বিপির সমালোচনার সঙ্গে জাতীয়তাবোধ জড়িত নয়
হুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের (বিপি) সমালোচনার সঙ্গে জাতীয়তাবোধের কোনো প্রসঙ্গ জড়িত নয় বলে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত শনিবার দুই সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যামেরনকে টেলিফোন করে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কাছে মেক্সিকো উপসাগরে দুর্ঘটনাকবলিত তেলক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি বিপি। গত এপ্রিল মাসে ওই তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণের পর থেকে অনবরত তেল বেরিয়ে এসে সাগরে মিশছে। এতে সাগর ও উপকূলীয় এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তেল ছড়িয়ে পড়ার এই ঘটনায় ওবামা যুক্তরাজ্যভিত্তিক তেল কোম্পানিটির কড়া সমালোচনা করেন। এর পরই যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের একটি অংশ অভিযোগ তোলে, ব্রিটিশবিরোধী ভাষা ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে ক্যামেরনকে টেলিফোন করেন ওবামা। এই ফোনালাপের ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য দৃঢ় সম্পর্কের ব্যাপারে নিজেদের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা ও প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন। দুই নেতাই মত প্রকাশ করেছেন—তেলক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় বিপির কাজ করে যাওয়া উচিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্যামেরন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে বিপির অর্থনৈতিক গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেন। এই বিপর্যয়ের কারণে পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। জবাবে ওবামা বলেন, বিপির সুনাম ক্ষুণ্ন করার কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই। তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ে তাঁর হতাশা প্রকাশের সঙ্গে ব্রিটেনের জাতীয় পরিচয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই নেতা বিশ্বকাপে শনিবারের যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য খেলা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে ওবামা ক্যামেরনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হতাশা প্রকাশের সঙ্গে ব্রিটেনের জাতীয়তাবোধকে যুক্ত করা ঠিক হবে না।
এই বিতর্ক প্রসঙ্গে ব্রিটেনের উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বলেছেন, তাঁরা চান না বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের কূটনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হোক। এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগামী ২০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ডেভিড ক্যামেরনের।
এদিকে তেলক্ষেত্র থেকে তেল বেরিয়ে আসা ঠেকাতে বিপির পরিকল্পনা পর্যাপ্ত নয় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পদক্ষেপ ঘোষণা করতে তারা বিপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গত ৩ জুন তেলক্ষেত্রের ছিদ্রযুক্ত পাইপের একটি ছিদ্র থেকে তেল বেরিয়ে আসা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করেছে বিপি। এর আগ পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ প্রায় ৪০ হাজার ব্যারেল তেল সাগরে মিশেছে।
এই দুর্ঘটনার পর আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে বিপির শেয়ারের দামও কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ক্যামেরন ও ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ন কেল কোম্পানিটির চেয়ারম্যান কার্ল-হেনরিক এসভানবার্গের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি হবে আগামী বুধবার হোয়াইট হাউসে ওবামার সঙ্গে এসভানবার্গের।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কাছে মেক্সিকো উপসাগরে দুর্ঘটনাকবলিত তেলক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি বিপি। গত এপ্রিল মাসে ওই তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণের পর থেকে অনবরত তেল বেরিয়ে এসে সাগরে মিশছে। এতে সাগর ও উপকূলীয় এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তেল ছড়িয়ে পড়ার এই ঘটনায় ওবামা যুক্তরাজ্যভিত্তিক তেল কোম্পানিটির কড়া সমালোচনা করেন। এর পরই যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের একটি অংশ অভিযোগ তোলে, ব্রিটিশবিরোধী ভাষা ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে ক্যামেরনকে টেলিফোন করেন ওবামা। এই ফোনালাপের ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য দৃঢ় সম্পর্কের ব্যাপারে নিজেদের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা ও প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন। দুই নেতাই মত প্রকাশ করেছেন—তেলক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় বিপির কাজ করে যাওয়া উচিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্যামেরন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে বিপির অর্থনৈতিক গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেন। এই বিপর্যয়ের কারণে পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। জবাবে ওবামা বলেন, বিপির সুনাম ক্ষুণ্ন করার কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই। তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ে তাঁর হতাশা প্রকাশের সঙ্গে ব্রিটেনের জাতীয় পরিচয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই নেতা বিশ্বকাপে শনিবারের যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য খেলা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে ওবামা ক্যামেরনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হতাশা প্রকাশের সঙ্গে ব্রিটেনের জাতীয়তাবোধকে যুক্ত করা ঠিক হবে না।
এই বিতর্ক প্রসঙ্গে ব্রিটেনের উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বলেছেন, তাঁরা চান না বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের কূটনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হোক। এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগামী ২০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ডেভিড ক্যামেরনের।
এদিকে তেলক্ষেত্র থেকে তেল বেরিয়ে আসা ঠেকাতে বিপির পরিকল্পনা পর্যাপ্ত নয় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পদক্ষেপ ঘোষণা করতে তারা বিপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গত ৩ জুন তেলক্ষেত্রের ছিদ্রযুক্ত পাইপের একটি ছিদ্র থেকে তেল বেরিয়ে আসা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করেছে বিপি। এর আগ পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ প্রায় ৪০ হাজার ব্যারেল তেল সাগরে মিশেছে।
এই দুর্ঘটনার পর আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে বিপির শেয়ারের দামও কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ক্যামেরন ও ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ন কেল কোম্পানিটির চেয়ারম্যান কার্ল-হেনরিক এসভানবার্গের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি হবে আগামী বুধবার হোয়াইট হাউসে ওবামার সঙ্গে এসভানবার্গের।
No comments