‘ভালো বল করিনি, এটাই আসল কথা’
বোলিং নিয়ে প্রথমে কিছু বলতেই চাইলেন না। প্রতিদিন একই কথা...সাকিব আল হাসানও বোধহয় বলতে বলতে ক্লান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ ২৪৯ রান করার পরও যখন শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে, প্রশ্নটা তো বোলিং নিয়েই উঠবে আগে। সাকিবও শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নিলেন, ‘...ভালো বল করিনি, এটাই আসল কথা।’
শিশিরের প্রভাব, নাকি বোলাররাই পারেননি—এটাই ছিল প্রশ্ন। প্রথমে বলতে না চাইলেও সাকিব পরে দুটোর কথাই বললেন, ‘বোলিং নিয়ে কিছু বলার নেই। প্রতিদিন আসলে একই কথা তো...শিশিরে তো সমস্যা থাকেই। তবে আমার মনে হয়, আমাদের স্পিনার-পেসার সবাই উইকেটের দুই পাশে ওদের (শ্রীলঙ্কা) অনেক বেশি সুযোগ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ রকম সুযোগ দেওয়া যাবে না। সুযোগ দিলেই ওরা কাজে লাগাবে। ভালো বল করিনি, এটাই আসল কথা।’ বোলিং ব্যর্থতার কথা বললে প্রাসঙ্গিকভাবেই আসে মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতির কথা। কাল সাকিবও বললেন, ‘আমার মনে হয় না, উনি থাকলেও এ উইকেটে খুব পার্থক্য হতো। তার পরও উনি ভালো লিডার। ওনার উপস্থিতি খুব ভালো একটা ভূমিকা রাখে দলে। মাশরাফি ভাইয়ের উপস্থিতি অবশ্যই জরুরি।’
বোলিংয়ের ঠিক উল্টো কথা বললেন সাকিব ব্যাটিং নিয়ে। প্রথম দুই ম্যাচে ২৬০ আর ২৯৬, কাল ২৪৯। সাকিবকে ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্টই মনে হচ্ছে, ‘আমাদের দলটা এখন আর মানসিকভাবে নত হয় না। দেখে মনে হচ্ছে না যে দলটা জিততে আসেনি, খেলতে আসেনি। আমরাও মাঠে এনজয় করছি। বোলিং-ফিল্ডিংয়ে অতটা দিতে না পারলেও ব্যাটিং নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। আশা করি এটা ধরে রাখতে পারব।’ এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং অন্য একটা আলোর রেখাও ফুটিয়ে তুলেছে বলে মনে করেন সাকিব, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন আগের অবস্থায় নেই। এটা শুধু মুখের কথা নয়, আমরা পারফরম্যান্সেও তা দেখাচ্ছি। তবে কাল ম্যাচ শেষে আরও ৩০ রানের আক্ষেপ ঝরল তাঁর কণ্ঠে, ‘আমার মনে হয়, আমাদের ৩০ রান কম হয়েছে। যে রকম শুরু ছিল, তাতে আরও ৩০ রান হওয়া উচিত ছিল। পাওয়ার প্লেতে আমরা অনেক উইকেট হারিয়েছি। ওখানে আমরা স্মার্ট ক্রিকেট খেলিনি।’
সাকিব বোলিংয়ের সমালোচনা করলেও বাংলাদেশ বোলাররা পাশে পাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনেকে, ‘রুবেল এখনো অনভিজ্ঞ, তার পরও ও ভালো চেষ্টা করেছে। স্পিনাররা অভিজ্ঞ। তবে শিশিরের কারণে বল গ্রিপ করাই কঠিন হচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল শুরুতে খুব বেশি ঝুঁকি না নেওয়া। জানতাম, উইকেটে স্থির হলে রান করা সহজ হবে। আমরা সে পরিকল্পনা অনুযায়ীই খেলেছি। বোলিং নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কারণ এ কন্ডিশনে আমাদের চাপে ফেলার কাজটা সহজ ছিল না তাদের জন্য।’ ম্যান অব দ্য ম্যাচ উপুল থারাঙ্গাও বললেন, শিশির পড়তে শুরু করার পর ব্যাটিংটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল তাদের জন্য।
পর পর তিন ম্যাচ জিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। তবে এখনই ফাইনাল নিয়ে ভাবছে না তারা, তাদের চিন্তাচেতনায় কেবলই ভারতের বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচ। ‘ভারতকে ভালো দল হিসেবে আমরা শ্রদ্ধা করি। ছয় মাস ধরে খুব ভালো খেলছে তারা। ফাইনালের আগে তাদের বিপক্ষে আরেকটা ম্যাচ আছে। আগে সেটিতে ভালো খেলতে চাই। ফাইনাল তো একটাই...তখনই এটা নিয়ে ভাবব। এখন আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি। পরের ম্যাচেও তাই খেলতে চাই।’ ম্যানেজার ব্রেন্ডন কুরুপ্পু শ্রীলঙ্কার জন্য একটা সুসংবাদ শোনালেন কাল। কুঁচকির ইনজুরিতে পড়া তিলকরত্নে দিলশান এখন অনেকটাই সুস্থ। কালকের ম্যাচেই তাঁকে দেখা পাওয়ার জোর সম্ভাবনা। কালই সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জয়াবর্ধনে যেন এমন একটা খবরেরই অপেক্ষায় ছিলেন, ‘ওকে পেলে তো খুবই ভালো হয়। ও এলে হয়তো আমি পরের ম্যাচে ওপেন করতে পারব না (হেসে)। তবে দিলশান দারুণ ফর্মে আছে। সেও ফিরে আসতে চায়। ২০০৯ সালটা দারুণ কাটানোর পর ২০১০ সালেও খুব ভালো শুরু করেছে।’
