চেচেন পার্লামেন্টে জঙ্গি হামলা নিরাপত্তারক্ষীসহ নিহত ৮
রাশিয়ার চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের পার্লামেন্টে গতকাল মঙ্গলবার জঙ্গিদের হামলায় নিরাপত্তারক্ষীসহ চারজন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি ও আত্মঘাতী বোমায় হামলাকারী চার জঙ্গিও নিহত হয়।
রাজধানী গ্রোজনিতে পার্লামেন্ট ভবনে গতকাল খুব সকালের দিকে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে স্পিকারসহ অনেককে জিম্মি করে ফেলে। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের মুক্ত করে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় জঙ্গিদের চারজনের সবাই এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিন নিরাপত্তারক্ষী ও পার্লামেন্টের এক কর্মকর্তা নিহত হন।
পার্লামেন্টের মুখপাত্র জেলিম ইয়াখিখানভ বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে গোলাগুলির শব্দ শুনে আমরা বুঝে গিয়েছিলাম যে তারা (জঙ্গিরা) আমাদের জিম্মি করতে চাইছে। আমরা পার্লামেন্টের তৃতীয় তলায় আশ্রয় নিই। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম।’
চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে জানান, প্রায় ২০ মিনিটের অভিযানে জিম্মিদের উদ্ধার করে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বলেন, জিম্মিদের সবাইকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে নিরাপদে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, স্পিকার দুকুভাখা আবদুরাখমানভকে সশস্ত্র নিরাপত্তা গাড়িতে করে পার্লামেন্টের বাইরে নিয়ে আসা হয়। তিনি অক্ষত আছেন। বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, ঘটনার সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয় দুই জঙ্গি এবং অন্যরা নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা যায়।
রাশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রশিদ নুরগালিয়েভ গতকাল চেচনিয়া সফরে ছিলেন। জিম্মিদের উদ্ধারের ঘটনাকে সাফল্য হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, চেচনিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুবই দক্ষতার সঙ্গে এই উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করেছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে নর্দার্ন ককেসাস অঞ্চলে একের পর এক বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে রাশিয়াকে। চেচনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ করেছে রুশ বাহিনী। এরপর ১৯৯৯ সালে আবারও যুদ্ধ শুরু হয় চেচনিয়ায়। বিদ্রোহীরা সেখানে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এরপর এক দশক সেখানে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান চালায় রাশিয়া। গত বছরের এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এ অভিযান শেষ করে।
কাদিরভের নেতৃত্বে বিগত সময়ে চেচনিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়। অবশ্য এর মধ্যেও সেখানে প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ফ্রান্স ও জার্মান নেতার সঙ্গে মেদভেদেভের আলোচনা
ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। ফরাসি ও জার্মান নেতার সঙ্গে এই আলোচনার সময় চেচনিয়ায় হামলার খবর জানতে পারেন মেদভেদেভ। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। পরে একটি সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।
রাজধানী গ্রোজনিতে পার্লামেন্ট ভবনে গতকাল খুব সকালের দিকে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে স্পিকারসহ অনেককে জিম্মি করে ফেলে। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের মুক্ত করে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় জঙ্গিদের চারজনের সবাই এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিন নিরাপত্তারক্ষী ও পার্লামেন্টের এক কর্মকর্তা নিহত হন।
পার্লামেন্টের মুখপাত্র জেলিম ইয়াখিখানভ বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে গোলাগুলির শব্দ শুনে আমরা বুঝে গিয়েছিলাম যে তারা (জঙ্গিরা) আমাদের জিম্মি করতে চাইছে। আমরা পার্লামেন্টের তৃতীয় তলায় আশ্রয় নিই। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম।’
চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে জানান, প্রায় ২০ মিনিটের অভিযানে জিম্মিদের উদ্ধার করে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বলেন, জিম্মিদের সবাইকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে নিরাপদে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, স্পিকার দুকুভাখা আবদুরাখমানভকে সশস্ত্র নিরাপত্তা গাড়িতে করে পার্লামেন্টের বাইরে নিয়ে আসা হয়। তিনি অক্ষত আছেন। বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, ঘটনার সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয় দুই জঙ্গি এবং অন্যরা নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা যায়।
রাশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রশিদ নুরগালিয়েভ গতকাল চেচনিয়া সফরে ছিলেন। জিম্মিদের উদ্ধারের ঘটনাকে সাফল্য হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, চেচনিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুবই দক্ষতার সঙ্গে এই উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করেছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে নর্দার্ন ককেসাস অঞ্চলে একের পর এক বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে রাশিয়াকে। চেচনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ করেছে রুশ বাহিনী। এরপর ১৯৯৯ সালে আবারও যুদ্ধ শুরু হয় চেচনিয়ায়। বিদ্রোহীরা সেখানে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এরপর এক দশক সেখানে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান চালায় রাশিয়া। গত বছরের এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এ অভিযান শেষ করে।
কাদিরভের নেতৃত্বে বিগত সময়ে চেচনিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়। অবশ্য এর মধ্যেও সেখানে প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ফ্রান্স ও জার্মান নেতার সঙ্গে মেদভেদেভের আলোচনা
ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। ফরাসি ও জার্মান নেতার সঙ্গে এই আলোচনার সময় চেচনিয়ায় হামলার খবর জানতে পারেন মেদভেদেভ। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। পরে একটি সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।
No comments