গল্প- 'মাটির গন্ধ' by জুবায়ের হুসাইন
অবশেষে মুনিয়া ও মুরাদেরই জয় হলো। বাবা ও মা রাজি হয়েছেন আজকের ছুটির দিনে বেড়াতে যেতে। তবে কোন আত্মীয়’র বাড়ি না; ওরা বেড়াতে যাবে খোলা আকাশের নিচে।
অর্থাৎ প্রকৃতির সবুজ প্রান্তরে, যেখানে দিগন্ত জুড়ে কেবল সবুজ ফসলের মাঠ- মাঝ দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে মাটির রাস্তা, রাস্তার ধারে ছায়া দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাবলা গাছ, ক্ষেতের মাঝে মাঝে প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে আছে খেজুর ও তাল গাছগুলো। খই গাছও দু-একটা চোখে পড়বে।
ওদের সঙ্গে অবশ্যই ওদের দাদুভাই যাচ্ছেন।
সকাল থেকেই দু’ভাইবোনের মধ্যে তাড়া দেখা যাচ্ছে। তর যেন আর সইছে না। ইশ! সময় বুঝি আজ এক জায়গায় থমকে গেছে। দেয়াল ঘড়িটার ওপর ভীষণ রাগ হচ্ছে মুনিয়া ও মুরাদের। কখন বাজবে সকাল ৯টা?
নাস্তা সেরেই বেরিয়ে পড়লো ওরা। আব্বুর কাঁধে বেশ বড় সাইজের একটা ব্যাগ। পেটফোলা ব্যাগটা দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবে দলটা নিঃসন্দেহে কোনো একটা ট্যুরে বের হয়েছে। আর ওই ব্যাগটার মধ্যে আছে দরকারি সব জিনিসপত্র। তবে আব্বুর কাঁধে ঝোলানো ব্যাগটায় ছেলেমেয়েদের একসেট কাপড় আর ঘাসের ওপর পেতে বসার জন্য একপ্রস্ত কাপড় এবং দাদুভাইয়ের একটা পাঞ্জাবি ছাড়া আর কিছু নেই। আব্বুর অপর হাতে পানির পট। আম্মুর হাতে যে টিফিন ক্যারিয়ারটা শোভা পাচ্ছে তার মধ্যে মায়ের নিজের হাতে বানানো তালের পিঠা, পরোটা এবং ডিম ও আলু ভাজি রয়েছে।
অল্পক্ষণেই শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে এলো পাঁচজনের ছোট দলটা। মুনিয়া ও মুরাদ আনন্দে আটখানা হয়ে গেল। বাবা, মা ও দাদুকে ছেড়ে বেশ আগে চলে গেল ওরা। ওদেরকে দেখে মনে হচ্ছে আজ ওরা বিশাল জগতের সবচেয়ে সুখী মানুষ।
দাদু বৃদ্ধ মানুষ। ওদের মতো অত দ্রুত হাঁটতে পারেন না। তবুও যথাসম্ভব তাল রেখে হাঁটার চেষ্টা করছেন তিনি। নতুন করে যেন তারুণ্য ফিরে পেয়েছেন আজ। কিন্তু বয়স তো আর কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। তাই বারবার পিছিয়ে পড়ছেন। অগত্যা বাবা-মাকে থেমে থেমে তাকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হচ্ছে।