শিশিরের প্রভাব, নাকি বোলাররাই পারেননি—এটাই ছিল প্রশ্ন। প্রথমে বলতে না চাইলেও সাকিব পরে দুটোর কথাই বললেন, ‘বোলিং নিয়ে কিছু বলার নেই। প্রতিদিন আসলে একই কথা তো...শিশিরে তো সমস্যা থাকেই। তবে আমার মনে হয়, আমাদের স্পিনার-পেসার সবাই উইকেটের দুই পাশে ওদের (শ্রীলঙ্কা) অনেক বেশি সুযোগ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ রকম সুযোগ দেওয়া যাবে না। সুযোগ দিলেই ওরা কাজে লাগাবে। ভালো বল করিনি, এটাই আসল কথা।’ বোলিং ব্যর্থতার কথা বললে প্রাসঙ্গিকভাবেই আসে মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতির কথা। কাল সাকিবও বললেন, ‘আমার মনে হয় না, উনি থাকলেও এ উইকেটে খুব পার্থক্য হতো। তার পরও উনি ভালো লিডার। ওনার উপস্থিতি খুব ভালো একটা ভূমিকা রাখে দলে। মাশরাফি ভাইয়ের উপস্থিতি অবশ্যই জরুরি।’
বোলিংয়ের ঠিক উল্টো কথা বললেন সাকিব ব্যাটিং নিয়ে। প্রথম দুই ম্যাচে ২৬০ আর ২৯৬, কাল ২৪৯। সাকিবকে ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্টই মনে হচ্ছে, ‘আমাদের দলটা এখন আর মানসিকভাবে নত হয় না। দেখে মনে হচ্ছে না যে দলটা জিততে আসেনি, খেলতে আসেনি। আমরাও মাঠে এনজয় করছি। বোলিং-ফিল্ডিংয়ে অতটা দিতে না পারলেও ব্যাটিং নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। আশা করি এটা ধরে রাখতে পারব।’ এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং অন্য একটা আলোর রেখাও ফুটিয়ে তুলেছে বলে মনে করেন সাকিব, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন আগের অবস্থায় নেই। এটা শুধু মুখের কথা নয়, আমরা পারফরম্যান্সেও তা দেখাচ্ছি। তবে কাল ম্যাচ শেষে আরও ৩০ রানের আক্ষেপ ঝরল তাঁর কণ্ঠে, ‘আমার মনে হয়, আমাদের ৩০ রান কম হয়েছে। যে রকম শুরু ছিল, তাতে আরও ৩০ রান হওয়া উচিত ছিল। পাওয়ার প্লেতে আমরা অনেক উইকেট হারিয়েছি। ওখানে আমরা স্মার্ট ক্রিকেট খেলিনি।’
সাকিব বোলিংয়ের সমালোচনা করলেও বাংলাদেশ বোলাররা পাশে পাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনেকে, ‘রুবেল এখনো অনভিজ্ঞ, তার পরও ও ভালো চেষ্টা করেছে। স্পিনাররা অভিজ্ঞ। তবে শিশিরের কারণে বল গ্রিপ করাই কঠিন হচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল শুরুতে খুব বেশি ঝুঁকি না নেওয়া। জানতাম, উইকেটে স্থির হলে রান করা সহজ হবে। আমরা সে পরিকল্পনা অনুযায়ীই খেলেছি। বোলিং নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কারণ এ কন্ডিশনে আমাদের চাপে ফেলার কাজটা সহজ ছিল না তাদের জন্য।’ ম্যান অব দ্য ম্যাচ উপুল থারাঙ্গাও বললেন, শিশির পড়তে শুরু করার পর ব্যাটিংটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল তাদের জন্য।
পর পর তিন ম্যাচ জিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। তবে এখনই ফাইনাল নিয়ে ভাবছে না তারা, তাদের চিন্তাচেতনায় কেবলই ভারতের বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচ। ‘ভারতকে ভালো দল হিসেবে আমরা শ্রদ্ধা করি। ছয় মাস ধরে খুব ভালো খেলছে তারা। ফাইনালের আগে তাদের বিপক্ষে আরেকটা ম্যাচ আছে। আগে সেটিতে ভালো খেলতে চাই। ফাইনাল তো একটাই...তখনই এটা নিয়ে ভাবব। এখন আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি। পরের ম্যাচেও তাই খেলতে চাই।’ ম্যানেজার ব্রেন্ডন কুরুপ্পু শ্রীলঙ্কার জন্য একটা সুসংবাদ শোনালেন কাল। কুঁচকির ইনজুরিতে পড়া তিলকরত্নে দিলশান এখন অনেকটাই সুস্থ। কালকের ম্যাচেই তাঁকে দেখা পাওয়ার জোর সম্ভাবনা। কালই সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জয়াবর্ধনে যেন এমন একটা খবরেরই অপেক্ষায় ছিলেন, ‘ওকে পেলে তো খুবই ভালো হয়। ও এলে হয়তো আমি পরের ম্যাচে ওপেন করতে পারব না (হেসে)। তবে দিলশান দারুণ ফর্মে আছে। সেও ফিরে আসতে চায়। ২০০৯ সালটা দারুণ কাটানোর পর ২০১০ সালেও খুব ভালো শুরু করেছে।’
No comments