১১ বল ঠেকিয়ে কিংবদন্তি অনিয়নস!
একজন উইকেট আগলে রেখেছিলেন পৌনে পাঁচ ঘণ্টা। আরেক জন প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা উইকেটে থেকে সামলেছেন ১৮৮টি বল। তার পরও ইয়ান বেল কিংবা পল কলিংউড নয়, ইংল্যান্ডে নায়কের মর্যাদা পাচ্ছেন গ্রাহাম অনিয়নস। অথচ মাত্র ১১টি বল ঠেকিয়েছেন তিনি। তবে আরও নির্দিষ্ট করে বললে শেষ ওভার। পঞ্চম দিনের শেষ ওভারটি অনিয়নস ঠেকিয়েছেন বলেই তো ম্যাচটা ড্র করতে পেরেছে ইংল্যান্ড। সেঞ্চুরিয়নের পর কেপটাউনেও হারতে হারতে ম্যাচ বাঁচাল ইংল্যান্ড। ধরে রাখল সিরিজের ১-০ লিড।
অনেক দিক দিয়েই সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের গতি অনুসরণ করেছে কেপটাউন। এখানেও হঠাত্ই একটা উইকেট নিষ্প্রাণ ম্যাচে ছড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজনার রেণু। ১২৮তম ওভারে কলিংউডের বিদায়ের মধ্য দিয়ে শুধু বেলের সঙ্গে তাঁর ৫৭ ওভারের জুটিটাই ভাঙেনি, ইংল্যান্ডের ইনিংসে সেটাই ছিল আকস্মিক ধসের শুরু। দিনের খেলার তখনো সাড়ে চৌদ্দ ওভার বাকি। ইংল্যান্ডের হাতে চার উইকেট।
উইকেট সংখ্যাটা তিনে নেমে আসে ১৩০তম ওভারে ম্যাট প্রিয়রের বিদায়ে। জেপি ডুমিনির পর পর দুই ওভারে কলিংউড-প্রিয়র ফিরে যাওয়ার পর ইংল্যান্ড তখন পরাজয়ের শঙ্কায় কাঁপছে। সেই কাঁপাকাঁপিতেই চার বলের মধ্যে স্টুয়ার্ট ব্রড আর ইয়ানের বেলের বিদায়। ইংল্যান্ডের নবম উইকেটের পতন। দিনের শেষ ১৭টা বলকেও তখন ইংল্যান্ডের মনে হচ্ছিল অনেক দূরের পথ।
গ্রায়েম সোয়ান আর অনিয়নস উত্তেজনায় ঠাসা সেই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে একের পর এক বল পার করে দিলেন। বিশেষ করে অনিয়নস শেষ ওভারটা পার করে দিয়ে আবারও মনে করিয়ে দিলেন, মাথা ঠান্ডা রাখার দাওয়াই তিনি ডারহাম-সতীর্থ কলিংউডের কাছ থেকেই পেয়েছেন।
ফলে চার টেস্টের সিরিজে দুটো ম্যাচ জেতার একদম দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ টেস্টটা খেলতে যেতে হচ্ছে সিরিজ পরাজয়ের শঙ্কা নিয়েই। ১৪ জানুয়ারি জোহানেসবার্গে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে তাই মানসিক একটা চাপও সঙ্গী হবে গ্রায়েম স্মিথদের। পরশু ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক স্বীকার করে নিলেন সে কথা, ‘সিরিজজুড়ে ইংল্যান্ড দেখিয়ে দিয়েছে, মানসিকভাবে ওরা কতটা দৃঢ়চেতা। প্রতিটা ইঞ্চি জায়গার জন্য আমাদের লড়াই করতে হয়েছে।’
নিজের হতাশাটুকুও লুকানোর চেষ্টা করলেন না এই টেস্টেই অ্যালান বোর্ডারের পর ইতিহাসের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ছয় হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া স্মিথ, ‘আমরা শেষ আঘাতটা হানতে পারিনি। এটা বিরাট হতাশার।’ তবে কাউকে দোষারোপও করেননি স্মিথ, ‘শেষ ১৫টি ওভারে প্রত্যেকে নিজের সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দিয়ে চেষ্টা করেছে।’
ইংল্যান্ডের আর এই সিরিজে হারার শঙ্কা নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলেও সিরিজটা ১-১-এ ড্র হয়ে যাবে। তিন টেস্টের দুটিতে বড় বাঁচা বেঁচে যাওয়ার জন্য সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতাই জানালেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। বিশেষ করে স্নায়ুর চরম পরীক্ষা দিয়ে পাস করা অনিয়নসের প্রতি। ইংলিশ অধিনায়কের চোখে অনিয়নস ‘কিংবদন্তি’!
