আইএসআই তালেবানকে ‘সহায়তা’ করছে: এলএসইর প্রতিবেদন
পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স (আইএসআই) আফগানিস্তানের তালেবান জঙ্গিদের শুধু অর্থ, প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ আশ্রয়ই জোগায় না, তালেবানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদে সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্বও রয়েছে। এভাবে আইএসআই তালেবানের কর্মকাণ্ডকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তালেবান ও আইএসআইয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের শক্ত প্রমাণও রয়েছে। ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস (এলএসই) এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে। গতকাল রোববার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসআই তালেবান ও হাক্কানি গ্রুপ উভয়কেই নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে আসছে। গবেষণায় এটা দৃঢ়ভাবে প্রতীয়মান হয় যে, তালেবানকে সহায়তা করা আইএসআইয়ের একটি ‘প্রাতিষ্ঠানিক নীতি’। অনেক দিন ধরেই এটা ব্যাপকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছিল, আইএসআই ও ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু এ প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্যাবলি আফগানিস্তানে যুদ্ধের ইতি টানতে সাহায্য করার ব্যাপারে পাকিস্তানের সদিচ্ছা সম্পর্কে পাশ্চাত্যে ব্যাপকতর সংশয় সৃষ্টি করতে পারে।
প্রতিবেদনের লেখক হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একজন গবেষক ম্যাট ওয়াডম্যান বলেছেন, আইএসআই আগের ধারণার চেয়ে অনেক বড় মাপে তালেবানকে অর্থ সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি পাকিস্তানে বন্দী জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন বলে খবর পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, সে সময় তিনি ওই তালেবান নেতাদের মুক্তি দেওয়া ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে তাঁদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই যুক্তিতে যে তালেবানকে সহায়তা করা ‘পাকিস্তানের বেসামরিক সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুমোদনপ্রাপ্ত’।
তবে আইএসআই এলএসইর এই প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাস বলেছেন, এলএসইর এই প্রতিবেদন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে একটি নিকৃষ্ট প্রচারণা। এই প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি প্রতিবেদন।
পাকিস্তানের একটি কূটনৈতিক সূত্র প্রতিবেদনটিকে ‘কাঁচা’ আখ্যা দেয় এবং এও বলে যে, তালেবানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনা আফগান সরকারের নিজস্ব ব্যাপার।
মাঠ পর্যায়ের ৯ জন তালেবান কমান্ডার, সাবেক জ্যেষ্ঠ তালেবান মন্ত্রী ও সেই সঙ্গে পশ্চিমা ও আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসআই তালেবান ও হাক্কানি গ্রুপ উভয়কেই নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে আসছে। গবেষণায় এটা দৃঢ়ভাবে প্রতীয়মান হয় যে, তালেবানকে সহায়তা করা আইএসআইয়ের একটি ‘প্রাতিষ্ঠানিক নীতি’। অনেক দিন ধরেই এটা ব্যাপকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছিল, আইএসআই ও ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু এ প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্যাবলি আফগানিস্তানে যুদ্ধের ইতি টানতে সাহায্য করার ব্যাপারে পাকিস্তানের সদিচ্ছা সম্পর্কে পাশ্চাত্যে ব্যাপকতর সংশয় সৃষ্টি করতে পারে।
প্রতিবেদনের লেখক হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একজন গবেষক ম্যাট ওয়াডম্যান বলেছেন, আইএসআই আগের ধারণার চেয়ে অনেক বড় মাপে তালেবানকে অর্থ সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি পাকিস্তানে বন্দী জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন বলে খবর পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, সে সময় তিনি ওই তালেবান নেতাদের মুক্তি দেওয়া ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে তাঁদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই যুক্তিতে যে তালেবানকে সহায়তা করা ‘পাকিস্তানের বেসামরিক সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুমোদনপ্রাপ্ত’।
তবে আইএসআই এলএসইর এই প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাস বলেছেন, এলএসইর এই প্রতিবেদন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে একটি নিকৃষ্ট প্রচারণা। এই প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি প্রতিবেদন।
পাকিস্তানের একটি কূটনৈতিক সূত্র প্রতিবেদনটিকে ‘কাঁচা’ আখ্যা দেয় এবং এও বলে যে, তালেবানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনা আফগান সরকারের নিজস্ব ব্যাপার।
মাঠ পর্যায়ের ৯ জন তালেবান কমান্ডার, সাবেক জ্যেষ্ঠ তালেবান মন্ত্রী ও সেই সঙ্গে পশ্চিমা ও আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
No comments