মাথার উপরে মেঘমুক্ত নীল আকাশ। কোথাও কোথাও সাদা পেজা তুলার মতো একেক খণ্ড মেঘ ভেসে চলে যাচ্ছে কোন্ প্রান্তে। সাথে বলাকারা গলার মালা তৈরি করে পাড়ি জমাচ্ছে অচিনপুরে। মাঝে মাঝে দু’ভাইবোন দাঁড়িয়ে মুখ তুলে দেখছে প্রকৃতির এই অপরূপ খেলা, আর আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠছে। মনের কোণে হয়তো ওই উড়ন্ত পাখিদের সঙ্গী হওয়ার বাসনা উঁকি দিয়ে যাচ্ছে। মুক্ত দু’টি পাখা ঝাপটে উড়ে চলেছে পাখিদের সাথে।
রাস্তার দু’পাশে সবুজ ধানের ক্ষেত। ছোপ ছোপ পানির মধ্যে নিজেদের অস্তিত্ব ঘোষণা করছে তারা। মৃদু বাতাসে ঝিরিঝিরি কাঁপছে কচি ধানগাছগুলোর শরীর। কেমন একটা ছন্দ যেন তাতে তৈরি হয়ে যাচ্ছে। বুঝি সবুজের আঁচল পেতে রেখেছে কেউ সমস্ত মাঠ জুড়ে।
থেকে থেকে ভেসে আসছে তালের শুকনো পাতায় বাতাসের ঝঙ্কার ধ্বনি। পাশাপাশি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি তালগাছে ঝুলে আছে বাবুই পাখির বাসা। এতদিন বইয়ে দেখেছে ওরা, আজ স্বচক্ষে দেখে তাই যেন বিশ্বাস করতে পারছে না, তাই কয়েক মিনিট সেদিকেই তাকিয়ে রইল।
মুনিয়া বলল, ‘কী ফাইন, তাই না ভাইয়া? একেবারে আমাদের বইয়ের ছবির মতো।’
মুরাদ বলল, ‘হ্যাঁ, ফাইন। তবে বইয়ের ছবির মতো না বলে বল গাছে ঝুলে থাকা ওই বাসার মতোই বইয়ের ছবি আঁকা।’
‘ভাইয়া, এই ভাইয়া দেখ, বাসা থেকে একটা পাখি বের হচ্ছে! … আরে! পাখিটা আবার এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে! কী সুন্দর লাগছে দেখতে!’ আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠল মুনিয়া।
এবার পূর্বের পাখিটার পাশে এসে জড়ো হলো আরো কয়েকটা বাবুই পাখি।
মুরাদ সুযোগ বুঝে কিছুটা জ্ঞান জাহির করতে ভুলল না। বলল, ‘এই যে বাতাসে বাবুই পাখির বাসা দুলছে অথচ ছিঁড়ে পড়ছে না, এর পেছনে আছে এক সূক্ষ্ম কারুকাজ। বাবুই পাখি অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের মতো করে তৈরি করে এই বাসা। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় কোনোটাতেই এই বাসার কোনো ক্ষতি হয় না।’
‘কেন ভাইয়া, বৃষ্টির সময় পানি ঢোকে না বাসার মধ্যে?’ মাঝখানে বলে উঠল মুনিয়া।
‘না,’ বলল মুরাদ। ‘এখানেই তো বাবুই পাখির কৃতিত্ব।’
‘এবার বুঝেছি ভাইয়া দাদুভাইয়ের বলা ওই কবিতাটার অর্থ।’
‘ও তুই কবি যোতিন্দ্রমোহন বাগচীর লেখা “স্বাধীনতার সুখ” নামক কবিতাটার কথা বলছিস?’
‘হ্যাঁ ভাইয়া। বাবুই পাখি কত সুন্দর করে তার বাসার তৈরি ও তাদের স্বাধীনতার কথা বলছে চড়–ই পাখিকে!’
