ইরাকে গির্জায় জিম্মি উদ্ধার অভিযান, সংঘর্ষে নিহত ৫২
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে একটি গির্জায় জিম্মি উদ্ধার অভিযানে ৫২ জন নিহত ও ৫৬ জন আহত হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় বাগদাদের কাররাদ এলাকার একটি গির্জায় এ ঘটনা ঘটে। আল-কায়েদার একটি গ্রুপ এ জিম্মি ঘটনার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, রোববার সন্ধ্যায় সাইদাত আল-নিজাত ক্যাথলিক গির্জায় বন্দুকধারীরা ঢুকে পড়ে সেখানে থাকা প্রার্থনাকারীদের জিম্মি করে। খবর পেয়ে ইরাকি ও মার্কিন সেনারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। গির্জার ওপর সামরিক হেলিকপ্টার চক্কর দিতে থাকে।
ইরাকের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল হুসেইন কামাল জানান, জিম্মি উদ্ধারে ইরাকি ও মার্কিন সেনারা গির্জাটিতে ঢোকার চেষ্টা করলে বন্দুকধারীরা বেপরোয়াভাবে গুলি চালায় ও গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। এক হামলাকারী প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে নিজের শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বন্দুকধারীদের সঙ্গে সেনাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। টানা চার ঘণ্টার এ উদ্ধার অভিযানে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন নিরাপত্তাকর্মী ও ছয়জন হামলাকারী, দুজন খ্রিষ্টান যাজক, পাঁচজন নারী ও সাতটি শিশু রয়েছে।
জিম্মিদশা থেকে পালিয়ে বাঁচা এক তরুণ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীর পোশাক পরে জঙ্গিরা গির্জার প্রার্থনাকক্ষে ঢুকে পড়ে। সেখানে ঢুকেই তারা গির্জায় প্রধান যাজককে গুলি করে হত্যা করে। এরপর প্রার্থনাকারীদের ওপর গুলি চালায় এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। নিরাপত্তাকর্মীরা এলাকা ঘিরে ফেললে তারা প্রার্থনাকারীদের জিম্মি করে ফেলে। তিনি জানান, এ সময় গির্জার ভেতরে শতাধিক প্রার্থনাকারী ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণ জানান, গুলি ও বোমায় জানালা-দরজা ভেঙে এবং দেয়ালের আস্তরণ ধসে ভেতরে থাকা বহু লোক আহত হয়।
স্থানীয় টেলিভিশন আল বাগদাদিয়া বলেছে, বন্দুকধারীরা প্রার্থনাকারীদের জিম্মি করার পরপরই তাদের কাছে একটি ফোন আসে। যে ব্যক্তি ফোন করেন তিনি নিজেকে হামলাকারীদের একজন হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, তাঁরা সবাই আল-কায়েদার শাখা সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাকের সদস্য। ওই ব্যক্তি জানান, ইরাকে আটক আল-কায়েদা সদস্যদের মুক্তি না দিলে জিম্মিদের হত্যা করা হবে। একই সঙ্গে তারা মিসরের একটি গির্জায় বন্দী থাকা মুসলিম নারীদেরও মুক্তির দাবি করে। আল বাগদাদিয়া টেলিভিশন ছাড়াও হামলাকারীরা বাইরে ঘিরে থাকা সেনাবাহিনীর সঙ্গেও মুঠোফোনে যোগাযোগ করে একই দাবি জানায়। তবে উদ্ধারকর্মীরা জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো আপসরফায় না গিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালায়।
ইরাকের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদুল কাদির-আল-ওবাইদী বলেন, তাঁরা ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়ায় দ্রুত অভিযান শেষ করা গেছে। তিনি জানান, সন্ত্রাসীরা ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। হামলাকারীদের কয়েকজনকে হত্যা এবং বাকিদের বন্দী করা হয়েছে। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, হামলাকারীরা ইরাকি নয়, তারা পার্শ্ববর্তী অন্য আরব দেশ থেকে আসা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে ইরাকে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন গির্জায় জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। ২০০৪ সালে আওয়ার লেডি অব স্যালভেশন নামের একটি গির্জা জঙ্গি হামলার মুখে পড়েছিল।
