই যুবক ১০০ গ্রাম পিইটিএন বিস্ফোরক নিয়ে সৌদি গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে হত্যা করতে গিয়েছিলেন। ওই হামলায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা আহত হলেও বেঁচে যান।
ইয়েমেন সরকার বিমানবন্দরে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কড়া সতর্কতা অবলম্বনের ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সাবা জানায়, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া ইয়েমেনের সব বিমানবন্দরে সাধারণ নিরাপত্তা জোরদার করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমান থেকে বিস্ফোরকের প্যাকেট উদ্ধারের ঘটনায় ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার গুজব উড়িয়ে দিয়েছে ব্রিটেন। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যার ডেভিড রিচার্ড বলেছেন, আরেকটি আফগানিস্তান হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই ইয়েমেনের। ইয়েমেন সন্ত্রাসবাদের ঘোরতর বিরোধী। ইয়েমেনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ব্রিটেনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, আল-আসিরির অতীত কর্মকাণ্ড ও বিস্ফোরক সম্পর্কে তাঁর দক্ষতাই ইঙ্গিত দেয়, এ ঘটনার সঙ্গে তিনিই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে জড়িত। তিনি বলেন, আরব উপদ্বীপভিত্তিক আল-কায়েদার (একিউএপি) বড় বড় হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে আল-আসিরি জড়িত। অতীতে একিউএপির অনেক হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যার চেষ্টা এবং গত বছর বড়দিনে ব্যর্থ বোমা হামলার পরিকল্পনা।
ইয়েমেন থেকে পণ্যবাহী বিমানে করে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট পাঠানো হচ্ছিল। হোয়াইট হাউস সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সব বিমানবন্দরে সতর্কাবস্থা জারির নির্দেশ দেয়। হামলার আশঙ্কায় ব্রিটেন ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। পরে ব্রিটেনের ইস্ট মিডল্যান্ডস বিমানবন্দর ও দুবাইয়ের বিমানবন্দর থেকে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী সেলের প্রধান জন ব্রেনান বলেছেন, গত বছর বড়দিনে ব্যর্থ বোমা হামলার পরিকল্পনা ও বিমান থেকে বিস্ফোরকের প্যাকেট উদ্ধারের মধ্যে সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা বিস্ফোরক ও বড়দিনে ডেট্রয়েটগামী বিমানে হামলার উদ্দেশ্যে ব্যবহূত বিস্ফোরক একই ব্যক্তি তৈরি করেছেন। যে ব্যক্তিই তৈরি করুন না কেন, তিনি খুবই বিপজ্জনক এবং তাঁর এ বিষয়ে বিস্তর প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।
২০০৯ সালের আগস্ট মাসে আল-আসিরি তাঁর ছোট ভাইকে এক আত্মঘাতী মিশনে পাঠান। ২৩ বছরের ওই যুবক ১০০ গ্রাম পিইটিএন বিস্ফোরক নিয়ে সৌদি গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে হত্যা করতে গিয়েছিলেন। ওই হামলায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা আহত হলেও বেঁচে যান।
ইয়েমেন সরকার বিমানবন্দরে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কড়া সতর্কতা অবলম্বনের ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সাবা জানায়, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া ইয়েমেনের সব বিমানবন্দরে সাধারণ নিরাপত্তা জোরদার করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমান থেকে বিস্ফোরকের প্যাকেট উদ্ধারের ঘটনায় ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার গুজব উড়িয়ে দিয়েছে ব্রিটেন। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যার ডেভিড রিচার্ড বলেছেন, আরেকটি আফগানিস্তান হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই ইয়েমেনের। ইয়েমেন সন্ত্রাসবাদের ঘোরতর বিরোধী। ইয়েমেনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ব্রিটেনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
No comments