খবর- ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের মহাসড়কঃ২১৪ কোটি টাকা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২৩৮২ কোটি টাকা, প্রকল্প শেষ হবে ২০১৩ সালে

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার উড়াল ও পাতাল পথ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বললেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে।

গত এক বছরে এ প্রকল্পের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি সংশোধন করায় ব্যয় বেড়েছে ২১৪ কোটি টাকা। বেড়েছে প্রকল্প শেষ করার মেয়াদও। সংশোধিত প্রকল্প অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের আগে এ কাজ শেষ হবে না।
সর্বশেষ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দুই হাজার ৩৮২ কোটি ১৭ লাখ টাকার এ প্রকল্প সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। মূল প্রকল্পে ২০১২ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সংশোধন করে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। অথচ বর্তমান সরকারের মেয়াদ রয়েছে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত। ফলে এ সরকারের আমলেও প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
অবশ্য পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার বলেছেন, 'নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা (সরকার) গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কাজ শেষ করব।' কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী জনগুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয়কে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।' বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান আরো এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, 'আগামী দুই বছরের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ সম্পন্ন করা হবে। এরপর এ মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে।' গত ৩ জানুয়ারি ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
২০০৫ সালে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে এক হাজার ৬৯৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) দুই থেকে চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প একনেকে নীতিগত অনুমোদন পায়। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরুর পর ১২ জুলাই নির্মাণকাজের জন্য ১০টি প্যাকেজে প্রথম দরপত্র ডাকা হয়। কিন্তু মামলার কারণে ২০০৭ সালের এপ্রিলে তা বাতিল হয়ে যায়।
এরপর ২০০৮ সালের ৩০ জানুয়ারি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় একনেকে দুই হাজার ১৬৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় ২০১২ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে বলা হয়। ২০০৮ সালের ১০ মার্চ দ্বিতীয় দফা দরপত্র ডাকে সরকার। কিন্তু একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করে আবার দরপত্র ডাকতে বলে।
এরপর গত দুই বছরে নানা জটিলতায় পরামর্শক নিয়োগ ছাড়া প্রকল্পটির অগ্রগতি হয়েছে সামান্যই। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয়ের মাত্র ১ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সংশোধিত ব্যয়ের মাত্র ১ দশমিক ২৮ শতাংশ ব্যয় হয়েছে।
প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমানে দুই লেনবিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যানবাহন চলছে। এ মহাসড়কে এখন প্রতিদিন চলাচল করছে ৪০ হাজারের বেশি যানবাহন। এ কারণে মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এতে প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানোর কারণ হিসেবে পানি নিষ্কাশনের জন্য বিদ্যমান সড়কে 'প্রোফাইল কারেকশন' অন্তর্ভুক্তি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেট শিডিউল পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করা হয়।
==============================
আলোচনা- 'বাংলাদেশে মিডিয়া ও তার ভবিষ্যৎ' by সাইফুল বারী  প্রবন্ধ- রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেনের 'অবরোধবাসিনী'  ফিচার- ‘হিমশীতল শহরগুলোর দিনরাত' by তামান্না মিনহাজ  গল্পালোচনা- ''সে কহে বিস্তর মিছা যে কহে বিস্তর'  সাক্ষাৎকার- হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইমদাদুল হক মিলন  ইতিহাস- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের ফসিল 'স্যু' এর কাহিনী  খাদ্য আলোচনা- 'অপুষ্টির প্রধান কারণ দারিদ্র্য ও অজ্ঞতা by শেখ সাবিহা আলম  গল্পালোচনা- 'ডান রাস্তার বামপন্থী' by কাওসার আহমেদ  খবর- 'মারা যাবে না একটি শিশুও' -বিলগেটসপত্নী, মেলিন্ডা গেটস  আলোচনা- 'সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের অঙ্গীকারঃ  নিবন্ধ- সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড-একটি দেশ একটি কবিতার জন্ম by আলীম আজিজ  আলোচনা- 'আরও একটি সর্বনাশা দেশ চুক্তির বোঝা' by আনু মাহমুদ  গল্পালোচনা- হতাশার বিষচক্র থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে


কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যে

এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.