অনেক দিক দিয়েই সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের গতি অনুসরণ করেছে কেপটাউন। এখানেও হঠাত্ই একটা উইকেট নিষ্প্রাণ ম্যাচে ছড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজনার রেণু। ১২৮তম ওভারে কলিংউডের বিদায়ের মধ্য দিয়ে শুধু বেলের সঙ্গে তাঁর ৫৭ ওভারের জুটিটাই ভাঙেনি, ইংল্যান্ডের ইনিংসে সেটাই ছিল আকস্মিক ধসের শুরু। দিনের খেলার তখনো সাড়ে চৌদ্দ ওভার বাকি। ইংল্যান্ডের হাতে চার উইকেট।
উইকেট সংখ্যাটা তিনে নেমে আসে ১৩০তম ওভারে ম্যাট প্রিয়রের বিদায়ে। জেপি ডুমিনির পর পর দুই ওভারে কলিংউড-প্রিয়র ফিরে যাওয়ার পর ইংল্যান্ড তখন পরাজয়ের শঙ্কায় কাঁপছে। সেই কাঁপাকাঁপিতেই চার বলের মধ্যে স্টুয়ার্ট ব্রড আর ইয়ানের বেলের বিদায়। ইংল্যান্ডের নবম উইকেটের পতন। দিনের শেষ ১৭টা বলকেও তখন ইংল্যান্ডের মনে হচ্ছিল অনেক দূরের পথ।
গ্রায়েম সোয়ান আর অনিয়নস উত্তেজনায় ঠাসা সেই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে একের পর এক বল পার করে দিলেন। বিশেষ করে অনিয়নস শেষ ওভারটা পার করে দিয়ে আবারও মনে করিয়ে দিলেন, মাথা ঠান্ডা রাখার দাওয়াই তিনি ডারহাম-সতীর্থ কলিংউডের কাছ থেকেই পেয়েছেন।
ফলে চার টেস্টের সিরিজে দুটো ম্যাচ জেতার একদম দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ টেস্টটা খেলতে যেতে হচ্ছে সিরিজ পরাজয়ের শঙ্কা নিয়েই। ১৪ জানুয়ারি জোহানেসবার্গে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে তাই মানসিক একটা চাপও সঙ্গী হবে গ্রায়েম স্মিথদের। পরশু ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক স্বীকার করে নিলেন সে কথা, ‘সিরিজজুড়ে ইংল্যান্ড দেখিয়ে দিয়েছে, মানসিকভাবে ওরা কতটা দৃঢ়চেতা। প্রতিটা ইঞ্চি জায়গার জন্য আমাদের লড়াই করতে হয়েছে।’
নিজের হতাশাটুকুও লুকানোর চেষ্টা করলেন না এই টেস্টেই অ্যালান বোর্ডারের পর ইতিহাসের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ছয় হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া স্মিথ, ‘আমরা শেষ আঘাতটা হানতে পারিনি। এটা বিরাট হতাশার।’ তবে কাউকে দোষারোপও করেননি স্মিথ, ‘শেষ ১৫টি ওভারে প্রত্যেকে নিজের সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দিয়ে চেষ্টা করেছে।’
ইংল্যান্ডের আর এই সিরিজে হারার শঙ্কা নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলেও সিরিজটা ১-১-এ ড্র হয়ে যাবে। তিন টেস্টের দুটিতে বড় বাঁচা বেঁচে যাওয়ার জন্য সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতাই জানালেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। বিশেষ করে স্নায়ুর চরম পরীক্ষা দিয়ে পাস করা অনিয়নসের প্রতি। ইংলিশ অধিনায়কের চোখে অনিয়নস ‘কিংবদন্তি’!
No comments