মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের প্রতি সমর্থনকে দুর্বল করছে -প্রেসিডেন্ট জারদারির বিবৃতি
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেছেন, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের ওপর মার্কিন চালকবিহীন বিমানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতীয় ঐকমত্যকে ক্রমশ খাটো বা দুর্বল করছে। পাকিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৩ জঙ্গি নিহত হওয়ার এক দিন পর গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জন ম্যাককেইনের নেতৃত্বাধীন সিনেটরদের একটি প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট জারদারি এসব কথা বলেন। গত বৃহস্পতিবার সিনেটর ম্যাককেইন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বলেন, পাকিস্তানে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মার্কিন কৌশলের একটি কার্যকর অংশ এবং ওই কৌশল প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।
ম্যাককেইনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া বিবৃতিতে জারদারি মার্কিন প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে বলেন, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতীয় ঐকমত্যকে ক্রমশ দুর্বল করবে। এ অবস্থায় পারস্পরিক স্বার্থ, সম্মান ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে।
পাকিস্তানকে চালকবিহীন বিমানের প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জারদারি; যাতে করে বিদেশি সেনাদের পরিবর্তে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিজেরাই জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে। বিদেশি হামলা দেশের সার্বভৌমত্বকে বড় প্রশ্নের মুখে ফেলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত আট বছরে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তানের খরচ হয়েছে তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলার, যা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে।
জঙ্গিবাদ মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানে হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আসছে সন্দেহভাজন তালেবান জঙ্গিরা। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, এ পর্যন্ত চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নিহত হয়েছে।
বিস্ফোরণে সাতজন নিহত: করাচির একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। বিস্ফোরণে বাড়িটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বাড়িটি ব্যবহার করত। গতকাল দুর্ঘটনাবশত বোমা তৈরির সরঞ্জাম থেকে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে বন্দুক, গ্রেনেড ও আত্মঘাতী হামলার উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল মজিদ দোস্তি বলেন, ‘বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। আমরা এ পর্যন্ত ছয়টি লাশ উদ্ধার করেছি। বাকি লাশটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’ করাচির পুলিশপ্রধান ওয়াসিম আহমেদ বলেন, ‘মনে হচ্ছে, বাড়ির ভেতরে মজুদ রাখা বিস্ফোরক থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে।’ এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ: পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাস অভিযোগ করেছে, দেশটিতে তাদের কূটনীতিকদের হেনস্তা করা হচ্ছে। মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, একটি উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সফরের প্রস্তুতির জন্য বুধবার বেলুচিস্তান সফরের সময় মার্কিন কনস্যুলেটের দুজন পাকিস্তানি কর্মকর্তা ও তাদের পুলিশ রক্ষীদের আটক করা হয়। বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাসের গাড়ি এবং কর্মী-সংশ্লিষ্ট এই ধরনের ঘটনা পরিহার করার জন্য পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জন ম্যাককেইনের নেতৃত্বাধীন সিনেটরদের একটি প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট জারদারি এসব কথা বলেন। গত বৃহস্পতিবার সিনেটর ম্যাককেইন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বলেন, পাকিস্তানে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মার্কিন কৌশলের একটি কার্যকর অংশ এবং ওই কৌশল প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।
ম্যাককেইনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া বিবৃতিতে জারদারি মার্কিন প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে বলেন, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতীয় ঐকমত্যকে ক্রমশ দুর্বল করবে। এ অবস্থায় পারস্পরিক স্বার্থ, সম্মান ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে।
পাকিস্তানকে চালকবিহীন বিমানের প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জারদারি; যাতে করে বিদেশি সেনাদের পরিবর্তে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিজেরাই জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে। বিদেশি হামলা দেশের সার্বভৌমত্বকে বড় প্রশ্নের মুখে ফেলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত আট বছরে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তানের খরচ হয়েছে তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলার, যা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে।
জঙ্গিবাদ মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানে হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আসছে সন্দেহভাজন তালেবান জঙ্গিরা। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, এ পর্যন্ত চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নিহত হয়েছে।
বিস্ফোরণে সাতজন নিহত: করাচির একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। বিস্ফোরণে বাড়িটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বাড়িটি ব্যবহার করত। গতকাল দুর্ঘটনাবশত বোমা তৈরির সরঞ্জাম থেকে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে বন্দুক, গ্রেনেড ও আত্মঘাতী হামলার উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল মজিদ দোস্তি বলেন, ‘বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। আমরা এ পর্যন্ত ছয়টি লাশ উদ্ধার করেছি। বাকি লাশটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’ করাচির পুলিশপ্রধান ওয়াসিম আহমেদ বলেন, ‘মনে হচ্ছে, বাড়ির ভেতরে মজুদ রাখা বিস্ফোরক থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে।’ এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ: পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাস অভিযোগ করেছে, দেশটিতে তাদের কূটনীতিকদের হেনস্তা করা হচ্ছে। মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, একটি উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সফরের প্রস্তুতির জন্য বুধবার বেলুচিস্তান সফরের সময় মার্কিন কনস্যুলেটের দুজন পাকিস্তানি কর্মকর্তা ও তাদের পুলিশ রক্ষীদের আটক করা হয়। বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাসের গাড়ি এবং কর্মী-সংশ্লিষ্ট এই ধরনের ঘটনা পরিহার করার জন্য পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
No comments