‘এখন চল সামনে যাই।’ তাড়া লাগাল মুরাদ।
আবার চলা শুরু করল ওরা। পাশের ধানক্ষেতে চাষিরা কাজ করছেন। সেই সাথে ভেসে আসছে তাদের ভরাট কণ্ঠের গানের সুর। আগাছা পরিষ্কাররত চাষিরা গেয়ে চলেছেন বিভিন্ন মরমি সঙ্গীত। হঠাৎ হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে কান পেতে সেই গান শুনছে ছেলেমেয়ে দু’জন। এমন আনন্দ যেন এর আগে ওরা কখনও অনুভব করেনি। কচি দু’টি হৃদয় বারবার পুলকে নেচে উঠছে। আজ ওরা মুক্ত, স্বাধীন। যা ইচ্ছে তাই করার অধিকার লাভ করেছে আজ ওরা। শহরের ইট-পাথরের বন্দিশালা হতে মুক্ত হয়ে চলে এসেছে খোদ প্রকৃতির কোলে।
রাস্তার দু’ধারে জমেছে লাল কচাগাছ, আশ্শটি ও ভাটগাছ। জন্মেছে অনিয়মিতভাবে ভাটই গাছও। মুরাদের প্যান্ট ও মুনিয়ার স্কাটে ভাটইয়ের ফল আটকে সৃষ্টি করে চলেছে সুন্দর দৃশ্য। যেন কোনো চাষি-বউ ধীরে ধীরে বুনে চলেছে দৃষ্টিকাড়া নকশি-কাঁথা। তবে সেদিকে একটুও খেয়াল নেই ওদের। লাল কচাগাছ আর আশ্শটি ও ভাটগাছে উড়ে উড়ে বসছে ঝিঁ ঝিঁ পোকা। অকারণে তাদের পিছে ছুটে হয়রান হচ্ছে ওরা। ধরতে পারছে না একটাও। তবে এতেই প্রচুর আনন্দ পাচ্ছে ওরা। এক সময় এ খেলাও ওদের কাছে একঘেয়ে লেগে গেল। আবার শুরু করল হাঁটা।
ক্ষেতে কর্মরত চাষিরা থেকে থেকে মুখ তুলে তাকাচ্ছে ওদের দেখে ও চেচামেচি শুনে। ওদের মধ্যে কয়েকজন আবার আব্বুর পরিচিত। তাই দু-একটা কথাও বলছে তারা এবং আরও বেশি আনন্দ দিচ্ছে। আবার মনোযোগ দিচ্ছে নিজেদের কাজে।
ছুটে ছুটে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়লো ওরা- মুরাদ ও মুনিয়া। একটা বাবলা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে পড়লো। এই প্রথম যেন বাবা, মা ও দাদুর কথা মনে পড়লো। পেছন ফিরে তাকাল। এখনও বেশ দূরে রয়েছেন তারা।
‘চলো ভাইয়া, দাদুদের এগিয়ে আনি।’ বলল মুনিয়া।
মুরাদ বলল, ‘তুই গেলি যা। আমি যেতে পারবো না। আমার পা ব্যথা করছে।’ বলে ধপ করে ঘাসের ওপর বসে পড়লো।
‘আমারও পা ব্যথা করছে।’ বলে মুনিয়াও বসল ভাইয়ার পাশে। এবং যেন এই প্রথম চোখ গেল তার স্কাটের দিকে। চমকে উঠলো। অদ্ভুত এক জিনিসে ভরে গেছে পুরো স্কাট। জুতো জোড়াও কাদা-মাটিতে একাকার। সাদা মোজাতেও সেই অদ্ভুত জিনিসগুলো গেঁথে আছে। ভাইয়াকে বলতেই ভাইয়াও চমকে উঠল। তার প্যান্ট ও কেডসেরও একই অবস্থা! হাত দিয়ে বাছতে শুরু করলো ওরা অদ্ভুত জিনিসগুলো। একটু চেষ্টার পর হাঁফিয়ে উঠে ক্ষান্ত দিল। অপেক্ষা করতে লাগলো দাদুদের আসার।
মুনিয়া ভাইয়ার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে বলল, ‘ভাইয়া, ভীষণ তেষ্টা পেয়েছে!’