ইরাকে প্রায় পাঁচ লাখ আরব খ্রিষ্টানের বাস। তবে ২০০৩ সালে ইরাকে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই এসব খ্রিষ্টান সাম্প্রদায়িক হামলার ভয়ে ইরাক ছাড়তে শুরু করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, রোববার সন্ধ্যায় সাইদাত আল-নিজাত ক্যাথলিক গির্জায় বন্দুকধারীরা ঢুকে পড়ে সেখানে থাকা প্রার্থনাকারীদের জিম্মি করে। খবর পেয়ে ইরাকি ও মার্কিন সেনারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। গির্জার ওপর সামরিক হেলিকপ্টার চক্কর দিতে থাকে।
ইরাকের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল হুসেইন কামাল জানান, জিম্মি উদ্ধারে ইরাকি ও মার্কিন সেনারা গির্জাটিতে ঢোকার চেষ্টা করলে বন্দুকধারীরা বেপরোয়াভাবে গুলি চালায় ও গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। এক হামলাকারী প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে নিজের শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বন্দুকধারীদের সঙ্গে সেনাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। টানা চার ঘণ্টার এ উদ্ধার অভিযানে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন নিরাপত্তাকর্মী ও ছয়জন হামলাকারী, দুজন খ্রিষ্টান যাজক, পাঁচজন নারী ও সাতটি শিশু রয়েছে।
জিম্মিদশা থেকে পালিয়ে বাঁচা এক তরুণ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীর পোশাক পরে জঙ্গিরা গির্জার প্রার্থনাকক্ষে ঢুকে পড়ে। সেখানে ঢুকেই তারা গির্জায় প্রধান যাজককে গুলি করে হত্যা করে। এরপর প্রার্থনাকারীদের ওপর গুলি চালায় এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। নিরাপত্তাকর্মীরা এলাকা ঘিরে ফেললে তারা প্রার্থনাকারীদের জিম্মি করে ফেলে। তিনি জানান, এ সময় গির্জার ভেতরে শতাধিক প্রার্থনাকারী ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণ জানান, গুলি ও বোমায় জানালা-দরজা ভেঙে এবং দেয়ালের আস্তরণ ধসে ভেতরে থাকা বহু লোক আহত হয়।
স্থানীয় টেলিভিশন আল বাগদাদিয়া বলেছে, বন্দুকধারীরা প্রার্থনাকারীদের জিম্মি করার পরপরই তাদের কাছে একটি ফোন আসে। যে ব্যক্তি ফোন করেন তিনি নিজেকে হামলাকারীদের একজন হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, তাঁরা সবাই আল-কায়েদার শাখা সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাকের সদস্য। ওই ব্যক্তি জানান, ইরাকে আটক আল-কায়েদা সদস্যদের মুক্তি না দিলে জিম্মিদের হত্যা করা হবে। একই সঙ্গে তারা মিসরের একটি গির্জায় বন্দী থাকা মুসলিম নারীদেরও মুক্তির দাবি করে। আল বাগদাদিয়া টেলিভিশন ছাড়াও হামলাকারীরা বাইরে ঘিরে থাকা সেনাবাহিনীর সঙ্গেও মুঠোফোনে যোগাযোগ করে একই দাবি জানায়। তবে উদ্ধারকর্মীরা জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো আপসরফায় না গিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালায়।
ইরাকের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদুল কাদির-আল-ওবাইদী বলেন, তাঁরা ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়ায় দ্রুত অভিযান শেষ করা গেছে। তিনি জানান, সন্ত্রাসীরা ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। হামলাকারীদের কয়েকজনকে হত্যা এবং বাকিদের বন্দী করা হয়েছে। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, হামলাকারীরা ইরাকি নয়, তারা পার্শ্ববর্তী অন্য আরব দেশ থেকে আসা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে ইরাকে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন গির্জায় জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। ২০০৪ সালে আওয়ার লেডি অব স্যালভেশন নামের একটি গির্জা জঙ্গি হামলার মুখে পড়েছিল।
ইরাকে প্রায় পাঁচ লাখ আরব খ্রিষ্টানের বাস। তবে ২০০৩ সালে ইরাকে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই এসব খ্রিষ্টান সাম্প্রদায়িক হামলার ভয়ে ইরাক ছাড়তে শুরু করে।
No comments