‘আমারও।’ সংক্ষেপে বলল মুরাদ।
‘এই ভাইয়া, আমার যে ক্ষুধাও পেয়েছে!’ আবার বলল মুনিয়া।
‘ক্ষুধা পেয়েছে বললেই তো আর হবে না। আব্বু-আম্মু এসে পৌঁছানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ বলে মাথার নিচে দু’হাত রেখে চিত হয়ে শুয়ে পড়ল মুরাদ।
মুনিয়া আর কী করবে, বারবার পেছনে তাকাতে লাগল। ওই তো এসে পড়েছে ওরা।
আব্বু-আম্মু ও দাদুভাই এসে পৌঁছালেন। তারাও বেশ ক্লান্ত।
আব্বু ব্যাগ খুললেন। বের করলেন পেতে বসার কাপড়টা। এবার তাতে বসল সবাই।
ওদের অবস্থা দেখে ধমকে উঠতে যাচ্ছিলেন মা, কিন্তু দাদু কথা বলাতে থেমে গেলেন তিনি। দাদু একগাল হেসে বললেন, ‘বাহ! চমৎকার ফাইন লাগছে তো তোমাদের দেখতে। তোমাদের দেখে আজ আমার নিজের ছেলেবেলার কথা মনে পড়ছে। ওহ! কী যে আনন্দের ছিল সেই দিনগুলো!’ দাদু যেন কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে গেলেন।
‘আম্মু পানি!’ বলল মুনিয়া।
হালকা নাস্তা, যা তারা সঙ্গে এনেছিল, সেরে নিল।
একটু বিশ্রাম। তারপর আবার চঞ্চল হয়ে উঠল মুরাদ ও মুনিয়া। বাবা-মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ধান ক্ষেতের আইলে নেমে পড়লো। সরু আইল ধরে হাঁটার অভ্যাস নেই ওদের। কাজেই বেশ কসরৎ করে আইলের ওপর টিকে থাকতে হচ্ছে। হঠাৎ মুনিয়া বলে উঠল, ‘ভাইয়া, দেখ দেখ, ব্যাঙ।’
ঘুরতে গেল মুরাদ। আর তাতে সরু আইলে তাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেল এক পাশে কাত হয়ে। কাদা-পানিতে একাকার হয়ে গেল ওর সমস্ত দেহ। তাই দেখে খুবই মজা পাচ্ছে মুনিয়া। আনন্দে হাততালি দিয়ে লাফালাফি করতে গিয়ে নিজেও পড়ে গেল ভাইয়ার পাশে।
দৌড়ে এলেন আব্বু। উদ্ধার করলেন ছেলেমেয়েকে। নিয়ে গেলেন মূল রাস্তায়।
মুরাদ ও মুনিয়া নাক সিটকে রেখেছে। খুবই ঘেন্না লাগছে। জামাকাপড়-জুতোমোজার অবস্থা তো একেবারে নাজেহাল। আর ওদেরকে দেখে তখন দুটো খুদে ভূতের ছানার মতো মনে হচ্ছে।
রেগে গেলেন মা। প্রচণ্ড এক ধমকানি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলেন। কিন্তু এবারও তার ধমক দেয়া হলো না দাদুর কথা বলায়।
দাদু বললেন, ‘আমাদের সৃষ্টি কিন্তু এই মাটি ও পানি থেকেই। তোমরা দু’জনই কেমন নাক সিটকে আছো, মুখ করে রেখেছো ভুতুম পেঁচার মতো। অথচ একটু ভেবে দেখ, যখন তোমরা তোমাদের শরীরের গন্ধ নাও, তখনও কিন্তু এই মাটির গন্ধই পাও। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। এই মাটিকে রক্ষা করার জন্য তোমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। গোলাপের ঘ্রাণ সুন্দর। তাই যতœ করে লাগানো আমার বাগানের গোলাপ গাছ থেকে কেউ গোলাপ ছিঁড়তে গেলে আমি বাধা দেব এটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে এই মাটি আমাদেরই সম্পদ। একে রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব। মনে রাখবে, দেশের মাটির প্রতিটি কণা তোমার-আমার কাছে আমানত। একে অবশ্যই আমাদের রক্ষা করতে হবে।’
মুরাদ ও মুনিয়া তন্ময় হয়ে দাদুর কথা শুনছিল। আব্বু-আম্মুও।
আব্বু বললেন, ‘অত শক্ত কথা কি ওরা বুঝবে বাবা?’
দাদুভাই বললেন, ‘কী জানি বুঝবে কি না। তবে মনে হলো বিষয়টা ওদের জানানো প্রয়োজন, তাই বলে ফেললাম।’
মুরাদ বলল, ‘না দাদুভাই, তুমি তো বেশ সুন্দর কথা বলেছো। তোমার সব কথা না বুঝলেও এটা বুঝেছি যে এই দেশের মাটি খুবই পবিত্র। উর্বরা শক্তি খুব বেশি বলে যে কোনো ফসল খুব সহজেই ফলে। আর যে জিনিস ভালো, তা তো প্রাণ দিয়েই ভালোবাসতে হয়। এই ভালোবাসা মানে তাকে যে কোনো বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করা।’
বয়স্ক চোখজোড়া বড় বড় করে নাতির দিকে তাকিয়ে রইলেন দাদু দীর্ঘ কয়েকটা মুহূর্ত। অবাক হয়ে গেছেন এইটুকু ছেলের মুখে এতো সুন্দর কথা শুনে। বললেন, ‘মাশাআল্লাহ! তুমি খুব সহজেই অনেক কিছু বুঝে গেছ। দোয়া করি তুমি অনেক বড় হও।’
গর্বে বুকটা ফুলে উঠল আব্বু-আম্মুরও।
মুরাদ আবার বলল, ‘এখন এই মাটির গন্ধ আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে।’
মুনিয়া বলল, ‘মাটির গন্ধ আমার কাছেও খুব ভালো লাগছে দাদু।’
দাদু ওদের মাথায় হাত বুলিয়ে কেবল মুচকি হাসলেন।
মুরাদ সুযোগ বুঝে নিজের শরীর হতে কিছুটা কাদা হাতে মাখিয়ে নিয়ে লেপ্টে দিল মুনিয়ার নাকে-মুখে। মুনিয়াও পাল্টা কাদা মাখানোর জন্য উদ্যত হতেই দৌড় দিল মুরাদ। পেছনে ছুটল মুনিয়াও।
পেছনে হেসে উঠলেন আব্বু-আম্মু ও দাদুভাই। তাকালেন সামনে।
মুরাদ ও মুনিয়া ছোটাছুটি করছে। ঠিক যেন দু’টো রঙিন প্রজাপতি।
নিজেদের শৈশবে হারিয়ে গেলেন দাদুভাই ও আব্বু-আম্মু।
==========================
গল্প- 'বোকাইকে কেউ বুঝি ডাকলো' by ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ গল্প- 'নাকিবের একা একা ঝিল দেখা' by হারুন ইবনে শাহাদাত গল্প- 'উসামার বায়না ও আইলার জন্য ভালোবাসা' by চেমনআরা গল্প- 'উরুমকিতে আর্তনাদ' by আহমদ মতিউর রহমান গল্প- 'টবের গোলাপ' by দিলারা মেসবাহ রম্য গল্প- 'তুচ্ছ ঘটনা' by মোহাম্মদ লিয়াকত আলী গল্প- 'নদী কত দূর' by অজিত হরি সাহু, অনুবাদ- হোসেন মাহমুদ গল্প- 'নতুন জীবনের গল্প' by মুহিব্বুর রহমান রাফে গল্প- 'বুবুর জন্য' by জুবায়ের হুসাইন গল্প- 'দ্বীপ রহস্য-০০১' by হারুন ইবনে শাহাদাত গল্প- 'নীয়নের মোবাইল পকেট' by ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ গল্প- 'শুভরা জানতে চায়' by জুবাইদা গুলশান আরা গল্প- 'জোড়া ঘোড়া' by মাখরাজ খান গল্প- 'গর্ব' by আবদুল ওহাব আজাদ গল্প- 'তিতিরের ঘুড়ি' by ঝর্ণা দাস পুরকায়স্থ গল্প- 'একটি বাঘের কথা' by মুহম্মদ জাফর ইকবাল
কিশোরকন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ জুবায়ের হুসাইন
এই গল্প'টি পড়া হয়েছে...
লেখকঃ জুবায়ের হুসাইন
এই গল্প'টি পড়া হয়েছে...
No comments